বেতাগী (বরগুনা) : শারদীয় দুর্গোৎসবের কাজ করছেন কারিগররা -সংবাদ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বাকি মাত্র ২০ দিন। চারদিকে এখনই শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। এ আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ দেবী দুর্গার প্রতিমা। সময় ঘনিয়ে আসায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মৃৎশিল্পীরা। সরেজমিন দেখা গেছে, বেতাগী উপজেলায় ৩১ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে। বেতাগী জেলেপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে বিমল পালের নেতৃত্বে সুনিপুণভাবে প্রতিমা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন মৃৎশিল্পী। শুধু জেলেপাড়া নয় উপজেলাজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চলছে দুর্গোৎসবের আনন্দ। কথা দুর্গাপূজার এক সেট প্রতিমা তৈরিতে মৃৎশিল্পীরা নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বেতাগী পৌর শহরের সার্বজনীন হরিসভায় দূর্গা মন্দির, উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী দক্ষিণপাড়, মোকামিয়া সুধীর মাষ্টারের বাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা তৈরির জন্য মন্দির কমিটির নেতারা আসছেন মৃৎশিল্পীদের কাছে। ইতোমধ্যে সকল পূজা মন্ডপের প্রতিমার মাটির কাজ প্রতিমা কাজ সম্পর্ন্ন হয়েছে। জেলেপাড়া পূজামন্দিরের মৃৎশিল্পী বিমল পাল বলেন, আপাতত ৫টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। প্রতিমার গড়ন হয়ে গেছে। পূজার এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত প্রতিমা প্রস্তুতের কাজ চলবে। পূজাম-পের পুরোহিত অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, শারদ উৎসবের মূলত তিন পর্বের। মহালয়া, বোধন ও সন্ধ্যাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। সাধারণত আশ্বিন মাসের প্রথমপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পরবর্তী সময়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাচ দিন যথাক্রমে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতনদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব শেষ হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, আমরা বেতাগীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গোৎসব পালন করে থাকি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৩১ টি পূজা ম-পে দেবীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, দুর্গোৎসব নিরবচ্ছিন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আশা করছি, প্রতিবারের মতোই সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে। বেতাগী পৌরসভার সার্বজনীন জেলেপাড়া দূর্গা মন্দিরের মাটির কাজ করছেন বিমল পাল।
বেতাগী (বরগুনা) : শারদীয় দুর্গোৎসবের কাজ করছেন কারিগররা -সংবাদ
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বাকি মাত্র ২০ দিন। চারদিকে এখনই শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। এ আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ দেবী দুর্গার প্রতিমা। সময় ঘনিয়ে আসায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মৃৎশিল্পীরা। সরেজমিন দেখা গেছে, বেতাগী উপজেলায় ৩১ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে। বেতাগী জেলেপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে বিমল পালের নেতৃত্বে সুনিপুণভাবে প্রতিমা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন মৃৎশিল্পী। শুধু জেলেপাড়া নয় উপজেলাজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চলছে দুর্গোৎসবের আনন্দ। কথা দুর্গাপূজার এক সেট প্রতিমা তৈরিতে মৃৎশিল্পীরা নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বেতাগী পৌর শহরের সার্বজনীন হরিসভায় দূর্গা মন্দির, উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী দক্ষিণপাড়, মোকামিয়া সুধীর মাষ্টারের বাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা তৈরির জন্য মন্দির কমিটির নেতারা আসছেন মৃৎশিল্পীদের কাছে। ইতোমধ্যে সকল পূজা মন্ডপের প্রতিমার মাটির কাজ প্রতিমা কাজ সম্পর্ন্ন হয়েছে। জেলেপাড়া পূজামন্দিরের মৃৎশিল্পী বিমল পাল বলেন, আপাতত ৫টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। প্রতিমার গড়ন হয়ে গেছে। পূজার এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত প্রতিমা প্রস্তুতের কাজ চলবে। পূজাম-পের পুরোহিত অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, শারদ উৎসবের মূলত তিন পর্বের। মহালয়া, বোধন ও সন্ধ্যাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। সাধারণত আশ্বিন মাসের প্রথমপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পরবর্তী সময়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাচ দিন যথাক্রমে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতনদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব শেষ হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, আমরা বেতাগীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গোৎসব পালন করে থাকি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৩১ টি পূজা ম-পে দেবীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, দুর্গোৎসব নিরবচ্ছিন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আশা করছি, প্রতিবারের মতোই সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে। বেতাগী পৌরসভার সার্বজনীন জেলেপাড়া দূর্গা মন্দিরের মাটির কাজ করছেন বিমল পাল।