পলাশ (নরসিংদী) : চলাচলে অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন -সংবাদ
পলাশ উপজেলার প্রধান সড়ক ঘোড়াশাল বাইপাস-ঘোড়া চত্বর সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য ছোট বড় গর্ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রী ও যান চালকদের ।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সার কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ-আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জুট মিলসহ অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজের যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কে ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক কিলোমিটার সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে । সড়কের ওপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় ১ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত কাদা জমে রয়েছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন। অটোরিকশা চালক শাহাজাল মিয়া জানান, এখানের এক কিলোমিটার পথ যেতে ৪০ সেকেন্ড সময় লাগার কথা। কিন্তু বড় বড় গর্ত থাকার কারণে ১০ মিনিট সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
আমাদের গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়। আরেক অটোরিকশা চালক মজিবুরর রহমান জানান, এটি সড়ক, নাকি খাল বোঝাই যায় না। বড় গর্ত ও পানি থাকায় এ সড়কে দিয়ে রিকশা নিয়ে যাওয়া যায় না। ঝুকি থাকার যাত্রী কম। আমাদেও উপার্জনও কমে গেছে। সড়কের পাশের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মারুফ বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে বড় বড় গর্ত, বৃষ্টি হলে পানি জমে।
বৃষ্টি না হলে প্রচুর ধুলাবালু উড়ে ও যানবাহনের প্রকট শব্দে সমস্যা হচ্ছে। ক্রেতারা এই সড়ক দিয়ে দোকানে আসছে না। পণ্য বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। আলাউদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, ৩ বছর ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা। মানুষজন অসুস্থ হলে হাসপাতালেও নেয়া যায় না। শিক্ষার্থী শাওন, রাফসান ও অভিভাবকরা জানান, এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করে। বিভিন্ন স্থানে গর্তে পানি জমে থাকে। আর এ গর্তে জমে থাকা কাদাপানি ছিটকে পড়ে পোশাক নষ্ট হয়। অবস্থা এতই খারাপ যে, হেঁটেও চলা যায় না।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য নরসিংদী প্রশাসনের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে। নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই রাব্বি বলেন, এই সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই ঠিকাদারের মাধ্যমে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
পলাশ (নরসিংদী) : চলাচলে অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
পলাশ উপজেলার প্রধান সড়ক ঘোড়াশাল বাইপাস-ঘোড়া চত্বর সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য ছোট বড় গর্ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রী ও যান চালকদের ।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সার কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ-আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জুট মিলসহ অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজের যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কে ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক কিলোমিটার সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে । সড়কের ওপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় ১ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত কাদা জমে রয়েছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন। অটোরিকশা চালক শাহাজাল মিয়া জানান, এখানের এক কিলোমিটার পথ যেতে ৪০ সেকেন্ড সময় লাগার কথা। কিন্তু বড় বড় গর্ত থাকার কারণে ১০ মিনিট সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
আমাদের গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়। আরেক অটোরিকশা চালক মজিবুরর রহমান জানান, এটি সড়ক, নাকি খাল বোঝাই যায় না। বড় গর্ত ও পানি থাকায় এ সড়কে দিয়ে রিকশা নিয়ে যাওয়া যায় না। ঝুকি থাকার যাত্রী কম। আমাদেও উপার্জনও কমে গেছে। সড়কের পাশের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মারুফ বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে বড় বড় গর্ত, বৃষ্টি হলে পানি জমে।
বৃষ্টি না হলে প্রচুর ধুলাবালু উড়ে ও যানবাহনের প্রকট শব্দে সমস্যা হচ্ছে। ক্রেতারা এই সড়ক দিয়ে দোকানে আসছে না। পণ্য বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। আলাউদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, ৩ বছর ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা। মানুষজন অসুস্থ হলে হাসপাতালেও নেয়া যায় না। শিক্ষার্থী শাওন, রাফসান ও অভিভাবকরা জানান, এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করে। বিভিন্ন স্থানে গর্তে পানি জমে থাকে। আর এ গর্তে জমে থাকা কাদাপানি ছিটকে পড়ে পোশাক নষ্ট হয়। অবস্থা এতই খারাপ যে, হেঁটেও চলা যায় না।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য নরসিংদী প্রশাসনের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে। নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই রাব্বি বলেন, এই সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই ঠিকাদারের মাধ্যমে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।