সাতক্ষীরা : ভোমরা স্থলবন্দর -সংবাদ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে চাল আমদানি উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।রোববার,(১১ মে ২০২৫) বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা আমদানি বৃদ্ধির পেছনে ভ’মিকা রেখেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১৩ অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টন- যার আমদানি মূল্য ছিল ৮৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এদিকে বন্দর দিয়ে ব্যাপক আমদানির পাশাপাশি ভরা বোরো মৌসুমে নতুন চাল বাজারে ওঠার পরও দাম কমছে না। রোববার সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি চাল বিক্রি প্রতিষ্ঠান ও আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট ও আটাশ জাতের নতুন চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬১-৬২ টাকায়। এ সময় নতুন বাসমতী চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮২ টাকা। এ ছাড়া মোটা জাতের নতুন চাল ৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুলতানপুর বড় বাজারে পুরনো চাল প্রকারভেদে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে শহরের চালতেতলা এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও তপন রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার সাহা জানান, নতুন চাল বাজারে আসার পর পাইকারি বাজারে কেজিতে ২-৩ টাকা দাম কমেছে।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের পারকুখরালী গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর জানান, চলতি মৌসুমে জেলার বোরো ধানের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে ভোমরা বন্দর দিয়েও প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে। এরপরও চালের দাম উল্লেখযোগ্য কমেনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৪-২৫ বোরো মৌসুমে জেলায় চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬ টন। আবাদ হয়েছে ৮০ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, এবার জেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা : ভোমরা স্থলবন্দর -সংবাদ
রোববার, ১১ মে ২০২৫
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে চাল আমদানি উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।রোববার,(১১ মে ২০২৫) বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা আমদানি বৃদ্ধির পেছনে ভ’মিকা রেখেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১৩ অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টন- যার আমদানি মূল্য ছিল ৮৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এদিকে বন্দর দিয়ে ব্যাপক আমদানির পাশাপাশি ভরা বোরো মৌসুমে নতুন চাল বাজারে ওঠার পরও দাম কমছে না। রোববার সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি চাল বিক্রি প্রতিষ্ঠান ও আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট ও আটাশ জাতের নতুন চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬১-৬২ টাকায়। এ সময় নতুন বাসমতী চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮২ টাকা। এ ছাড়া মোটা জাতের নতুন চাল ৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুলতানপুর বড় বাজারে পুরনো চাল প্রকারভেদে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে শহরের চালতেতলা এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও তপন রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার সাহা জানান, নতুন চাল বাজারে আসার পর পাইকারি বাজারে কেজিতে ২-৩ টাকা দাম কমেছে।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের পারকুখরালী গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর জানান, চলতি মৌসুমে জেলার বোরো ধানের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে ভোমরা বন্দর দিয়েও প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে। এরপরও চালের দাম উল্লেখযোগ্য কমেনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৪-২৫ বোরো মৌসুমে জেলায় চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬ টন। আবাদ হয়েছে ৮০ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, এবার জেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।