পিক-আপ ভ্যানের দাবি টহল পুলিশের
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসনী সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে আরআরএফ পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সেতুর হরিপুর এলাকা থেকে চিলমারী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরত্ব পায়ে হেঁটে টহল দেয়া অত্যন্ত কষ্টকর হচ্ছে। সে কারনে পিক-আপ ভ্যানের দাবি করেছেন টহল পুলিশ।
সেই সঙ্গে সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হয়ে যাওয়া তার গত বৃহস্পতিবার হতে সংযোগ দিতে শুরু করেছেন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
গত ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রংপুর রেঞ্জের আর আর এফ পুলিশকে সেতুর নিরপত্তার দায়িত্ব বুঝে দিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ। আপাতত সেতুর হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থান করে সেতুর নিরাপত্তায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ- চিলমারী তিস্তা নদীর উপর গত ২০ আগষ্ট ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করা হয়। সেইদিন সন্ধ্যায় সেতুর দুই পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী সরিয়ে নেয়া হয়। ওইদিন রাতেই ল্যামপোস্টের ৩১০ মিটার বিদ্যুতের তার চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২৪ আগস্ট রোববার রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন যুবক হাদিয়া জামান ও মোকছেদুল ইসলাম। এটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর পর মোতায়ন করা হয় পুলিশ।
সেতুর দায়িত্বে থাকা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই মামুন মিয়া বলেন, সেতুটি দেড় কিলোমিটার এছাড়া সেতুর দুই পাশে আরও এক কিলোমিটারসহ মোট আড়াই কিলোমিটার টহল দিতে হয়। পায়ে হেঁটে টহল দেয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সে কারনে একটি পিক-আপ ভ্যান জরুরী। পিক-আপ ভ্যান হলে দায়িত্ব পালন আরও বেগবান হবে। সেতু এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের যেকোন দপ্তর হতে একটি পিক-আপ ভ্যান সরবরাহ করলে দায়িত্ব পালনে অনেকটা সুবিধা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর সোমবার হতে সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে পুলিশি টহল চালু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হতে সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হওয়া তার পুনরায় সংযোগ দেয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যগণ দ্রুত কাজ করছেন। আশা করা যাচ্ছে রোববার ও সোমবারের মধ্যে তার সংযোগের কাজ শেষ হবে। সংযোগ হয়ে গেলে সেতু এলাকায় আলো ছড়িয়ে পড়বে। পুলিশের পিক-আপ ভ্যানের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, টহল পুলিশ পিক-আপ ভ্যানের বিষয়টি জানিয়েছেন। সেতু ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে এলজিইডির বাস্তবায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুতে মোট ৩১টি স্প্যান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনসহ প্রকল্পে প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার।
পিক-আপ ভ্যানের দাবি টহল পুলিশের
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসনী সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে আরআরএফ পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সেতুর হরিপুর এলাকা থেকে চিলমারী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরত্ব পায়ে হেঁটে টহল দেয়া অত্যন্ত কষ্টকর হচ্ছে। সে কারনে পিক-আপ ভ্যানের দাবি করেছেন টহল পুলিশ।
সেই সঙ্গে সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হয়ে যাওয়া তার গত বৃহস্পতিবার হতে সংযোগ দিতে শুরু করেছেন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
গত ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রংপুর রেঞ্জের আর আর এফ পুলিশকে সেতুর নিরপত্তার দায়িত্ব বুঝে দিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ। আপাতত সেতুর হরিপুর এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থান করে সেতুর নিরাপত্তায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ- চিলমারী তিস্তা নদীর উপর গত ২০ আগষ্ট ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করা হয়। সেইদিন সন্ধ্যায় সেতুর দুই পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী সরিয়ে নেয়া হয়। ওইদিন রাতেই ল্যামপোস্টের ৩১০ মিটার বিদ্যুতের তার চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২৪ আগস্ট রোববার রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন যুবক হাদিয়া জামান ও মোকছেদুল ইসলাম। এটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর পর মোতায়ন করা হয় পুলিশ।
সেতুর দায়িত্বে থাকা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই মামুন মিয়া বলেন, সেতুটি দেড় কিলোমিটার এছাড়া সেতুর দুই পাশে আরও এক কিলোমিটারসহ মোট আড়াই কিলোমিটার টহল দিতে হয়। পায়ে হেঁটে টহল দেয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সে কারনে একটি পিক-আপ ভ্যান জরুরী। পিক-আপ ভ্যান হলে দায়িত্ব পালন আরও বেগবান হবে। সেতু এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের যেকোন দপ্তর হতে একটি পিক-আপ ভ্যান সরবরাহ করলে দায়িত্ব পালনে অনেকটা সুবিধা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর সোমবার হতে সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে পুলিশি টহল চালু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হতে সেতুর ল্যাম্পপোষ্টের চুরি হওয়া তার পুনরায় সংযোগ দেয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যগণ দ্রুত কাজ করছেন। আশা করা যাচ্ছে রোববার ও সোমবারের মধ্যে তার সংযোগের কাজ শেষ হবে। সংযোগ হয়ে গেলে সেতু এলাকায় আলো ছড়িয়ে পড়বে। পুলিশের পিক-আপ ভ্যানের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, টহল পুলিশ পিক-আপ ভ্যানের বিষয়টি জানিয়েছেন। সেতু ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে এলজিইডির বাস্তবায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুতে মোট ৩১টি স্প্যান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনসহ প্রকল্পে প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার।