alt

দশমিনায় ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি অবশেষে সংস্কার হচ্ছে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামে অযত্ন ও অবহেলায় থাকা প্রাচীন ঐতিহ্যেও মসজিদটি অবশেষে সংস্কার করা হচ্ছে। চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনের প্রাচীন মসজিদ হলেও দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই রকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শনের মসজিদ থাকলেও তার প্রচার না থাকায় কেউ কোন দিন খবর নেয়নি। উপজেলার দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতির অপূর্ব নিদর্শন। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্যের চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনটি ৫শত বছর আগে নির্মাণ করা হয়ে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই এই মসজিদটি ৫শত বছরের বেশি পুরাতন বলে মনে করছে।

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমিরুল্লাহ এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। ৫শত বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতি এবং প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে মাথা উচু করে স্বগৌরবে দাড়িয়ে রয়েছে। মুন্সি আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক দৈন্যতার কারনে রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মসজিদের সৌন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট এবং উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তার ফেটে ভেঙে ইট বের হয়ে গেছে। পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষন না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে দেওয়ালে শেওলা জমে বিবর্ণ হয়ে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদটির পাশেই ৫শত বছরের পুরানো একটি দিঘি রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মুন্সী আমিরউল্লাহর সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮২) জানান, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়নি। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে: আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

অসুস্থতার ভান করে আদালতে আসামি, জামিন নামঞ্জুর, আইনজীবীকে ভর্ৎসনা

ছবি

জরাজীর্ণ অবস্থায় পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

পোরশায় খাস পুকুরের দন্দে বৃদ্ধ নিহত

ছবি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

আখের রস বিক্রি করে সংসার চলে কাশেমের

ছবি

জীবনের বৈঠা হাতে লিয়াকত মাঝি পেট চলে না তবুও হাসি আছে মুখে

ছবি

মধুপুর গড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক বন আলু

ছবি

শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ালেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

ছবি

খোকসায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

নাটোরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৭

ছবি

বেতাগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোচালকের

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসির মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে ২১শ’ জেলে পরিবার পাচ্ছেন মানবিক সহায়তা

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলায় এলজিইডির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের চর জুড়ে কাশফুল ইকো ট্যুরিজমের নতুন দিগন্ত

ছবি

অ্যানথ্রাক্সের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে বাকৃবির গবেষকরা

ছবি

দশমিনায় সড়কের পাশে শীতকালীন সবজির আবাদ, লাভবান কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতায় অসাধু জেলেরা

ছবি

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

ডিমলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যান দিলেন ইউএনও

চুনারুঘাটে ভারতে প্রবেশের সময় যুবক আটক

ছবি

নড়াইলে আ’লীগ নেতা মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি

কলমাকান্দায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে দুই বসতঘরে ডাকাতি

ছবি

দেবিদ্বারে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

ছবি

লালপুরে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

শৈলকুপায় জমি অধিগ্রহণে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় নাসিমা খাতুন

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনা পৌর ভবনের নির্মাণাধীন এসএস গেইট ও গ্রিল অপসারণ

ছবি

উলিপুরে ৬১৪ বস্তা নকল টিএসপি সার ধ্বংস

tab

দশমিনায় ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি অবশেষে সংস্কার হচ্ছে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামে অযত্ন ও অবহেলায় থাকা প্রাচীন ঐতিহ্যেও মসজিদটি অবশেষে সংস্কার করা হচ্ছে। চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনের প্রাচীন মসজিদ হলেও দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই রকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শনের মসজিদ থাকলেও তার প্রচার না থাকায় কেউ কোন দিন খবর নেয়নি। উপজেলার দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতির অপূর্ব নিদর্শন। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্যের চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনটি ৫শত বছর আগে নির্মাণ করা হয়ে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই এই মসজিদটি ৫শত বছরের বেশি পুরাতন বলে মনে করছে।

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমিরুল্লাহ এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। ৫শত বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতি এবং প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে মাথা উচু করে স্বগৌরবে দাড়িয়ে রয়েছে। মুন্সি আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক দৈন্যতার কারনে রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মসজিদের সৌন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট এবং উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তার ফেটে ভেঙে ইট বের হয়ে গেছে। পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষন না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে দেওয়ালে শেওলা জমে বিবর্ণ হয়ে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদটির পাশেই ৫শত বছরের পুরানো একটি দিঘি রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মুন্সী আমিরউল্লাহর সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮২) জানান, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়নি। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

back to top