alt

সারাদেশ

হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর) : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বৈশাখের তীব্র তাপদহে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বৈশাখের তীব্র গরমের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে ভর্তি রোগীসহ বহির বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক এবং নার্সদেরকে। গত ১৫ দিনে ৭০ তেকে ৮০ জন রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। ডায়রিয়া রোগীদের স্যালাইন, সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। সরেজমিনে গত ১৩ মে (মঙ্গলবার) সকালে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সব বেডেই রোগী ভর্তি হয়ে আছেন। এছাড়াও গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ শ্যযার এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬০ জন রোগী। বেড না পেয়ে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীরা। অপরদিকে, গত ১৩ মে (মঙ্গলবার) হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মোতাবেক বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন বয়সের ৩৪৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১০ জন, নারী ১৭৩ জন এবং শিশু ৬৩ জন। হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, গত ১২ মে (সোমবার) হাসপাতালে নতুন ভর্তিসহ মোট ৬০ জন ভর্তি ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ভর্তি হয়ে থাকা রোগী হাসনা বেগম বলেন, গত ২ দিন আগে হঠাৎ করে আমার ছেলের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বেড না থাকায় মেঝেতে বেড তৈরি করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। অপর আরেকজন রোগী বলেন, বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে ইরি ধান কাটা মারায় এর কাজ করছি। হঠাৎ বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫) থেকে আমার পেটের ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেওয়ার পরে বর্তমানে একটু সুস্থ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া এক শিশুর অভিভাবক বলেন, গত ২-৩ আগে আমার এবং আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার পর বর্তমানে আমরা দুই জনই সুস্থ আছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স মাহফুজা খাতুন জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন করে ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮ থেকে ১০ জন করে রোগী ভর্তি নিতে হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্করা রয়েছেন। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বৈশাখের তীব্র গরমের কারণে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর হিলি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন থেকে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তীব্র গরমের কারণে মা, শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া রোগে ভুগছে বলে মনে করছি। তবে আমাদের হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন পর্যাপ্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসাল্টেন্ট, সার্জন এবং মেডিকেল অফিসারসহ মোট ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২ জন। ফলে ভর্তি এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। বেশ কিছুদিন থেকে মাষ্টার রোলে কিছু নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ইতোমধ্যে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক পেলে সেবার মান আরও বেড়ে যাবে। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড না থাকায় অনেক সময় রোগীরা মেঝেতে বেড করে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। অনেক রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, এই গরমে ভাজা পোড়া খাবার কম খেতে হবে। খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে এবং অবশিষ্ট খাবার ভালো ভাবে ঢেকে রাখতে হবে। তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে। সেই সাথে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

ড্রোন উদ্ধার করে থানায় জমা, তদন্ত করছে পুলিশ

ছবি

ব্যাংক ডাকাতি মামলার আসামি কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন

ছবি

বাগাতিপাড়ার সাইদুর বাঁচতে চান

ছবি

রংপুরে স্বর্ণের দোকানে অভিনব কায়দায় ১শ ভরি গহনা লুট

কলমাকান্দা পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন

শ্রীমঙ্গলে জানকী ছড়ায় দুর্লভ প্রজাতির পাখি ব্রাউন ফিশওউল

পুঠিয়ায় আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

ছবি

মঙ্গলবাড়িয়ার গাছে গাছে ঝুলছে রঙিন লিচু, ১০ কোটি টাকা বিক্রির আশা

২ জেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ মৃত্যু ৩

ডুমুরিয়ায় আত্মহত্যাসহ বাড়ছে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ২ জন নিহত

পূর্বধলায় পানিতে ডুবে দাদি-নাতনির মৃত্যু

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চাঁদপুরে মাকে হত্যা দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

ধান শুকাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

ছবি

দশমিনায় দুই নদীতে জাল দিয়ে চলছে রেণুপোনা নিধন

চকরিয়ায় ক্রিস্টাল মেথসহ গ্রেপ্তার ৩

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইয়াবা ও গরুসহ আটক ২

ছবি

ঘোড়াশালের প্রধান সড়কটি চলাচলের অযোগ্য

ছবি

গোপালগঞ্জে কোরবানির জন্য ৪০ হাজার পশু প্রস্তুত

রাণীনগরে সরকারি জায়গায় বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা, অভিযানে দখলমুক্ত

মাদারগঞ্জে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস

মালয়েশিয়ায় ভবন থেকে পড়ে চুনারুঘাটের যুবকের মৃত্যু

কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ডিমলা থানার কাজকর্ম

বজ্রপাতে বিজিবি সদস্য নিহত, আহত ৫

ছবি

গাইবান্ধা সদরের ধান খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

ভুল চিকিৎসায় রোগীর ১৮ দাঁতে পচন

ছবি

মহাসড়কের পাশে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, অপসারণের দাবি

সোনাইমুড়ীতে নকশা পরিবর্তন করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ, জনমনে অসন্তোষ

হবিগঞ্জের চেয়ারম্যানকে সিলেটে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

যুবলীগ নেতাকে হত্যা, আটক ২

মাদারগঞ্জে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা তুলে লাপাত্তা অফিস সহকারী

ছবি

রাজশাহী অঞ্চলে আলু উৎপাদনের খরচ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পর্শে নারীর মৃত্যু

tab

সারাদেশ

হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর)

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বৈশাখের তীব্র তাপদহে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বৈশাখের তীব্র গরমের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে ভর্তি রোগীসহ বহির বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক এবং নার্সদেরকে। গত ১৫ দিনে ৭০ তেকে ৮০ জন রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। ডায়রিয়া রোগীদের স্যালাইন, সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। সরেজমিনে গত ১৩ মে (মঙ্গলবার) সকালে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সব বেডেই রোগী ভর্তি হয়ে আছেন। এছাড়াও গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ শ্যযার এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬০ জন রোগী। বেড না পেয়ে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীরা। অপরদিকে, গত ১৩ মে (মঙ্গলবার) হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মোতাবেক বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন বয়সের ৩৪৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১০ জন, নারী ১৭৩ জন এবং শিশু ৬৩ জন। হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, গত ১২ মে (সোমবার) হাসপাতালে নতুন ভর্তিসহ মোট ৬০ জন ভর্তি ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ভর্তি হয়ে থাকা রোগী হাসনা বেগম বলেন, গত ২ দিন আগে হঠাৎ করে আমার ছেলের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বেড না থাকায় মেঝেতে বেড তৈরি করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। অপর আরেকজন রোগী বলেন, বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে ইরি ধান কাটা মারায় এর কাজ করছি। হঠাৎ বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫) থেকে আমার পেটের ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেওয়ার পরে বর্তমানে একটু সুস্থ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া এক শিশুর অভিভাবক বলেন, গত ২-৩ আগে আমার এবং আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার পর বর্তমানে আমরা দুই জনই সুস্থ আছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স মাহফুজা খাতুন জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন করে ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮ থেকে ১০ জন করে রোগী ভর্তি নিতে হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্করা রয়েছেন। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বৈশাখের তীব্র গরমের কারণে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর হিলি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন থেকে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তীব্র গরমের কারণে মা, শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া রোগে ভুগছে বলে মনে করছি। তবে আমাদের হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন পর্যাপ্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসাল্টেন্ট, সার্জন এবং মেডিকেল অফিসারসহ মোট ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২ জন। ফলে ভর্তি এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। বেশ কিছুদিন থেকে মাষ্টার রোলে কিছু নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ইতোমধ্যে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক পেলে সেবার মান আরও বেড়ে যাবে। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড না থাকায় অনেক সময় রোগীরা মেঝেতে বেড করে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। অনেক রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, এই গরমে ভাজা পোড়া খাবার কম খেতে হবে। খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে এবং অবশিষ্ট খাবার ভালো ভাবে ঢেকে রাখতে হবে। তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে। সেই সাথে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

back to top