alt

সোনারগাঁয়ে লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটির প্রদর্শনী

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংষ্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) স্বীকৃত দেশের ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প শীতল পাটির। দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। অতীতকালে গরমের সময় খাটে বিছানো হতো বেত থেকে হাতে তৈরি করা এই শীতল পাটির। শুধু খাটের বিছানাই নয়, মাদুর, জায়নামাজ, ওয়ালম্যাট, টেবিলম্যাট, বিয়ে শাদী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো এই আদী ঐতিহ্যের। কিন্তু কালের বিবর্তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে চাহিদা হারিয়ে এখন লুপ্তপ্রায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই কুটির শিল্পটি।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মাসব্যাপী লোকজ মেলার প্রদর্শিত গ্যালারির নিজের স্টলে বসে পাটি বুনন শিল্পী শ্রী গীতেশ চন্দ্র দাস জানান, তিনি মৌলভীবাজার থেকে এসেছেন। মৌলভবাজার ও সিলেটের আদী ঐতিহ্য এই শীতল পাটি। জীবিকা নির্বাহের জন্য পূর্বপুরুষদের পেশা হিসেবে তিনিও ধরে আছেন শীতল পাটি বুননের কাজে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুর্তা বেত (পাটি তৈরির বিশেষ বেত) সংগ্রহ করে দৃষ্টিনন্দন পাটি তৈরি করেন। একটি ৫ ফিট বাই ৭ ফিট পাটি তৈরি করতে এক থেকে দেড়শ বেত লাগে। যার মূল্য ৭শ’ টাকা। মুর্তা থেকে বটি বা দা দিয়ে ফালি করে বেত তুলতে সময় লাগে অন্তত ৭ দিন। শ্রেণী ভেদে বিভিন্ন মাপের পাটি বানাতে সময় লাগে ৮ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। তার সাথে পাটি বুনন করেন তার স্ত্রী প্রীতি রানী দাসও। মান অনুযায়ী পাটির দাম নির্ধারণ হয়। সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাপের শীতল পাটি তৈরি করেন। গরমকালে মানুষ খাটে চাদরের পরিবর্তে ব্যবহার করত এই পাটি। শুধু খাটের বিছানাই নয় ওয়ালম্যাট, মাটিতে বসার মাদুর, জায়নামাজ, টেবিলম্যাট, বিয়ে শাদীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো এই পাটির। মূলত পাটি বুনন করে জীবিকা নির্বাহ করত তুলাপুর, যাত্রাপুর, টিনবাড়ি, সাদাপুর, ফতেহপুর, আব্দুল্লাহপুর ও জকিগঞ্জসহ মৌলভীবাজার ও সিলেটের অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ। এটিই ছিল জীবিকা নির্বাহের প্রধান পেশা। এক সময় খুব কদর ছিল শীতল পাটির। কিন্তু কালের বিবর্তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম যেমন ফ্যান, এয়ারকুলার, এয়ারকন্ডিশন এবং প্লাস্টিকের মাদুরের প্রভাবে বর্তমানে শীতল পাটির চাহিদা একেবারেই নেই। যার কারণে পূর্বপুরুষের এই পেশা ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন পাটিকররা। কেউ করছেন ব্যবসা, কেউ চাকরি, আবার কেউ চালাচ্ছেন গাড়ি। তবে তুলাপুর এলাকায় তিনিসহ মাত্র দু’একটি পরিবার ধরে রেখেছেন এই পেশাটি। তার পরে হয়ত আর কেউ এই পেশায় আসবেনা। বাংলাদেশের লুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি সহযোগিতা দিয়ে পাটিকরদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে অদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে শীতল পাটি ও পাটিকর। তবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ২০ বছর যাবত মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলায় শীতল পাটি প্রদর্শনের জন্য নিয়ে আসছে। মেলায় আসলেও বিক্রি নেই বললেই চলে। আদী ঐতিহ্য ধরে রাখার সুবাদে এরই মধ্যে তিনি পেয়েছেন শিল্পাচার্জ জয়নুল আবেদীন আজীবন সম্মাননা। যার মধ্যে রয়েছে তিন লাখ টাকার চেক, দেড় ভড়ি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র। এছাড়াও এই কুটির শিল্পের প্রদর্শনীর জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভ্রমণ করেছেন নেপাল, দক্ষিন কোরিয়া ও জাপান। লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে পরিবারসহ ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা দর্শনার্থী ফারহানা সরকার জানান, শীতল পাটি দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য। একসময় শীতল পাটির ব্যহার ছিল দেশ জুড়ে। ঠা-া অনুভবের জন্য গরমকালে খাটে তোষকের উপর বিছিয়ে ঘুমাতো মানুষ। কিন্তু এখন কম দামের প্লাস্টিক পণ্যে বাজার সয়লাব হওয়ায় প্রায় হারিয়েই গেছে শীতল পাটি। এখন যতটুকুই আছে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। না হলে দ্রুতই হারিয়ে যাবে আমাদের এই ঐতিহ্য শীতল পাটি। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ কে এম আজাদ সরকার জানান, শীতল পাটি আমাদের দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য। আর লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের প্রদর্শণ ও পুনর্জীবন দান করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছর এখানে আয়োজন করা হয় লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি বুনন শিল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এছাড়াও এটিকে সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সংস্থাটি।

ছবি

সুনামগঞ্জে জমি থেকে ৫ কোটি টাকার বালু চুরির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সাগরে প্রথম জাল ফেলেই ১৪০ মণ ইলিশ ধরলো জেলেরা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

‘গুলির শব্দ শুনে’ অভিযান: অভিনেতা মন্টুর ছেলেসহ চারজন কারাগারে

ছবি

অবশেষে সংরক্ষণের কাজ চলছে দিনাজপুরের ভগ্নপ্রায় সেই রাজবাড়ির

ছবি

মোন্থার প্রভাবে ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ‘নিখোঁজ’ ডিআইজি এহসানউল্লাহ

ছবি

অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ

জয়দেবপুর রেলক্রসিং: দোকান আর অটোরিকশার দাপট, জনদুর্ভোগ চরমে

স্বল্পমূল্যের ওএমএস আটা: দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশই ব্যর্থ

ছবি

বিশ্বে ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে

ছবি

যুদ্ধ বন্ধের আশা হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতির অনুমোদন

ছবি

মহাদেবপুরে নির্বিঘ্নে সার ও বীজ সরবরাহে মতবিনিময় সভা

ছবি

সাঘাটায় মেয়াদের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এডিপি প্রকল্প

ছবি

শেরপুরে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

ছবি

শেরপুরে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি

জাল স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র তৈরির অভিযোগ মোরেলগঞ্জে ১৫ বছর ধরে নিজ কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ

ছবি

ডিম ছাড়া শেষ, শুরু হলো জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

অবৈধ ড্রেজারের তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

ছবি

কটিয়াদী সড়কে বড় বড় গর্ত, যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

কিশোরগঞ্জে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদনের প্রাচীন ঐতিহ্য- বানরের খেলা

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার ও ৯ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ধোবাউড়ায় তুচ্চ ঘটনায় চুরিকাঘাতে খুন, আটক ৩

ছবি

সলঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

ফকিরহাটে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে লুটপাট

ছবি

নড়াইলে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

মাদকসেবীকে বাঁচাতে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনা

ছবি

নড়াইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জের কমলা চাষে সফল নাসির মল্লিক

ছবি

নন্দীগ্রামে প্রশিক্ষণ পেয়েও ঋণ পাচ্ছেন না যুবকরা

ছবি

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে গলাচিপার গুরিন্দা জামে মসজিদ

ছবি

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার বাঁধ বিলীন

ছবি

দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ইছামতী নদী

tab

সোনারগাঁয়ে লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটির প্রদর্শনী

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংষ্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) স্বীকৃত দেশের ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প শীতল পাটির। দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। অতীতকালে গরমের সময় খাটে বিছানো হতো বেত থেকে হাতে তৈরি করা এই শীতল পাটির। শুধু খাটের বিছানাই নয়, মাদুর, জায়নামাজ, ওয়ালম্যাট, টেবিলম্যাট, বিয়ে শাদী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো এই আদী ঐতিহ্যের। কিন্তু কালের বিবর্তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে চাহিদা হারিয়ে এখন লুপ্তপ্রায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই কুটির শিল্পটি।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মাসব্যাপী লোকজ মেলার প্রদর্শিত গ্যালারির নিজের স্টলে বসে পাটি বুনন শিল্পী শ্রী গীতেশ চন্দ্র দাস জানান, তিনি মৌলভীবাজার থেকে এসেছেন। মৌলভবাজার ও সিলেটের আদী ঐতিহ্য এই শীতল পাটি। জীবিকা নির্বাহের জন্য পূর্বপুরুষদের পেশা হিসেবে তিনিও ধরে আছেন শীতল পাটি বুননের কাজে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুর্তা বেত (পাটি তৈরির বিশেষ বেত) সংগ্রহ করে দৃষ্টিনন্দন পাটি তৈরি করেন। একটি ৫ ফিট বাই ৭ ফিট পাটি তৈরি করতে এক থেকে দেড়শ বেত লাগে। যার মূল্য ৭শ’ টাকা। মুর্তা থেকে বটি বা দা দিয়ে ফালি করে বেত তুলতে সময় লাগে অন্তত ৭ দিন। শ্রেণী ভেদে বিভিন্ন মাপের পাটি বানাতে সময় লাগে ৮ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। তার সাথে পাটি বুনন করেন তার স্ত্রী প্রীতি রানী দাসও। মান অনুযায়ী পাটির দাম নির্ধারণ হয়। সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাপের শীতল পাটি তৈরি করেন। গরমকালে মানুষ খাটে চাদরের পরিবর্তে ব্যবহার করত এই পাটি। শুধু খাটের বিছানাই নয় ওয়ালম্যাট, মাটিতে বসার মাদুর, জায়নামাজ, টেবিলম্যাট, বিয়ে শাদীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো এই পাটির। মূলত পাটি বুনন করে জীবিকা নির্বাহ করত তুলাপুর, যাত্রাপুর, টিনবাড়ি, সাদাপুর, ফতেহপুর, আব্দুল্লাহপুর ও জকিগঞ্জসহ মৌলভীবাজার ও সিলেটের অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ। এটিই ছিল জীবিকা নির্বাহের প্রধান পেশা। এক সময় খুব কদর ছিল শীতল পাটির। কিন্তু কালের বিবর্তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম যেমন ফ্যান, এয়ারকুলার, এয়ারকন্ডিশন এবং প্লাস্টিকের মাদুরের প্রভাবে বর্তমানে শীতল পাটির চাহিদা একেবারেই নেই। যার কারণে পূর্বপুরুষের এই পেশা ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন পাটিকররা। কেউ করছেন ব্যবসা, কেউ চাকরি, আবার কেউ চালাচ্ছেন গাড়ি। তবে তুলাপুর এলাকায় তিনিসহ মাত্র দু’একটি পরিবার ধরে রেখেছেন এই পেশাটি। তার পরে হয়ত আর কেউ এই পেশায় আসবেনা। বাংলাদেশের লুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি সহযোগিতা দিয়ে পাটিকরদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে অদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে শীতল পাটি ও পাটিকর। তবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ২০ বছর যাবত মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলায় শীতল পাটি প্রদর্শনের জন্য নিয়ে আসছে। মেলায় আসলেও বিক্রি নেই বললেই চলে। আদী ঐতিহ্য ধরে রাখার সুবাদে এরই মধ্যে তিনি পেয়েছেন শিল্পাচার্জ জয়নুল আবেদীন আজীবন সম্মাননা। যার মধ্যে রয়েছে তিন লাখ টাকার চেক, দেড় ভড়ি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র। এছাড়াও এই কুটির শিল্পের প্রদর্শনীর জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভ্রমণ করেছেন নেপাল, দক্ষিন কোরিয়া ও জাপান। লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে পরিবারসহ ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা দর্শনার্থী ফারহানা সরকার জানান, শীতল পাটি দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য। একসময় শীতল পাটির ব্যহার ছিল দেশ জুড়ে। ঠা-া অনুভবের জন্য গরমকালে খাটে তোষকের উপর বিছিয়ে ঘুমাতো মানুষ। কিন্তু এখন কম দামের প্লাস্টিক পণ্যে বাজার সয়লাব হওয়ায় প্রায় হারিয়েই গেছে শীতল পাটি। এখন যতটুকুই আছে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। না হলে দ্রুতই হারিয়ে যাবে আমাদের এই ঐতিহ্য শীতল পাটি। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ কে এম আজাদ সরকার জানান, শীতল পাটি আমাদের দেশের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য। আর লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের প্রদর্শণ ও পুনর্জীবন দান করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছর এখানে আয়োজন করা হয় লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি বুনন শিল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এছাড়াও এটিকে সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সংস্থাটি।

back to top