গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৮৫ টি মন্ডেপে শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে দেবীবন্দনার প্রস্তুতি চলছে। পূজা আয়োজনের প্রাথমিক পর্বের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তারা কাঠামো তৈরি , ব্যানাবটা, মাটি ও প্রতিমার কারু কাজ করছেন নিপূণ হাতে। তাই মন্ডপে-মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা দেবী মূর্তি তৈরীতে ব্যাপক মনোনিবেশ করেছেন। জেলা প্রশাসন পূজার প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে। এছাড়া মন্ডপ কমিটিগুলোও পূজার আয়োজন শুরু করে দিয়েছে।মন্ডপের সাজ-সজ্জা, প্রতিমার অলংকরণ ও আলোক সজ্জা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পূজা মন্ডপের তালিকা থেকে জানাগেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৮৫ টি মন্ডেপে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যচ্ছে । এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫২টি , কাশিয়ানী উপজেলায় ২২৪টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২১‘টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৮টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯০টি মন্ডপে পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি চলছে । আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে।এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী ও ২ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। গত বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে জেলার পূজা মন্ডপের তালিকা ঢাকা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসবকে আমরা উৎসব মুখর করতে চাই। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।তিনি ধর্মীয় সপ্রীতি বজায় রাখতে সব ধর্মের মানুষের প্রতি আহবান জানন।
প্রতিমা শিল্পী উত্তম পাল বলেন, এবছর ৬ টি মূর্তি তৈরীর কাজ পেয়েছি।ইতিমধ্যে ৪টির কাজ শেষ করেছি। ব্যংকপাড়া মন্ডপে পঞ্চমতম মূর্তি তৈরীর কাজ করছি । এরপর আরো একটি মন্ডপে মূর্তি তৈরী করব। তাই এখন প্রচন্ড ব্যস্ততা যাচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির এ বাজারে কাজ করে যা পাই,তাদিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। তারপরও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছি। দেবীর কৃপা পাওয়ার প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি। গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়া সর্বজনীন পূজা মন্ডপের সদস্য সচিব অনুপ বিশ্বাস বলেন, আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে মন্ডপে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ বছর আমাদের পূজা ৪১ তম বর্ষে পদার্পন করছে। আলোকসজ্জা, প্রতিমা অলংকরণ, মন্ডপ সজ্জা, পূজা সহ আনুসঙ্গিক খরচ নিয়ে সম্ভাব্য বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, শারদীয়া দুর্গোৎসব আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপান ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমরা উদযাপন করব। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। আমরা মন্দির কমিটির সাথে বৈঠক করে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করব। নিরাপত্তার জন্য সব মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। মন্ডপগুলোতে পুলিশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছসেবক রাখব। শান্তিপূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বাজিয়ে রেখে আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করব।
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৮৫ টি মন্ডেপে শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে দেবীবন্দনার প্রস্তুতি চলছে। পূজা আয়োজনের প্রাথমিক পর্বের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তারা কাঠামো তৈরি , ব্যানাবটা, মাটি ও প্রতিমার কারু কাজ করছেন নিপূণ হাতে। তাই মন্ডপে-মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা দেবী মূর্তি তৈরীতে ব্যাপক মনোনিবেশ করেছেন। জেলা প্রশাসন পূজার প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে। এছাড়া মন্ডপ কমিটিগুলোও পূজার আয়োজন শুরু করে দিয়েছে।মন্ডপের সাজ-সজ্জা, প্রতিমার অলংকরণ ও আলোক সজ্জা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পূজা মন্ডপের তালিকা থেকে জানাগেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৮৫ টি মন্ডেপে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যচ্ছে । এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫২টি , কাশিয়ানী উপজেলায় ২২৪টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২১‘টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৮টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯০টি মন্ডপে পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি চলছে । আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে।এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী ও ২ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। গত বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে জেলার পূজা মন্ডপের তালিকা ঢাকা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসবকে আমরা উৎসব মুখর করতে চাই। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।তিনি ধর্মীয় সপ্রীতি বজায় রাখতে সব ধর্মের মানুষের প্রতি আহবান জানন।
প্রতিমা শিল্পী উত্তম পাল বলেন, এবছর ৬ টি মূর্তি তৈরীর কাজ পেয়েছি।ইতিমধ্যে ৪টির কাজ শেষ করেছি। ব্যংকপাড়া মন্ডপে পঞ্চমতম মূর্তি তৈরীর কাজ করছি । এরপর আরো একটি মন্ডপে মূর্তি তৈরী করব। তাই এখন প্রচন্ড ব্যস্ততা যাচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির এ বাজারে কাজ করে যা পাই,তাদিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। তারপরও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছি। দেবীর কৃপা পাওয়ার প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি। গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়া সর্বজনীন পূজা মন্ডপের সদস্য সচিব অনুপ বিশ্বাস বলেন, আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে মন্ডপে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ বছর আমাদের পূজা ৪১ তম বর্ষে পদার্পন করছে। আলোকসজ্জা, প্রতিমা অলংকরণ, মন্ডপ সজ্জা, পূজা সহ আনুসঙ্গিক খরচ নিয়ে সম্ভাব্য বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, শারদীয়া দুর্গোৎসব আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপান ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমরা উদযাপন করব। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। আমরা মন্দির কমিটির সাথে বৈঠক করে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করব। নিরাপত্তার জন্য সব মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। মন্ডপগুলোতে পুলিশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছসেবক রাখব। শান্তিপূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বাজিয়ে রেখে আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করব।