alt

ফুল বিক্রি করে স্বাবলম্বী

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী : বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলা ফুলের বাগান -সংবাদ

বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন ফুলের বাগান। সেই বাগানেই অর্থ এনে দিল জাফর ইকবালকে। এরপর আর থেমে থাকা নয়। ফুলেই ধ্যান-জ্ঞান, ফুলেই জীবিকা। একটু একটু করে এখন তার প্রায় ১০-১৫ বিঘা ফুলের আবাদ। তা ছাড়াও বাড়ির ছাদে ও আশপাশেও ফুল ফলের সমাহার।

আর পেছনে ফিরে তাকানো নয়-শুধুই সামনে চলা। বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি। এলাকার শ্রমিক তার খামারের বিভিন্ন কাজ করেন। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে এলাকার ছিন্নমূল নারী, গরিব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের কর্মসংস্থান করা। দর্শনার্থীরাও আসেন ফুলের গাছ ও ফুল দেখতে। আবার অনেকে বিনামূল্যে ফুল নেন। এতে জাফরের ভালই লাগে। এখন তার প্রতিদিনে আয় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা।

রাজশাহী পবা উপজেলার দামকুড়া ইাউনিয়নের হরিষারডাইং গ্রামের বাসিন্দা জাফর ইকবাল। রাজশাহী শহর থেকে মোল্লাপাড়ার মোড় (লিলি হলের মোড়) মাত্র ১০ টাকা ভাড়াতে চার্জার গাড়িতে যাওয়া যাবে জাফরের ফুলের বাগানে।

ছোটবেলা থেকেই ফুলের বাগান জাফর ইকবালের মন কেড়ে নিত। সংসারে ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে শেষে সিদ্ধান্ত নেন একটি ফুলের বাগান করার। কয়েক প্রজাতির ফুলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন একটি ফুলের বাগান। সেই থেকে এই পথচলা।

সরেজমিনে জানা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে তার ফুলের চাষ। উন্মুক্ত প্রান্তর সবটা জুড়েই চোখে পড়ে বাহারি ফুলের রঙিন সমাহার। বর্গা জমিতে উৎপাদন করেছেন নানান রকমের ফুল। আর এতে ভাগ্য বদলেছে তার। এখন প্রতিদিন তার ফুল বিক্রি ৫ হাজার টাকা।

জানা যায়, কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় কয়েক বছরে তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রজনীগন্ধা, জারবেরা, বিভিন্ন জাতের গোলাপ, গেন্ডারিয়া, ক্যানডুলার, বিভিন্ন জাতের ও কালারের গাঁদা, জিপসি, কালার স্টিক, বাগান বিলাসসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান ফুল।

স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস ও ভ্যালেন্টাইন ডে ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুলের মৌসুম। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের প্রায় সময়ই ফুল বিক্রি হয়ে থাকে।

ফুলচাষি জাফর ইকবাল বলেন, বাণিজ্যিকভাবে নিজ জমিতে ফুল চাষ শুরু করি এবং এতে করে আমিসহ আমার পরিবার আজ সবাই স্বাবলম্বী। বীজ সংগ্রহ কোথায় থেকে করেন ও এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথম প্রথম অনেক দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষে প্রথম অবস্থায় খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা আর চন্দ্র মল্লিকা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, না কৃষি অফিস হতে কোনো রকম সহযোগিতা আমি কখনোই পাইনি।

এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে- কে টার্গেট করে গোলাপের যতœ চলছে। সাধারণভাবে প্রতিটি গোলাপের দাম ৬-১০ টাকা হলেও ভালোবাসা দিবসে তা বেড়ে গিয়ে ২০-৩০-৫০ টাকাও হয়ে যায়। স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে জাফর ইকবালের সুখি সংসার। ছেলে এবারে ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। মেয়ে কেবল স্কুলমুখি হয়েছে। তবে ফুলচাষে স্ত্রী নুশরাত জাহার লিপিও কম যান না। বাড়ির ছাদভর্তি ফুল-ফলের গাছ ও চারা। লিপি জানান, রাজশাহীর প্রতিটি ফুল ও বৃক্ষমেলায় এখান থেকে চারা নিয়ে যায়।

পবা কৃষি অফিস বলেন, ‘এই উপজেলায় ফুল চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। কৃষকদের ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বীজ দিয়ে সহায়তা দেওয়া হয়। অনেক সময় ফুলচাষে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও দেয়া হয়। ফুল বিক্রির পর কৃষকেরা বীজও বিক্রি করে থাকেন। এমনকি তিন শতক জমি থেকে অন্তত ১০ হাজার টাকার চারা বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। অল্প জমিতে স্বল্প সময়ে এই ফুল চাষ করে অধিক উপার্জন করা সম্ভব।’

ছবি

দুর্গাপূজায় তিন স্তরে নিরাপত্তা, প্রয়োজনে ৯৯৯

ছবি

১৭ বিয়ের অভিযোগ ওঠা আলোচিত বন কর্মকর্তা সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

জুলাই শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

না’গঞ্জে ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, আহত ১২

ছবি

চোখ রাঙানি বাড়ছেই এডিসের, কমছে না ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকে আছেন ১৭৮ যাত্রী

ছবি

বিআরটিসি বাস চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দাফনের পূর্বে শিশুর নড়াচড়া, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আটক

ছবি

পাঙ্গাস মাছের পায়েস, দুই ভাই ভাইরাল

ছবি

অফিস-কমিটি-মাঠ সবই আছে, নেই শুধু খেলার আয়োজন

ছবি

সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে খণ্ডকালীন দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

অনুপস্থিত থেকেও নিচ্ছেন বেতন-ভাতা

ছবি

নির্মাণের ১৪ মাসেও চালু হয়নি বরুড়ায় ২০ শয্যার হাসপাতাল

ছবি

দুমকিতে দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

পটিয়ায় অস্ত্রের মুখে মুরগি ব্যবসায়ী অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ছবি

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শ্রীমঙ্গলে জমজমাট পোশাকের বাজার

ছবি

বাক প্রতিবন্ধী মাসুম জীবনযুদ্ধে জয়ী, যা সবার অনুকরনীয়

ছবি

রাজশাহীতে ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক ৮

ছবি

জগন্নাথপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরচে মিলছে ডেলিভারি সেবা

ছবি

গোপালগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত

ছবি

বাগেরহাটে মহাসড়কে প্রাণ গেল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার

ছবি

চুনারুঘাটে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আদমদীঘিতে ১ বছর ধরে বেতন বন্ধ খন্ডকালিন ৫ শিক্ষক-কর্মচারির

ছবি

অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার পথে ৩ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ঈশ্বরদীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

সিরাজদিখানে সড়ক পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ

ছবি

ডিমলায় হিসাবরক্ষণ অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি

ছবি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

কালিগঙ্গায় বালু লুট থামছে না

ছবি

ভৈরবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা

ছবি

ঝিনাইগাতীতে জানজট নিরসনে সক্রিয় ভিডিপির জিলন মিয়া

ছবি

ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত

tab

ফুল বিক্রি করে স্বাবলম্বী

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী : বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলা ফুলের বাগান -সংবাদ

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন ফুলের বাগান। সেই বাগানেই অর্থ এনে দিল জাফর ইকবালকে। এরপর আর থেমে থাকা নয়। ফুলেই ধ্যান-জ্ঞান, ফুলেই জীবিকা। একটু একটু করে এখন তার প্রায় ১০-১৫ বিঘা ফুলের আবাদ। তা ছাড়াও বাড়ির ছাদে ও আশপাশেও ফুল ফলের সমাহার।

আর পেছনে ফিরে তাকানো নয়-শুধুই সামনে চলা। বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি। এলাকার শ্রমিক তার খামারের বিভিন্ন কাজ করেন। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে এলাকার ছিন্নমূল নারী, গরিব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের কর্মসংস্থান করা। দর্শনার্থীরাও আসেন ফুলের গাছ ও ফুল দেখতে। আবার অনেকে বিনামূল্যে ফুল নেন। এতে জাফরের ভালই লাগে। এখন তার প্রতিদিনে আয় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা।

রাজশাহী পবা উপজেলার দামকুড়া ইাউনিয়নের হরিষারডাইং গ্রামের বাসিন্দা জাফর ইকবাল। রাজশাহী শহর থেকে মোল্লাপাড়ার মোড় (লিলি হলের মোড়) মাত্র ১০ টাকা ভাড়াতে চার্জার গাড়িতে যাওয়া যাবে জাফরের ফুলের বাগানে।

ছোটবেলা থেকেই ফুলের বাগান জাফর ইকবালের মন কেড়ে নিত। সংসারে ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে শেষে সিদ্ধান্ত নেন একটি ফুলের বাগান করার। কয়েক প্রজাতির ফুলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন একটি ফুলের বাগান। সেই থেকে এই পথচলা।

সরেজমিনে জানা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে তার ফুলের চাষ। উন্মুক্ত প্রান্তর সবটা জুড়েই চোখে পড়ে বাহারি ফুলের রঙিন সমাহার। বর্গা জমিতে উৎপাদন করেছেন নানান রকমের ফুল। আর এতে ভাগ্য বদলেছে তার। এখন প্রতিদিন তার ফুল বিক্রি ৫ হাজার টাকা।

জানা যায়, কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় কয়েক বছরে তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রজনীগন্ধা, জারবেরা, বিভিন্ন জাতের গোলাপ, গেন্ডারিয়া, ক্যানডুলার, বিভিন্ন জাতের ও কালারের গাঁদা, জিপসি, কালার স্টিক, বাগান বিলাসসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান ফুল।

স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস ও ভ্যালেন্টাইন ডে ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুলের মৌসুম। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের প্রায় সময়ই ফুল বিক্রি হয়ে থাকে।

ফুলচাষি জাফর ইকবাল বলেন, বাণিজ্যিকভাবে নিজ জমিতে ফুল চাষ শুরু করি এবং এতে করে আমিসহ আমার পরিবার আজ সবাই স্বাবলম্বী। বীজ সংগ্রহ কোথায় থেকে করেন ও এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথম প্রথম অনেক দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষে প্রথম অবস্থায় খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা আর চন্দ্র মল্লিকা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, না কৃষি অফিস হতে কোনো রকম সহযোগিতা আমি কখনোই পাইনি।

এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে- কে টার্গেট করে গোলাপের যতœ চলছে। সাধারণভাবে প্রতিটি গোলাপের দাম ৬-১০ টাকা হলেও ভালোবাসা দিবসে তা বেড়ে গিয়ে ২০-৩০-৫০ টাকাও হয়ে যায়। স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে জাফর ইকবালের সুখি সংসার। ছেলে এবারে ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। মেয়ে কেবল স্কুলমুখি হয়েছে। তবে ফুলচাষে স্ত্রী নুশরাত জাহার লিপিও কম যান না। বাড়ির ছাদভর্তি ফুল-ফলের গাছ ও চারা। লিপি জানান, রাজশাহীর প্রতিটি ফুল ও বৃক্ষমেলায় এখান থেকে চারা নিয়ে যায়।

পবা কৃষি অফিস বলেন, ‘এই উপজেলায় ফুল চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। কৃষকদের ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বীজ দিয়ে সহায়তা দেওয়া হয়। অনেক সময় ফুলচাষে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও দেয়া হয়। ফুল বিক্রির পর কৃষকেরা বীজও বিক্রি করে থাকেন। এমনকি তিন শতক জমি থেকে অন্তত ১০ হাজার টাকার চারা বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। অল্প জমিতে স্বল্প সময়ে এই ফুল চাষ করে অধিক উপার্জন করা সম্ভব।’

back to top