ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘হায়ার অ্যাডুকেশন অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার একদিনের মাথায় নিয়োগ বাতিল হওয়া অধ্যাপককে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার স্থলে নিয়োগ পাওয়া নতুন পরিচালকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আশিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
জানা যায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোলায়মান ৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ হিট প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু এর পরদিন, ১৪ মার্চ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে সেই নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি সমর্থক হওয়ার অজুহাতে তাকে বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক আসাদুজ্জামানকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ আদেশ বাতিলের পর অধ্যাপক সোলায়মান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন এই সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন অধ্যাপক সোলায়মানের অপসারণের আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করে তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেয়া হবে না। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, সরকারি প্রকল্পের পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখা আবশ্যক। কোনো প্রকার আন্তঃকমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিয়োগ আদেশ বাতিল করায় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক সোলায়মানের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই রাজনৈতিকভাবে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘হায়ার অ্যাডুকেশন অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার একদিনের মাথায় নিয়োগ বাতিল হওয়া অধ্যাপককে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার স্থলে নিয়োগ পাওয়া নতুন পরিচালকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আশিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
জানা যায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোলায়মান ৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ হিট প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু এর পরদিন, ১৪ মার্চ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে সেই নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি সমর্থক হওয়ার অজুহাতে তাকে বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক আসাদুজ্জামানকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ আদেশ বাতিলের পর অধ্যাপক সোলায়মান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন এই সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন অধ্যাপক সোলায়মানের অপসারণের আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করে তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেয়া হবে না। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, সরকারি প্রকল্পের পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখা আবশ্যক। কোনো প্রকার আন্তঃকমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিয়োগ আদেশ বাতিল করায় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক সোলায়মানের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই রাজনৈতিকভাবে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।