ঘর মানে শুধু টিন আর কাঠ নয়, সেখানে থাকে কারো শৈশব, কারো স্বপ্ন, কারো শেষ সম্বল। আর সেই ঘরই একদিনের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই, পুড়েছে বাসিন্দাদের স্বপ্নও। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বৃদ্ধমরিচ গ্রামের কাজিপাড়ার শাহাদত হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবাদের দাবি, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
জানা গেছে, গত ৯ জুন দিবাগত রাতে খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর সিকেবি আলিম মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী ও মসজিদের মোয়াজ্জেন আব্দুল গণিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরদিন (১০ জুন) সকালে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহাদতকে হত্যাকারী সন্দেহ করে পুলিশে সপর্দ করে গ্রামবাসী। পরে গ্রামের কিছু লোক মব তৈরি করে শাহাদতের বাড়ির সদস্যদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর শাহাদতসহ তার ছয় ভাই ও বোনের ঘরে একযোগে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। ছাই হয়ে যায় এক পরিবারের সাতটি শাখার শত বছরের জীবনের অর্জন। তারা খোলা আকাশের নিচে, খাবার ও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মোট সাত ভাইবোন। আমাদেও ঘরের নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ, আসবাবপত্র, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ দুর্বৃত্তরা মব তৈরি করে লুট করে নিয়ে গেছে। এরপর আগুনে সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে দুইদিন ঘোরায়। পরে বলে, আদালতে যান। আমরা এখন রাস্তায় পড়ে আছি, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হয়।’
আরেক সদস্য খাদিজা খাতুন বলেন, আমার স্বামীসহ আরও দুই দেবর প্রবাসে থাকে। তাদের দেয়া সমস্ত স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
তারপর বাড়িতে আগুন দিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছি আমাদেরকে। কিন্তু থানায় গিয়েও কোনো বিচার পাচ্ছি না, আমরা এখন কোথায় যাব? কার কাছে যাবে?
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আগুন দেয়ার ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ঘর মানে শুধু টিন আর কাঠ নয়, সেখানে থাকে কারো শৈশব, কারো স্বপ্ন, কারো শেষ সম্বল। আর সেই ঘরই একদিনের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই, পুড়েছে বাসিন্দাদের স্বপ্নও। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বৃদ্ধমরিচ গ্রামের কাজিপাড়ার শাহাদত হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবাদের দাবি, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
জানা গেছে, গত ৯ জুন দিবাগত রাতে খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর সিকেবি আলিম মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী ও মসজিদের মোয়াজ্জেন আব্দুল গণিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরদিন (১০ জুন) সকালে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহাদতকে হত্যাকারী সন্দেহ করে পুলিশে সপর্দ করে গ্রামবাসী। পরে গ্রামের কিছু লোক মব তৈরি করে শাহাদতের বাড়ির সদস্যদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর শাহাদতসহ তার ছয় ভাই ও বোনের ঘরে একযোগে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। ছাই হয়ে যায় এক পরিবারের সাতটি শাখার শত বছরের জীবনের অর্জন। তারা খোলা আকাশের নিচে, খাবার ও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মোট সাত ভাইবোন। আমাদেও ঘরের নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ, আসবাবপত্র, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ দুর্বৃত্তরা মব তৈরি করে লুট করে নিয়ে গেছে। এরপর আগুনে সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে দুইদিন ঘোরায়। পরে বলে, আদালতে যান। আমরা এখন রাস্তায় পড়ে আছি, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হয়।’
আরেক সদস্য খাদিজা খাতুন বলেন, আমার স্বামীসহ আরও দুই দেবর প্রবাসে থাকে। তাদের দেয়া সমস্ত স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
তারপর বাড়িতে আগুন দিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছি আমাদেরকে। কিন্তু থানায় গিয়েও কোনো বিচার পাচ্ছি না, আমরা এখন কোথায় যাব? কার কাছে যাবে?
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আগুন দেয়ার ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’