সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আরেফিন তুরান (৩০) হত্যার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম মনিকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরার শাখার সদস্যরা। রোববার,(১১ মে ২০২৫) ভোর ৪টার দিকে টানা ৫৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক খুনি মনিরুল ইসলাম উপজেলার ৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা শাখার প্রধান রেজাউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের একটি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে তারই নেতৃত্বে সাতক্ষীরা শাখার অন্যান্য র্যাবের সদস্যদের নিয়ে কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর সহযোগিতায় কুষ্টিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মুনিরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামীকে সাতক্ষীরা নিয়ে এসে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয় বলে তিনি জানান।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাইফুল ইসলাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে তার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামি তার বাবা নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ ও র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদি নিহত তুরানের বড় ভাই তুষার বলেন, তার ছোট ভাইয়ের খুনি মনিরুল গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনিসহ তার পরিবারের সবাই খুবই খুশি। তার ভাইয়ের হত্যার যেন সঠিক বিচার হয় এবং যারা এই হত্যার ইন্দন দিয়েছিল তাদেরও যেন গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার হয় এ দাবি তিনি করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তুরান তার দোকানের ভাড়াটিয়া মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের কাছে পাওনাকৃত ২০ হাজার টাকা চাইতে যান। এ নিয়ে উভয়ে মধ্যে কথাকাটাকাটির মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে বাজারের লোকজন ছুটে এসে তাদের উভয়কে থামিয়ে দিয়ে এবং সরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে মনিরুল তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে তুরানকে পেছনদিক থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তুরান রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে খুলনা সিটি হাতপাতালে ভর্তি করা হয় এবং মাথায় অস্ত্রপাচার শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এরপর বাড়িতে রেখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ মার্চ সকাল ১০টার দিকে তুরানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তুরানের আপন বড় ভাই শাহারিয়ার আরেফিন তুষার বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় মনিরুল ও তার বাবা নূরুল ইসলামকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আরেফিন তুরান (৩০) হত্যার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম মনিকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরার শাখার সদস্যরা। রোববার,(১১ মে ২০২৫) ভোর ৪টার দিকে টানা ৫৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক খুনি মনিরুল ইসলাম উপজেলার ৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা শাখার প্রধান রেজাউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের একটি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে তারই নেতৃত্বে সাতক্ষীরা শাখার অন্যান্য র্যাবের সদস্যদের নিয়ে কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর সহযোগিতায় কুষ্টিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মুনিরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামীকে সাতক্ষীরা নিয়ে এসে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয় বলে তিনি জানান।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাইফুল ইসলাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে তার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামি তার বাবা নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ ও র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদি নিহত তুরানের বড় ভাই তুষার বলেন, তার ছোট ভাইয়ের খুনি মনিরুল গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনিসহ তার পরিবারের সবাই খুবই খুশি। তার ভাইয়ের হত্যার যেন সঠিক বিচার হয় এবং যারা এই হত্যার ইন্দন দিয়েছিল তাদেরও যেন গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার হয় এ দাবি তিনি করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তুরান তার দোকানের ভাড়াটিয়া মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের কাছে পাওনাকৃত ২০ হাজার টাকা চাইতে যান। এ নিয়ে উভয়ে মধ্যে কথাকাটাকাটির মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে বাজারের লোকজন ছুটে এসে তাদের উভয়কে থামিয়ে দিয়ে এবং সরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে মনিরুল তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে তুরানকে পেছনদিক থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তুরান রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে খুলনা সিটি হাতপাতালে ভর্তি করা হয় এবং মাথায় অস্ত্রপাচার শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এরপর বাড়িতে রেখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ মার্চ সকাল ১০টার দিকে তুরানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তুরানের আপন বড় ভাই শাহারিয়ার আরেফিন তুষার বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় মনিরুল ও তার বাবা নূরুল ইসলামকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।