ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ বগি ও ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। সংযোগ হুক ভেঙে যাওয়ায় শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নেত্রকোণার চল্লিশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ট্রেনটির ইঞ্জিন একটি বগি নিয়ে নেত্রকোণার বড় রেলস্টেশনে পৌঁছে যায়, আর বাকি বগিগুলো থেকে যায় একটি রেলসেতুর ওপর। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বড় রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “শ্যামগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর ট্রেনটি পুনরায় ছেড়ে কিছুদূর এগোনোর পর চল্লিশা এলাকায় সংযোগ হুক ভেঙে যায়। এতে ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ এগিয়ে যায়, আর অন্যান্য বগি পেছনে পড়ে থাকে।”
তিনি আরও জানান, “ময়মনসিংহ থেকে একটি বিকল্প ইঞ্জিন ও টেকনিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। তারা পৌঁছানোর পর ট্রেন উদ্ধারে কাজ শুরু করবে।”
বগি ফেলে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটি ব্রিজের ওপর থেমে গেলে যাত্রীরা নিজের উদ্যোগে ট্রেন থেকে নেমে যানবাহন খুঁজতে শুরু করেন।
মোহনগঞ্জ শহরের যাত্রী রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, “ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে উঠি। শ্যামগঞ্জ পার হওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনের গতি কমে আসে। পরে জানতে পারি ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। বাধ্য হয়ে মালপত্র নিয়ে বাস ও সিএনজিতে রওনা হই। খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।”
রাতের আঁধারে ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বগির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আশপাশে অপেক্ষা করছেন বা বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা করছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সংযোগ হুকের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ বগি ও ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। সংযোগ হুক ভেঙে যাওয়ায় শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নেত্রকোণার চল্লিশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ট্রেনটির ইঞ্জিন একটি বগি নিয়ে নেত্রকোণার বড় রেলস্টেশনে পৌঁছে যায়, আর বাকি বগিগুলো থেকে যায় একটি রেলসেতুর ওপর। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বড় রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “শ্যামগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর ট্রেনটি পুনরায় ছেড়ে কিছুদূর এগোনোর পর চল্লিশা এলাকায় সংযোগ হুক ভেঙে যায়। এতে ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ এগিয়ে যায়, আর অন্যান্য বগি পেছনে পড়ে থাকে।”
তিনি আরও জানান, “ময়মনসিংহ থেকে একটি বিকল্প ইঞ্জিন ও টেকনিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। তারা পৌঁছানোর পর ট্রেন উদ্ধারে কাজ শুরু করবে।”
বগি ফেলে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটি ব্রিজের ওপর থেমে গেলে যাত্রীরা নিজের উদ্যোগে ট্রেন থেকে নেমে যানবাহন খুঁজতে শুরু করেন।
মোহনগঞ্জ শহরের যাত্রী রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, “ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে উঠি। শ্যামগঞ্জ পার হওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনের গতি কমে আসে। পরে জানতে পারি ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। বাধ্য হয়ে মালপত্র নিয়ে বাস ও সিএনজিতে রওনা হই। খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।”
রাতের আঁধারে ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বগির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আশপাশে অপেক্ষা করছেন বা বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা করছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সংযোগ হুকের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।