বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। গত বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।
এ দিন আরও যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তারা হলেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন। এ দিন সকাল ৯টার দিকে তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
ডিসি প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, দীপু মনি, শহীদুল হক, হাজী সেলিম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে, শাহবাগ থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেনন, ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাদেক খান, উত্তরা পূর্ব থানার জুবায়ের ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। সে সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
শমী কায়সারের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) আন্দোলনে অংশ নেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি মিছিল উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি।
পরে গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামায় ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দিগ্ধ আসামি।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। গত বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।
এ দিন আরও যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তারা হলেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন। এ দিন সকাল ৯টার দিকে তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
ডিসি প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, দীপু মনি, শহীদুল হক, হাজী সেলিম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে, শাহবাগ থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেনন, ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাদেক খান, উত্তরা পূর্ব থানার জুবায়ের ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। সে সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
শমী কায়সারের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) আন্দোলনে অংশ নেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি মিছিল উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি।
পরে গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামায় ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দিগ্ধ আসামি।