ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জিল বাংলা সুগার মিলস্ লিমিটেডের সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় কৃষকের ন্যায্যতার পাশে দাঁড়ানো ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএিম) সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। কৃষকবান্ধব এই কর্মকর্তার বদলি প্রত্যাহার চাইছেন মিল জোনের আখ চাষীরা ।
চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে মিলের সহকারী আখ উন্নয়ন কর্মী (সিডিএ) সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ওভার রাইটিং করে সার ও কীটনাশক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন আখ চাষিরা । এতে মিলের ৫৪টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিটের ৫২ জন কৃষকের ঋণপত্রে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৬নং ইউনিটের ভুক্তভোগী আবুল হাসেম, ২৯ নং ইউনিটের ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান, মুখলেসুর রহমান, ৩১নং ইউনিটের দুলাল মিয়া, আবু সাইদ, জালাল মিয়াসহ অনেকেই দুর্নীতির বিচার চেয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের কাছে যান। অভিযোগের দায়ে মিল কর্তৃপক্ষ সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ভুক্তভোগী কৃষকের পাশে থেকে হক কথা বলার জন্য মিলের ডিজিএম সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে মোবারকগঞ্জ সুগার
মিলসে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি কৃষকদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আলাউদ্দিনের বদলি প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলনে যাবেন বলে কৃষকরা গতকাল রোববার খরমা বাজারে জমায়েত হয়। এসময় আখ চাষি জহুরুল ইসলাম, নূর ইসলাম, মুছা আলী, হেলাল উদ্দিনসহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, কৃষকের সাথে মিলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে আখ চাষ বন্ধ করা হয়েছিলো। আখের অভাবে মিল বন্ধের উপক্রম হয়েছিলো। তখন মিলের কর্মকর্তা আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কৃষকবান্ধব কর্মকর্তা কৃষকদের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই কৃষকবান্ধব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বিষষ মানার মতো নয়। তার বদলি প্রত্যাহার চায়। নয়তো আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও জানান আখ চাষীরা।
বদলির বিষয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএিম) সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলসে বদলি করা হয়েছে। অফিসের নির্দেশ মানতেই হবে। জিল বাংলা সুগার মিলসে কৃষক এবং মিলের উন্নয়ন চিন্তা করে কৃষকদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি । কৃষকরা ফের জিল বাংলা সুগার মিলস্ কর্মকর্তা হিসেবে চাইছে। এটা কর্মজীবনের একটি স্বার্থকতার বহিঃপ্রকাশ।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তার বদলির বিষয়ে এই মিল থেকে কোন নোট দেওয়া হয়নি। সে হয়ত মৌখিকভাবে বদলি চেয়েছিলো। তাই তাকে কর্পোরেশন বদলি দিয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জিল বাংলা সুগার মিলস্ লিমিটেডের সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় কৃষকের ন্যায্যতার পাশে দাঁড়ানো ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএিম) সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। কৃষকবান্ধব এই কর্মকর্তার বদলি প্রত্যাহার চাইছেন মিল জোনের আখ চাষীরা ।
চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে মিলের সহকারী আখ উন্নয়ন কর্মী (সিডিএ) সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ওভার রাইটিং করে সার ও কীটনাশক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন আখ চাষিরা । এতে মিলের ৫৪টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিটের ৫২ জন কৃষকের ঋণপত্রে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৬নং ইউনিটের ভুক্তভোগী আবুল হাসেম, ২৯ নং ইউনিটের ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান, মুখলেসুর রহমান, ৩১নং ইউনিটের দুলাল মিয়া, আবু সাইদ, জালাল মিয়াসহ অনেকেই দুর্নীতির বিচার চেয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের কাছে যান। অভিযোগের দায়ে মিল কর্তৃপক্ষ সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ভুক্তভোগী কৃষকের পাশে থেকে হক কথা বলার জন্য মিলের ডিজিএম সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে মোবারকগঞ্জ সুগার
মিলসে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি কৃষকদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আলাউদ্দিনের বদলি প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলনে যাবেন বলে কৃষকরা গতকাল রোববার খরমা বাজারে জমায়েত হয়। এসময় আখ চাষি জহুরুল ইসলাম, নূর ইসলাম, মুছা আলী, হেলাল উদ্দিনসহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, কৃষকের সাথে মিলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে আখ চাষ বন্ধ করা হয়েছিলো। আখের অভাবে মিল বন্ধের উপক্রম হয়েছিলো। তখন মিলের কর্মকর্তা আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কৃষকবান্ধব কর্মকর্তা কৃষকদের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই কৃষকবান্ধব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বিষষ মানার মতো নয়। তার বদলি প্রত্যাহার চায়। নয়তো আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও জানান আখ চাষীরা।
বদলির বিষয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএিম) সম্প্রসারণ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলসে বদলি করা হয়েছে। অফিসের নির্দেশ মানতেই হবে। জিল বাংলা সুগার মিলসে কৃষক এবং মিলের উন্নয়ন চিন্তা করে কৃষকদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি । কৃষকরা ফের জিল বাংলা সুগার মিলস্ কর্মকর্তা হিসেবে চাইছে। এটা কর্মজীবনের একটি স্বার্থকতার বহিঃপ্রকাশ।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তার বদলির বিষয়ে এই মিল থেকে কোন নোট দেওয়া হয়নি। সে হয়ত মৌখিকভাবে বদলি চেয়েছিলো। তাই তাকে কর্পোরেশন বদলি দিয়েছে।