নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন কে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার লাশ বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানের পোল এলাকার একটি কচুরি পানার ডোবায় ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দুইজন হত্যাকারীকে গনপিটুনি দিয়ে আটক করে বেধে রাখে। পরে পুলিশ এসে বিকেল ৪টার দিকে সেখান থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মেস্ত্রীর ছেলে। সে স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘জাকির বাহিনী’র প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে পসানাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি ভেুক (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি সিএনজি চালিত যানবাহনে করে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে, সিএনজি থেকে পাশের বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ান পোল এলাকার একটি খালের মধ্যে জাকিরের মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলে। তারা সিএনজিকে ধাওয়া করে বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে সেটি আটক করে। এ সময় সিএনজি চালক ও ভেতরে থাকা বাবু নামের এক ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একইসাথে খাল থেকে জাকিরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, নজরুলের সঙ্গে জাকিরের বিরোধের কথা আমরা শুনেছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা ও ছিনতাইসহ সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য থানায় আরও মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন কে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার লাশ বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানের পোল এলাকার একটি কচুরি পানার ডোবায় ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দুইজন হত্যাকারীকে গনপিটুনি দিয়ে আটক করে বেধে রাখে। পরে পুলিশ এসে বিকেল ৪টার দিকে সেখান থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মেস্ত্রীর ছেলে। সে স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘জাকির বাহিনী’র প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে পসানাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি ভেুক (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি সিএনজি চালিত যানবাহনে করে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে, সিএনজি থেকে পাশের বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ান পোল এলাকার একটি খালের মধ্যে জাকিরের মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলে। তারা সিএনজিকে ধাওয়া করে বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে সেটি আটক করে। এ সময় সিএনজি চালক ও ভেতরে থাকা বাবু নামের এক ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একইসাথে খাল থেকে জাকিরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, নজরুলের সঙ্গে জাকিরের বিরোধের কথা আমরা শুনেছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা ও ছিনতাইসহ সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য থানায় আরও মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।