alt

news » bangladesh

পলাশের সুজন দত্ত জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক শিক্ষক

প্রতিনিধি,পলাশ (নরসিংদী) : সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুজন দও জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক শিক্ষক।

প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবলের সফলতার এক শিক্ষা গুরু। সুজন চন্দ্র দত্ত একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষক। মাত্র চার বছর বয়সে আক্রান্ত হয় টাইফয়েডে। সুস্হ হলেও তার ডান পা হয়ে যায় নিথর ও একটু খাঁটো। কিন্তু শৈশব হতেই তার মেধা ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল তাকে জীবন যুদ্ধে করে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বর্তমানে নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক। প্রতিবন্ধী হয়েও তিনি জীবন যুদ্ধে হার মানেন নি। শিক্ষক সুজন চন্দ্র দত্ত স্বাভাবিক ভাবে হাটতে পারেন না। শৈশব হতেই তার ডান পা স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা ছোট। স্বাভাবিক চলাফেরার জন্য বাঁশের একটি লাঠি তার চলার পথের নিত্য সঙ্গী। প্রতিদিন তিনি পলাশ উপজেলার সানের বাড়ি গ্রাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজে থেকে গিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।স্কুলেও তার সুনাম যথেষ্ট। শারীরিক পঙ্গুত্বের কারনে স্কুল কলেজে লেখা পড়ার সময় তিনি অনেকের কাছে অবহেলার পাত্র হয়েছেন। সুজন দত্তের মনে ছিল প্রচন্ড আতœবিশ্বাস, সততা, আন্তরিকতা, পড়ালেখার প্রতি ভালোবাসা। তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবার। তাইতো মানুষের সকল সমালোচনা, অবহেলাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার সানেরবাড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৯১ সালে সানের বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি , ১৯৯৩ সালে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ থেকে এইচ এস সি , ১৯৯৫ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ৩০০ নম্বরে র ইংরেজি সহ গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সানেরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্ত তার মন তৃপ্ত হয়নি।

তিনি বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখেন। ২০০০ সালে পাঁচদোনা স্যার কে. জি. গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সুজন দত্ত সংবাদকে জানান, দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়, ইচ্ছা ও মনোবল থাকলে যে কেউই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। আমার দৈহিক সমস্যা থাকলেও আমার স্বপ্ন ছিল জীবনে একটা কিছু করবো। তিনি সংবাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সংসার জীবনে সুজন দত্ত ২০০৩ সালে পলাশ উপজেলার রাবান গ্রামের তরনী করের ৩য় মেয়ে লীনা রানী করের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এক মেয়ে এক ছেলে। সুজন দত্তের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তার সংসারে অভাব থাকলেও কোনো অশান্তি নেই। স্ত্রী লীনা রানী আঁচল দিয়ে তার সংসার আগলে রেখেছেন। তার এক মেয়ে, এক ছেলে। সন্তানদের মানুষ করাই তার এক মাএ স্বপ্ন। ২০১০ সালে তিনি ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি এড ডিগ্রী অর্জন করেন। ভালো পড়ানোর কারনে তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাএীদের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শিক্ষক সুজন দত্ত বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। টাকা দিয়ে যে পেশার মূল্যায়ন করা যায় না। তিনি আগামী দিনের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। পলাশের সুজন দত্ত জীবন

ছবি

ধর্ম হোক শান্তির শক্তি, বিভেদের নয়: আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তারা

ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ডিপিইর ৯ নির্দেশনা

ছবি

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারসহ ৬ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি

চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তর

ছবি

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন হাইকোর্টে

ছবি

জমি বিরোধে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

ছবি

চালের আমদানি স্বাভাবিক, তবু বাজার চড়া, ক্ষুব্ধ ভোক্তারা

ছবি

নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

ছবি

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

পোরশায় মাদ্রাসার শয়ন কক্ষে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

পটুয়াখালী তালবীজ ও গাছ রোপণের কার্যক্রম শুরু

ছবি

ঘোড়াঘাটে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ৩ শ্বাশুড়িসহ ৭৬ জন ভুয়া প্রতিবন্ধীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

ময়মনসিংহে সিপিবির পঞ্চদশ জেলা সম্মেলন

ছবি

নাফনদীতে বাংলাদেশি জেলেদের মধ্যে বাড়ছে অপহরণ আতঙ্ক

ছবি

মুকসুদপুরে গাছের পোকা বিক্রি করে চলে শতাধিক পরিবারের সংসার

ছবি

হাজীগঞ্জে অফিস না করে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক

ছবি

মেঘনার নৌ-ডাকাত আক্তার গ্রেপ্তার

ছবি

স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাইদ’ স্কুল

ছবি

ঝালকাঠিতে ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছবি

মুন্সীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দিলেই গুলি করার হুমকি

ছবি

শ্রীমঙ্গলের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক গ্রাম নোয়াগাঁও

ছবি

আদিবাসীদের কারাম উৎসব

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণে ধীরগতি, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ছবি

রংপুরে দশটি একনলা বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার

ছবি

নড়াইলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক! জনমনে স্বস্তি

ছবি

ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতি খলিলুর রহমানের ইন্তেকাল

ছবি

আড়াইহাজারে গণপিটুনীতে ডাকাত নিহত

ছবি

ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

ছবি

পেরেক-তারকাঁটার খোঁচায় কাঁদছে চান্দিনার বৃক্ষরাজি

ছবি

মধুপুর গড়ে বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য ২৫মাইল বাজার

ছবি

চকরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু লুটের মহোৎসব চলছে

ছবি

পার্বতীপুর পৌরসভায় জনবল সংকটে উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত

ছবি

শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্তিমিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম

ছবি

গৌরনদীতে ডোবায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

ছবি

সিংগাইরে থেমে নেই এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ারের অনিয়ম

tab

news » bangladesh

পলাশের সুজন দত্ত জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক শিক্ষক

প্রতিনিধি,পলাশ (নরসিংদী)

সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুজন দও জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক শিক্ষক।

প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবলের সফলতার এক শিক্ষা গুরু। সুজন চন্দ্র দত্ত একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষক। মাত্র চার বছর বয়সে আক্রান্ত হয় টাইফয়েডে। সুস্হ হলেও তার ডান পা হয়ে যায় নিথর ও একটু খাঁটো। কিন্তু শৈশব হতেই তার মেধা ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল তাকে জীবন যুদ্ধে করে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বর্তমানে নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক। প্রতিবন্ধী হয়েও তিনি জীবন যুদ্ধে হার মানেন নি। শিক্ষক সুজন চন্দ্র দত্ত স্বাভাবিক ভাবে হাটতে পারেন না। শৈশব হতেই তার ডান পা স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা ছোট। স্বাভাবিক চলাফেরার জন্য বাঁশের একটি লাঠি তার চলার পথের নিত্য সঙ্গী। প্রতিদিন তিনি পলাশ উপজেলার সানের বাড়ি গ্রাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজে থেকে গিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।স্কুলেও তার সুনাম যথেষ্ট। শারীরিক পঙ্গুত্বের কারনে স্কুল কলেজে লেখা পড়ার সময় তিনি অনেকের কাছে অবহেলার পাত্র হয়েছেন। সুজন দত্তের মনে ছিল প্রচন্ড আতœবিশ্বাস, সততা, আন্তরিকতা, পড়ালেখার প্রতি ভালোবাসা। তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবার। তাইতো মানুষের সকল সমালোচনা, অবহেলাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার সানেরবাড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৯১ সালে সানের বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি , ১৯৯৩ সালে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ থেকে এইচ এস সি , ১৯৯৫ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ৩০০ নম্বরে র ইংরেজি সহ গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সানেরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্ত তার মন তৃপ্ত হয়নি।

তিনি বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখেন। ২০০০ সালে পাঁচদোনা স্যার কে. জি. গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সুজন দত্ত সংবাদকে জানান, দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়, ইচ্ছা ও মনোবল থাকলে যে কেউই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। আমার দৈহিক সমস্যা থাকলেও আমার স্বপ্ন ছিল জীবনে একটা কিছু করবো। তিনি সংবাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সংসার জীবনে সুজন দত্ত ২০০৩ সালে পলাশ উপজেলার রাবান গ্রামের তরনী করের ৩য় মেয়ে লীনা রানী করের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এক মেয়ে এক ছেলে। সুজন দত্তের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তার সংসারে অভাব থাকলেও কোনো অশান্তি নেই। স্ত্রী লীনা রানী আঁচল দিয়ে তার সংসার আগলে রেখেছেন। তার এক মেয়ে, এক ছেলে। সন্তানদের মানুষ করাই তার এক মাএ স্বপ্ন। ২০১০ সালে তিনি ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি এড ডিগ্রী অর্জন করেন। ভালো পড়ানোর কারনে তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাএীদের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শিক্ষক সুজন দত্ত বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। টাকা দিয়ে যে পেশার মূল্যায়ন করা যায় না। তিনি আগামী দিনের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। পলাশের সুজন দত্ত জীবন

back to top