alt

রাজিবপুরে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট

প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) : রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসুচির উপজেলাওয়ারী সাধারণ ১য়,২য় ও ৩য় পর্যায়ের ২০২৪-২০২৫ইং অর্থ বছরের অধিকাংশ প্রকল্পে হরিলুট হয়েছে। অনেক প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমে ফাইলবন্দি রয়েছে। কতগুলো ১ম কিস্তি হয়েছে আবার কতগুলো আংশিক কাজ হয়েছে। বাকীগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়েছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। ১৯৫টি কাবিটা প্রকল্পের অনুকুলে ৩ কোটি ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ১২৩ টাকার অধিকাংশই হরিলুট হয়েছে। এছাড়াও অনেক প্রকল্প রয়েছে যার হদিস পাওয়া যায়নি। একটি কাজেরও ইষ্টিমেট করা হয়নি। অপর দিকে কাবিখা ২৯টি প্রকল্পের অধীনে ২১১.৩৭৬ মে.টন চাল গম এর অধিকাংশ প্রকল্প কাগজে কলমে ফাইলবন্দি করে আত্নসাৎ করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রকল্পের ছবি তুলে বিল করা হয়েছে। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। আবার কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানগণ ভাগবাটোয়ারা করে আত্নসাৎ করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সরে জমিনে ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বিষয়গুলো জানা গেছে। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ বিল তুলতে ২০% থেকে ৩০%টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দিতে হয়েছে। কি আর কাজ করব। জানা গেছে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পের কাচারীপাড়া লুৎফরের বাড়ি থেকে রেণু বেগমের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা, কলেজ পাড়া মজিবরের বাড়ি থেকে আজিবরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ২ লক্ষ টাকা,কাচারী পাড়া বিদ্যুৎ মাস্টারের বাড়ি থেকে ফারুকের বাড়ি রাস্তায় মাটি ভরাট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ,কলেজ পাড়া শরবতের বাড়ি থেকে হানিফ আলীর বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাট ১ লাখ ৪১ হাজার টাকাসহ ১০টি প্রকল্পে মধ্যে মাত্র ৩টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। বাকী ৭টি প্রকল্পের নাম শুধু কাগজে কলমে। টাকা হরিলুট। প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। এ ব্যপারে তিনি জানান,আমি একটি মাত্র কাজ করেছি। বাকী কাজ ছাত্ররা করেছে।

৪নং ওয়ার্ড বালিয়ামারী বাজার পাড়া ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। সেটি হবে ১নং ওর্য়াড বালিয়ামারী বাজার পাড়া। এখানে পাশাপাশি ৩টি প্রকল্পে মধ্যে একটি কাজ করা হয়েছে। কিন্তু মাটি ভরাটের কাজ হয়নি এখনও । বালিয়ামারী বাজার পাড়া আজিবরের ছেলে মোনতার বাড়ি থেকে মতির বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাট ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ্ধস এছাড়া বালিয়ামারী খেওয়া ঘাটের পশ্চিশ পাশে টিআর মাটি ভরাট বাবদ ১০ মে, টন কাজের এক পাছিয়া মাটিও কাটা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এছাড়া খেওয়া ঘাটের যাত্রী ছাউনি ও গাইড ওয়াল বাবদ বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ টাকা নামেমাত্র একটি ছাউনি তৈরি করা হয়েছে । সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সরদার মোড় থেকে পশ্চিমে আলমের বাড়ি পর্যন্ত গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট ভুয়া প্রকল্প দেখানো হয়েছে। যার প্রকল্প ব্যয় ৮.৫১০ মে.টন চাউল ও ১নং ওয়ার্ডের বালিয়ামারী বাজার কসাই খানার পাশে গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট

৫ মে,টন কোন কাজ হয়নি। জাউনিয়ার চর গুচ্ছ গ্রামের বাবর আলীর বাড়ি থেকে মিয়াপাড়া মসজিদ পর্যন্ত গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকার

কাজ হয়নি। রাজিবপুর পোষ্ট অফিসের পার্শ্বে গাইড ওয়ালসহ মাটি ভরাট ২ লাখ টাকার কোন কাজই হয়নি। রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের করাতিপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে ৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্পে কোন কাজ করা হয়নি। মমিনুল হকের বাড়ি থেকে হামিদ মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৬০ টাকা ও খোকনের বাড়ির সামনে গাইড ওয়াল নির্মাণ দেড় লাখ টাকাসহ কাবিখা প্রকল্পের ৮.৫১০ মে.টনের কাজের কোন চিহ্ন নেই। গ্রামের বাদশা পাগলার বাড়ি থেকে পূর্ব দিকে রাস্তা নির্মাণ ৬ লাখ ২৪ হাজার ১শত টাকা কোন কাজ হয়নি। একই ওয়ার্ডের বাচুর বাড়ির ব্রিজ হতে মানিকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪০ টাকা কাজ না করে অর্থ আত্নসাৎ করা হয়েছে। কোদালকাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় নফেলের বাড়ি থেকে দক্ষিণে নফেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ২ লাখ ২২ হাজার ৩৫৬ টাকা। কোন কাজ হয়নি। এছাড়া কোদালকাটি ইউয়িনের চর ৬নং ওয়ার্ডের পাখিউড়া

বাজার থেকে খাজার ঘাট ব্রিজ পর্যন্ত মেরামত ১লাখ ৮৭ হাজার ৮৫০টাকা ,৮নং ওয়ার্ডের ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে জবায়ের বাড়ি রাস্তা মেরামত ৫ মে.টন এবং ৭নং ওয়ার্ডের হাসানুলের বাড়ির পাশে গাইডওয়াল নির্মাণ ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার কোন কাজই হয়নি। উল্লেখ্য ৩০ জুন,২০২৫ এর মধ্যে অর্থ বছরের কাজ সমাপ্তির

কথা থাকলেও তা শেষ করতে পারেনি প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকল

জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা করে ২০জুলাই’২৫ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয়। নামে মাত্র কিছু কাজ হলেও অধিকাংশ প্রকল্পের বিল প্রদান করছে পিআইও অফিস। সেপ্টেম্বর মাসেও ডেকে ডেকে প্রকল্পের বিল রহস্যজনকভাবে ছাড় করা হচ্ছে। এদিকে গত অর্থ বছরের কাজ শেষ না হলেও নতুন অর্থ বছরের বরাদ্দ এসেছে। তবে প্রকল্পের বন্টন এখনও করা হয়নি। চর রাজিবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, আমার জানামতে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। যেগুলো করা হয়নি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, অভিযোগ পেয়ে সরে সমিনে তদন্ত করেছি। যেখানে কাজ হয়নি, কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পগুলো সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ছবি

ফিলিপাইনের আখ আবাদে লাভবান কালীগঞ্জের মাসুদ

ছবি

সাতক্ষীরার নওয়াবেকী সড়ক খানাখন্দে ভরা, জনভোগান্তি

ছবি

ঢেঁকি নেই ভিটামিন সমৃদ্ধ ঢেঁকি ছাটা চালও নেই

ছবি

‘শিক্ষাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই’

ছবি

মাগুরায় মহালয়া পালিত

ছবি

কাশিয়ানীতে বাস চাপায় নিহত ১

ছবি

ভৈরবে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু

পাবনায় রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নাগরিকের লাশ উদ্ধার

ছবি

খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

শরণখোলায় সুন্দরবনের কচিখালিতে পর্যটকের মৃত্যু

ছবি

আওয়ামী লীগের মিছিল: ‘অভিযানে না গিয়ে থানায়’, ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ছবি

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন

ছবি

সিলেটের তিন বৃহৎ প্রকল্পে স্থবিরতা

ছবি

দুর্গাপূজায় ২৯টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ

ছবি

সিলেটে উরাং সম্প্রদায়ের জন্য এক টাকার পূজোর বাজার

ছবি

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আমিরাতের

ছবি

মহাসড়কের পাশে পরিস্কারের পর দুসপ্তাহেই আবার ময়লার স্তূপ

ছবি

পলাশে পঙ্গু যুবককে মালামালসহ দোকান করে দিল ‘আমরা দুর্বার’ সংগঠন

ছবি

কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগে যমুনার পারে প্রকৃতি প্রেমীরা

ছবি

বেনাপোলের বড়আঁচড়ার মাঠপাড়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা

ছবি

জালে আটকে গেল ৮ ফুট লম্বা আজগর

ছবি

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন পরিদর্শনে এলজিইডির টিম

ছবি

আলুর চিপসের ফেরিওয়ালা আব্দুল মান্নানের জীবন জীবিকার গল্প

ছবি

অযত্ন অবহেলায় ঐতিহ্য হারাচ্ছে মীর্জানগর প্রাচীন হাম্মামখানার

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে বালু-পাথর লুটপাট রোধে নৌকা চলাচলের নতুন নির্দেশনা জারি, দুইজনকে কারাদণ্ড

ছবি

বিরামপুরে মাদ্রাসা চলাকালে প্রভাষক দম্পতির হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

ছবি

আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১২০ বস্তা চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা

ছবি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া শেষ

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

ছবি

দ্বিতীয়বার উদ্বোধন করা হলো মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন

ছবি

বিয়ের দাওয়াতে যেতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

ভাঙ্গায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের নামে মামলা

ছবি

প্রতিমা শিল্পীর তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

ছবি

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের গোলাগুলির ঘটনা

ছবি

আমরা আশাবাদী একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো: বদিউল আলম মজুমদার

ছবি

ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

tab

রাজিবপুরে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট

প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)

রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসুচির উপজেলাওয়ারী সাধারণ ১য়,২য় ও ৩য় পর্যায়ের ২০২৪-২০২৫ইং অর্থ বছরের অধিকাংশ প্রকল্পে হরিলুট হয়েছে। অনেক প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমে ফাইলবন্দি রয়েছে। কতগুলো ১ম কিস্তি হয়েছে আবার কতগুলো আংশিক কাজ হয়েছে। বাকীগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়েছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। ১৯৫টি কাবিটা প্রকল্পের অনুকুলে ৩ কোটি ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ১২৩ টাকার অধিকাংশই হরিলুট হয়েছে। এছাড়াও অনেক প্রকল্প রয়েছে যার হদিস পাওয়া যায়নি। একটি কাজেরও ইষ্টিমেট করা হয়নি। অপর দিকে কাবিখা ২৯টি প্রকল্পের অধীনে ২১১.৩৭৬ মে.টন চাল গম এর অধিকাংশ প্রকল্প কাগজে কলমে ফাইলবন্দি করে আত্নসাৎ করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রকল্পের ছবি তুলে বিল করা হয়েছে। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। আবার কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানগণ ভাগবাটোয়ারা করে আত্নসাৎ করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সরে জমিনে ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বিষয়গুলো জানা গেছে। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ বিল তুলতে ২০% থেকে ৩০%টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দিতে হয়েছে। কি আর কাজ করব। জানা গেছে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পের কাচারীপাড়া লুৎফরের বাড়ি থেকে রেণু বেগমের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা, কলেজ পাড়া মজিবরের বাড়ি থেকে আজিবরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ২ লক্ষ টাকা,কাচারী পাড়া বিদ্যুৎ মাস্টারের বাড়ি থেকে ফারুকের বাড়ি রাস্তায় মাটি ভরাট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ,কলেজ পাড়া শরবতের বাড়ি থেকে হানিফ আলীর বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাট ১ লাখ ৪১ হাজার টাকাসহ ১০টি প্রকল্পে মধ্যে মাত্র ৩টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। বাকী ৭টি প্রকল্পের নাম শুধু কাগজে কলমে। টাকা হরিলুট। প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। এ ব্যপারে তিনি জানান,আমি একটি মাত্র কাজ করেছি। বাকী কাজ ছাত্ররা করেছে।

৪নং ওয়ার্ড বালিয়ামারী বাজার পাড়া ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। সেটি হবে ১নং ওর্য়াড বালিয়ামারী বাজার পাড়া। এখানে পাশাপাশি ৩টি প্রকল্পে মধ্যে একটি কাজ করা হয়েছে। কিন্তু মাটি ভরাটের কাজ হয়নি এখনও । বালিয়ামারী বাজার পাড়া আজিবরের ছেলে মোনতার বাড়ি থেকে মতির বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাট ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ্ধস এছাড়া বালিয়ামারী খেওয়া ঘাটের পশ্চিশ পাশে টিআর মাটি ভরাট বাবদ ১০ মে, টন কাজের এক পাছিয়া মাটিও কাটা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এছাড়া খেওয়া ঘাটের যাত্রী ছাউনি ও গাইড ওয়াল বাবদ বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ টাকা নামেমাত্র একটি ছাউনি তৈরি করা হয়েছে । সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সরদার মোড় থেকে পশ্চিমে আলমের বাড়ি পর্যন্ত গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট ভুয়া প্রকল্প দেখানো হয়েছে। যার প্রকল্প ব্যয় ৮.৫১০ মে.টন চাউল ও ১নং ওয়ার্ডের বালিয়ামারী বাজার কসাই খানার পাশে গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট

৫ মে,টন কোন কাজ হয়নি। জাউনিয়ার চর গুচ্ছ গ্রামের বাবর আলীর বাড়ি থেকে মিয়াপাড়া মসজিদ পর্যন্ত গাইডওয়াল ও মাটি ভরাট ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকার

কাজ হয়নি। রাজিবপুর পোষ্ট অফিসের পার্শ্বে গাইড ওয়ালসহ মাটি ভরাট ২ লাখ টাকার কোন কাজই হয়নি। রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের করাতিপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে ৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্পে কোন কাজ করা হয়নি। মমিনুল হকের বাড়ি থেকে হামিদ মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত গাইড ওয়াল ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৬০ টাকা ও খোকনের বাড়ির সামনে গাইড ওয়াল নির্মাণ দেড় লাখ টাকাসহ কাবিখা প্রকল্পের ৮.৫১০ মে.টনের কাজের কোন চিহ্ন নেই। গ্রামের বাদশা পাগলার বাড়ি থেকে পূর্ব দিকে রাস্তা নির্মাণ ৬ লাখ ২৪ হাজার ১শত টাকা কোন কাজ হয়নি। একই ওয়ার্ডের বাচুর বাড়ির ব্রিজ হতে মানিকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪০ টাকা কাজ না করে অর্থ আত্নসাৎ করা হয়েছে। কোদালকাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় নফেলের বাড়ি থেকে দক্ষিণে নফেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ২ লাখ ২২ হাজার ৩৫৬ টাকা। কোন কাজ হয়নি। এছাড়া কোদালকাটি ইউয়িনের চর ৬নং ওয়ার্ডের পাখিউড়া

বাজার থেকে খাজার ঘাট ব্রিজ পর্যন্ত মেরামত ১লাখ ৮৭ হাজার ৮৫০টাকা ,৮নং ওয়ার্ডের ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে জবায়ের বাড়ি রাস্তা মেরামত ৫ মে.টন এবং ৭নং ওয়ার্ডের হাসানুলের বাড়ির পাশে গাইডওয়াল নির্মাণ ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার কোন কাজই হয়নি। উল্লেখ্য ৩০ জুন,২০২৫ এর মধ্যে অর্থ বছরের কাজ সমাপ্তির

কথা থাকলেও তা শেষ করতে পারেনি প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকল

জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা করে ২০জুলাই’২৫ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয়। নামে মাত্র কিছু কাজ হলেও অধিকাংশ প্রকল্পের বিল প্রদান করছে পিআইও অফিস। সেপ্টেম্বর মাসেও ডেকে ডেকে প্রকল্পের বিল রহস্যজনকভাবে ছাড় করা হচ্ছে। এদিকে গত অর্থ বছরের কাজ শেষ না হলেও নতুন অর্থ বছরের বরাদ্দ এসেছে। তবে প্রকল্পের বন্টন এখনও করা হয়নি। চর রাজিবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, আমার জানামতে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। যেগুলো করা হয়নি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, অভিযোগ পেয়ে সরে সমিনে তদন্ত করেছি। যেখানে কাজ হয়নি, কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পগুলো সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

back to top