alt

রায়পুরের ২০০ বছরের ‘জিনের মসজিদ’

রহস্যঘেরা সব অজানা তথ্য

প্রতিনিধি, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। তখন মেঘনা ও খরস্রতা ডাকাতিয়া নদীর মোহনা জনবিরল বিশাল চরাঞ্চল। সময়ে সময়ে এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহান কিছু ধর্মসাধকের। বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে এই এলাকাকে কেন্দ্র করে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরশহর থেকে ৮০০ থেকে ৯০০ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্ল্যাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত মসজিদ-ই-জামে আবদুল্লাহ। ‘জিনের মসজিদ’ খ্যাত এ মসজিদটিতে একসঙ্গে এক হাজার মুসল্লির নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে, ১৩৫ বছর আগে কোনো এক রাতে শত শত জিন মসজিদটি নির্মাণ করেছিল। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ১৮৮৮ সালে এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান প্রয়াত মাওলানা আবদুল্লাহ ভারতে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফেরেন। বাড়ি আসার পর থেকেই তিনি একটি মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভারত থেকে কারিগর এনে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মাওলানা আবদুল্লাহর বংশধররাই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের তিনটি গম্বুজ আর চারটি মিনার রয়েছে। মাটি থেকে ১৩টি সিঁড়ি পার হয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। মসজিদের ভেতরে হালকা কারুকাজ রয়েছে। ভেতর ও বারান্দায় একসঙ্গে হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এ মসজিদে। একপাশের সিঁড়ি মসজিদের নিচে নেমে গেছে। সেখানে সবসময় পানি থাকে। অনেকে এ পানিতে বিভিন্ন নিয়তে ওজু করেন। অনেকে বোতলে করে নিয়ে পান করেন। যদিও এখানে এখন সারাবছর পানি থাকে। তবে মসজিদের নিচের এ জায়গাটি প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল্লাহর ইবাদতখানা ছিল বলে জানা গেছে। মসজিদের পাশেই কওমি মাদরাসা ও মুসাফিরখানা এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কথিত আছে, মসজিদের নির্মাণকাজ মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু জিন রাতের আঁধারে সম্পন্ন করত। তাই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি জিনের মসজিদ নামেও ব্যাপক পরিচিত।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. লুৎফুর রহমান বলেন, মসজিদটি জনগণের টাকায় নির্মিত। দিনে প্রচুর ঘরম থাকায় সব শ্রমিকরা রাতে কাজ করত। তাই অনেকেই ধারণা এটি জিনে তৈরি করেছে। তবে সঠিক হচ্ছে ভারত থেকে কারিগর এনে মসজিদটি নির্মাণ করা হয। মসজিদ নির্মাণে কোনো রড ব্যবহার না করে শুধু ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণেই মসজিদটি জিনে নির্মাণ করেছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে প্রায় ২শ’ বছরের পুরোনো এই স্থাপনা। তাই প্রাচীণ ও নান্দনিক এই মসজিদটি রক্ষায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তিনি।

ছবি

পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

ছবি

টাঙ্গাইলের মগড়ায় বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

ভাঙ্গার কুমার নদে কিশোর-তরুণদের অস্ত্র প্রদর্শনের মহড়া

ছবি

জয়পুরহাটে ৭ ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

ছবি

কালীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ছবি

রংপুর বিভাগের গুণী প্রধান শিক্ষক উলিপুরের মাহবুবার রহমান

ছবি

কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ পাচারকারী আটক

ছবি

থানচিতে নির্মাণের দুই বছরেই সড়ক মৃত্যুফাঁদ!

ছবি

খুড়ে রাখা সড়কে হাঁটু পানি ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

ছবি

রুমায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

রায়গঞ্জে পাখির তাড়াতে ধান খেতে নেট ব্যবহার

ছবি

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপূজায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ

ছবি

যশোরের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শার্শার খাদিজা খাতুন

ছবি

রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে ২২ মাস ধরে বন্ধ উত্তরা এ´প্রেস ট্রেন

ছবি

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

বরুড়ায় আখের ভাল ফলনে চাষী ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি

ছবি

মোল্লাহাটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

জাল সনদে ১২ বছর চাকরি, বেরোবির ইরিনা নাহার বরখাস্ত

ছবি

৫০ হাজার শিশুরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে টাইফয়েড প্রতিরোধ টিকা

ছবি

ধ্বংসের পথে শরৎচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কাশিপুর জমিদার বাড়ি

ছবি

দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ভোগান্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

ছবি

দশমিনায় মাচায় লাউ আবাদ বাড়ছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে সরকারি ভাতা বঞ্চিত হানিফের সংসার চলে বিলের শাপলায়

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ছবি

মহাদেবপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুর শহরের খেলার মাঠসমূহ খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি

ছবি

সস কারখানার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

পূর্বাচল এলাকায় পরিবহনে হিজড়াদের চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১২

ছবি

আমার জীবন আমার স্বপ্ন উদযাপন

ছবি

১০ টাকা কেজি ইলিশ বিক্রি, জনতার চাপে পালালেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী

ছবি

লড়াই ষাঁড়ের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

ছবি

নৈতিকতার ভিত্তিতেই হতে হবে আদর্শ মানুষ: মেয়র

tab

রায়পুরের ২০০ বছরের ‘জিনের মসজিদ’

রহস্যঘেরা সব অজানা তথ্য

প্রতিনিধি, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। তখন মেঘনা ও খরস্রতা ডাকাতিয়া নদীর মোহনা জনবিরল বিশাল চরাঞ্চল। সময়ে সময়ে এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহান কিছু ধর্মসাধকের। বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে এই এলাকাকে কেন্দ্র করে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরশহর থেকে ৮০০ থেকে ৯০০ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্ল্যাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত মসজিদ-ই-জামে আবদুল্লাহ। ‘জিনের মসজিদ’ খ্যাত এ মসজিদটিতে একসঙ্গে এক হাজার মুসল্লির নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে, ১৩৫ বছর আগে কোনো এক রাতে শত শত জিন মসজিদটি নির্মাণ করেছিল। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ১৮৮৮ সালে এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান প্রয়াত মাওলানা আবদুল্লাহ ভারতে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফেরেন। বাড়ি আসার পর থেকেই তিনি একটি মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভারত থেকে কারিগর এনে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মাওলানা আবদুল্লাহর বংশধররাই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের তিনটি গম্বুজ আর চারটি মিনার রয়েছে। মাটি থেকে ১৩টি সিঁড়ি পার হয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। মসজিদের ভেতরে হালকা কারুকাজ রয়েছে। ভেতর ও বারান্দায় একসঙ্গে হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এ মসজিদে। একপাশের সিঁড়ি মসজিদের নিচে নেমে গেছে। সেখানে সবসময় পানি থাকে। অনেকে এ পানিতে বিভিন্ন নিয়তে ওজু করেন। অনেকে বোতলে করে নিয়ে পান করেন। যদিও এখানে এখন সারাবছর পানি থাকে। তবে মসজিদের নিচের এ জায়গাটি প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল্লাহর ইবাদতখানা ছিল বলে জানা গেছে। মসজিদের পাশেই কওমি মাদরাসা ও মুসাফিরখানা এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কথিত আছে, মসজিদের নির্মাণকাজ মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু জিন রাতের আঁধারে সম্পন্ন করত। তাই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি জিনের মসজিদ নামেও ব্যাপক পরিচিত।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. লুৎফুর রহমান বলেন, মসজিদটি জনগণের টাকায় নির্মিত। দিনে প্রচুর ঘরম থাকায় সব শ্রমিকরা রাতে কাজ করত। তাই অনেকেই ধারণা এটি জিনে তৈরি করেছে। তবে সঠিক হচ্ছে ভারত থেকে কারিগর এনে মসজিদটি নির্মাণ করা হয। মসজিদ নির্মাণে কোনো রড ব্যবহার না করে শুধু ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণেই মসজিদটি জিনে নির্মাণ করেছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে প্রায় ২শ’ বছরের পুরোনো এই স্থাপনা। তাই প্রাচীণ ও নান্দনিক এই মসজিদটি রক্ষায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তিনি।

back to top