রংপুরের পীরগাছায় পারুল ইউনিয়নে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় ৩৬৭ দরিদ্র পরিবার নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যাচাই-বাছাই ও লটারির সময় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন অনুপস্থিত থাকলেও ছেলে সুমন সাংবাদিকদের অফিসে প্রবেশে বাধা দেন। প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও অন্য সদস্যরা জনসম্মুখে বিভিন্ন জনকে টাকা দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করেন।
জানা যায়, পীরগাছায় চলতি মাসে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) দুস্থ মাতা কর্মসূচির সুবিধাভোগী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে।
তারই অংশ হিসেবে আজ বুধবরি উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদে লটারি করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রকাশ্যে জনসম্মুখে লটারী করার কথা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে দায়সারা ভাবে লটারি শেষ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা পরিষদ চত্ত্বর ত্যাগ করেন।
পারুল ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সুমন ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, সুবিধা গ্রহনের জন্য আবেদন করেন ৮৫২ জন, যাচাই-বাছাই শেষে লটারির জন্য প্রস্তুত ৭৫২ জন, আর বাতিল করা হয় ১৩০ জনকে।
কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের রংপুরের উপপরিচালক সেলোয়ারা বেগম জানান, ১০ জন গ্রাম পুলিশের জন্য একটি করে কার্ড সংরক্ষণ রেখে ৩৫৭ জনের বিপরীতে ৮৫২ টি আবেদনের উপর লটারি করা হয়েছে। তবে সাদা কাগজে লটারি করার বিষয়ে তিনি বলেন, যদি হয়ে থাকে তাহলে অন্যায় হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিজয় কুমার রায়, আব্দুস সালাম, মাহমুদুল ও তছলিমা নাছরিনের উপস্থিতিতে সাদা কাগজ দিয়ে লটারি করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুলতান আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম জনসম্মুখে অভিযোগ করেন, আবেদনের পর গ্রাম পুলিশ মোস্তাককে দিয়ে আমার নিকট সাত হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। আমি দিতে পারি নাই বলে আমার নাম লটারিতে নেই, পরে তাকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিশ্রুতিসহ নগদ দুইশত টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এভাবে অনেকে অভিযোগ করেন, যারা টাকা দিয়েছেন তাদের নাম দিয়ে লটারি করা হয়েছে। যারা টাকা দেননি তাদের নাম নেই।
কয়েকজন ইউপি. সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেক জনের নিকট তাঁরা ৫/৭ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তবে কেউ-কেউ আবার বলেছেন যদি কেউ আমাদেরকে স্বেচ্ছায় টাকা দেন তাহলে নিতে অসুবিধা কোথায়।
অন্য এক ইউপি সদস্যরা বলেন, একেক জন কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। পত্রিকায় নিউজ না করার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গণমাধ্যম কর্মীদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এব্যপারে রংপুর জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ময়নুল ইসলাম সংবাদকে জানান, সাদা কাগজে লটারি করা অপরাধ। যদি কেউ এধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় পারুল ইউনিয়নে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় ৩৬৭ দরিদ্র পরিবার নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যাচাই-বাছাই ও লটারির সময় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন অনুপস্থিত থাকলেও ছেলে সুমন সাংবাদিকদের অফিসে প্রবেশে বাধা দেন। প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও অন্য সদস্যরা জনসম্মুখে বিভিন্ন জনকে টাকা দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করেন।
জানা যায়, পীরগাছায় চলতি মাসে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) দুস্থ মাতা কর্মসূচির সুবিধাভোগী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে।
তারই অংশ হিসেবে আজ বুধবরি উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদে লটারি করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রকাশ্যে জনসম্মুখে লটারী করার কথা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে দায়সারা ভাবে লটারি শেষ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা পরিষদ চত্ত্বর ত্যাগ করেন।
পারুল ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সুমন ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, সুবিধা গ্রহনের জন্য আবেদন করেন ৮৫২ জন, যাচাই-বাছাই শেষে লটারির জন্য প্রস্তুত ৭৫২ জন, আর বাতিল করা হয় ১৩০ জনকে।
কিন্তু মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের রংপুরের উপপরিচালক সেলোয়ারা বেগম জানান, ১০ জন গ্রাম পুলিশের জন্য একটি করে কার্ড সংরক্ষণ রেখে ৩৫৭ জনের বিপরীতে ৮৫২ টি আবেদনের উপর লটারি করা হয়েছে। তবে সাদা কাগজে লটারি করার বিষয়ে তিনি বলেন, যদি হয়ে থাকে তাহলে অন্যায় হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিজয় কুমার রায়, আব্দুস সালাম, মাহমুদুল ও তছলিমা নাছরিনের উপস্থিতিতে সাদা কাগজ দিয়ে লটারি করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুলতান আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম জনসম্মুখে অভিযোগ করেন, আবেদনের পর গ্রাম পুলিশ মোস্তাককে দিয়ে আমার নিকট সাত হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। আমি দিতে পারি নাই বলে আমার নাম লটারিতে নেই, পরে তাকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিশ্রুতিসহ নগদ দুইশত টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এভাবে অনেকে অভিযোগ করেন, যারা টাকা দিয়েছেন তাদের নাম দিয়ে লটারি করা হয়েছে। যারা টাকা দেননি তাদের নাম নেই।
কয়েকজন ইউপি. সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেক জনের নিকট তাঁরা ৫/৭ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তবে কেউ-কেউ আবার বলেছেন যদি কেউ আমাদেরকে স্বেচ্ছায় টাকা দেন তাহলে নিতে অসুবিধা কোথায়।
অন্য এক ইউপি সদস্যরা বলেন, একেক জন কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। পত্রিকায় নিউজ না করার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গণমাধ্যম কর্মীদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এব্যপারে রংপুর জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ময়নুল ইসলাম সংবাদকে জানান, সাদা কাগজে লটারি করা অপরাধ। যদি কেউ এধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।