সিরাজগঞ্জ : বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে আগাম আবাদ করা বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলার চলন বিল অধ্যসিত উল্লাপাড়া ও তাড়াশ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা মাঠে পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন। বোরো (হাইব্রিড), বোরো (উফশী) এবং স্থানীয় জাতের ধানসহ নানা জাতের ধান এ বছর আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা আগাম জাতের বোরো ধান করেছেন, তাদের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি অধিদপাতর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১,৪১,৭৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলনও ভারৈা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক রশিদ মিয়া এবং চৌবিলার কৃষকরা জানান, শুভলতা ধান কেটে মাড়াই করার পর বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ হারে ফলন হয়েছে। অন্যদিকে, গোজা গ্রামের পাশাণ সরকার বলেন, কাটারীভোগ ধান বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ মণ হারে ফলন হয়েছে।
এছাড়া, বোরো ধান কাটা কাজে গ্রামীণ মজুরদের চাহিদা বেড়েছে, এবং মজুরির দামও বাড়ছে। বর্তমানে একজন কামলার দিনে মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হচ্ছে। গোজা গ্রামের আহেজ সরকার জানান, তারা বিঘা প্রতি ৩,৬০০ টাকা চুক্তিতে ধান কেটে কৃষকদের বাড়িতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, এবারের মৌসুমে উল্লাপাড়া উপজেলায় ৩০,৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব মাঠেই কম-বেশি পরিমাণে বোরো ধান আবাদ হয়েছে, যেখানে হাইব্রিড জাতের ধান বেশি ফলনশীল হয়েছে। এবং, গত সাত দিন ধরে রামকৃষ্ণপুর ও সলঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। তিনি আরো জানন কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা করার ফলে ধানে কোনো রোগ-বালাই হয়নি। তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, আগাম আবাদ করা ধান এবারে ভালো ফলন দিয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশ উপজেলায় এবছর ২২,৫০৫ হেক্টর জমিকে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কটা শুরু হয়েছে। ধানের জাত ধেদে প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ মন ধান হচ্ছে।
বিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আ.জা.মুআহসান শহিদ সরকার বলেন এবছর জেলায় ১,৪১, ৭৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতি মধ্যেই আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরাজগঞ্জ : বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সিরাজগঞ্জে আগাম আবাদ করা বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলার চলন বিল অধ্যসিত উল্লাপাড়া ও তাড়াশ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা মাঠে পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন। বোরো (হাইব্রিড), বোরো (উফশী) এবং স্থানীয় জাতের ধানসহ নানা জাতের ধান এ বছর আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা আগাম জাতের বোরো ধান করেছেন, তাদের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি অধিদপাতর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১,৪১,৭৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলনও ভারৈা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক রশিদ মিয়া এবং চৌবিলার কৃষকরা জানান, শুভলতা ধান কেটে মাড়াই করার পর বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ হারে ফলন হয়েছে। অন্যদিকে, গোজা গ্রামের পাশাণ সরকার বলেন, কাটারীভোগ ধান বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ মণ হারে ফলন হয়েছে।
এছাড়া, বোরো ধান কাটা কাজে গ্রামীণ মজুরদের চাহিদা বেড়েছে, এবং মজুরির দামও বাড়ছে। বর্তমানে একজন কামলার দিনে মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হচ্ছে। গোজা গ্রামের আহেজ সরকার জানান, তারা বিঘা প্রতি ৩,৬০০ টাকা চুক্তিতে ধান কেটে কৃষকদের বাড়িতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, এবারের মৌসুমে উল্লাপাড়া উপজেলায় ৩০,৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব মাঠেই কম-বেশি পরিমাণে বোরো ধান আবাদ হয়েছে, যেখানে হাইব্রিড জাতের ধান বেশি ফলনশীল হয়েছে। এবং, গত সাত দিন ধরে রামকৃষ্ণপুর ও সলঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। তিনি আরো জানন কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা করার ফলে ধানে কোনো রোগ-বালাই হয়নি। তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, আগাম আবাদ করা ধান এবারে ভালো ফলন দিয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশ উপজেলায় এবছর ২২,৫০৫ হেক্টর জমিকে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কটা শুরু হয়েছে। ধানের জাত ধেদে প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ মন ধান হচ্ছে।
বিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আ.জা.মুআহসান শহিদ সরকার বলেন এবছর জেলায় ১,৪১, ৭৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতি মধ্যেই আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।