ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন নামে এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে দুপুরে বিক্ষোভ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। অন্যথায় তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। এ ঘটনায় র্যাব আবদুর রব নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে। এছাড়াও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ আরও একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
জানা গেছে, সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার নেলি লজ নামের একটি তিন তলা ভবনের দোতলার ভাড়া বাসা থেকে নগরীর সুজানগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিনের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহতরা নগরীর সুজানগর এলাকার হলেও গত ৫-৬ বছর ধরে কালিয়াজুড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। নিহত তাহমিনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এবং ছোট ছেলে কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন। গতকাল রোববার রাতে ছেলেদের মাধ্যমে মা-মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে দেখে দুই কক্ষের বিছানার ওপর দুই জনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ সেগুলোর সুরতহাল তৈরি করে মরদেহগুলো উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আমরা সেখানে যাই। সুমাইয়া ও তার মায়ের মরদেহ দুটি পৃথক কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে আঁচড় ও রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরপর দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য পুরোপুরি জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন নামে এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে দুপুরে বিক্ষোভ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। অন্যথায় তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। এ ঘটনায় র্যাব আবদুর রব নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে। এছাড়াও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ আরও একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
জানা গেছে, সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার নেলি লজ নামের একটি তিন তলা ভবনের দোতলার ভাড়া বাসা থেকে নগরীর সুজানগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিনের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহতরা নগরীর সুজানগর এলাকার হলেও গত ৫-৬ বছর ধরে কালিয়াজুড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। নিহত তাহমিনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এবং ছোট ছেলে কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন। গতকাল রোববার রাতে ছেলেদের মাধ্যমে মা-মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে দেখে দুই কক্ষের বিছানার ওপর দুই জনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ সেগুলোর সুরতহাল তৈরি করে মরদেহগুলো উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আমরা সেখানে যাই। সুমাইয়া ও তার মায়ের মরদেহ দুটি পৃথক কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে আঁচড় ও রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরপর দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য পুরোপুরি জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে।