মাগুরার মহম্মদপুরে নহাটা ইউনিয়নের দু’টো গ্রাম বেজড়া ও মশাখালি গ্রামে মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারের জেরে পৃথক সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৩৫ টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে মাত্র এক হাজার টাকা পাওনা টাকা দিতে দিতে না পারায় প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এসময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বারের বাড়িসহ ৩৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট করা ও দুইটি ট্রাকটার ভাংচুর করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় তদন্ত কেন্দের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা একই গ্রামের ইউনুস মোল্যার ছেলে মশিউরের কাছে এক হাজার টাকা পেতো সোমবার বিকালে নহাটা বাজারে করিমের সাথে মশিউরের দেখা হলে পাওনা এক হাজার টাকা চাই। টাকা দিতে অস্বীকার করলে করিমের সাথে মশিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আলোচনা করে দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সন্ধ্যার দিকে করিম মোল্যার সমর্থকরা আরবের চায়ের দোকানে মশিউরের আপন ভাই শফিকে পেলে ব্যাপক আকারে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনার জের ধরে পরে দিন মঙ্গলবার সকালে আবারও করিম মোল্যার পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা পাভেল, ইমদাদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার ও দেলজারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বার ও মশিউরের সমর্থকদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে নারীসহ সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় রাজিয়া (৭৫), জুই (১৬), মেরি (৪০) কে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অপর সংঘর্ষে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের মশাখালী গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন আলমগীর গ্রুপের আলমগীর হোসেন(৩৫), শাহাদত ফকির(৪৮), সোলেমান ফকির(৫৩), ওমর ফকির(৪৫), জাহাঙ্গীর(৪০)।
এর মধ্যে তৌহিদ মেম্বার গ্রুপের রাব্বি মোল্লা(২৬), ও সুফিয়ান মোল্লা (৩৫) গুরুতর আহত হয়ে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে গেছেন।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
মাগুরার মহম্মদপুরে নহাটা ইউনিয়নের দু’টো গ্রাম বেজড়া ও মশাখালি গ্রামে মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারের জেরে পৃথক সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৩৫ টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে মাত্র এক হাজার টাকা পাওনা টাকা দিতে দিতে না পারায় প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এসময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বারের বাড়িসহ ৩৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট করা ও দুইটি ট্রাকটার ভাংচুর করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় তদন্ত কেন্দের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা একই গ্রামের ইউনুস মোল্যার ছেলে মশিউরের কাছে এক হাজার টাকা পেতো সোমবার বিকালে নহাটা বাজারে করিমের সাথে মশিউরের দেখা হলে পাওনা এক হাজার টাকা চাই। টাকা দিতে অস্বীকার করলে করিমের সাথে মশিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আলোচনা করে দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সন্ধ্যার দিকে করিম মোল্যার সমর্থকরা আরবের চায়ের দোকানে মশিউরের আপন ভাই শফিকে পেলে ব্যাপক আকারে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনার জের ধরে পরে দিন মঙ্গলবার সকালে আবারও করিম মোল্যার পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা পাভেল, ইমদাদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার ও দেলজারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বার ও মশিউরের সমর্থকদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে নারীসহ সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় রাজিয়া (৭৫), জুই (১৬), মেরি (৪০) কে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অপর সংঘর্ষে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের মশাখালী গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন আলমগীর গ্রুপের আলমগীর হোসেন(৩৫), শাহাদত ফকির(৪৮), সোলেমান ফকির(৫৩), ওমর ফকির(৪৫), জাহাঙ্গীর(৪০)।
এর মধ্যে তৌহিদ মেম্বার গ্রুপের রাব্বি মোল্লা(২৬), ও সুফিয়ান মোল্লা (৩৫) গুরুতর আহত হয়ে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে গেছেন।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।