alt

দশমিনায় রাসায়নিকের ব্যবহারে শাপলা এখন অস্তিত্ব সংকটে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল, জলাভূমি, পুকুর, ডোবা ও নালা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। চারিদিকে টইটুম্বুর পানি থাকায় জলাশয়ের পানিতে প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ে বেড়ে উঠে বিষমুক্ত অর্থকরী সবজি শাপলা। বিনা চাষেই জম্ম নেয়া নানা প্রজাতির শাপলার ফুল সকলকেই বিমোহিত করে থাকে। বর্ষাকালে জলমগ্ন খাল,বিল ও জলাভূমিতে জাতীয় ফুল শাপলা শোভা পায়।

পুরো বর্ষাকাল জুড়েই শাপলা পাওয়া যায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবার বিল,ঝিল ও জলাভূমি থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শাপলা বিক্রি করতে কোন পুজির প্রয়োজন হয় না বলে বর্ষা মৌসুমে অনেক মানুষ শাপলা বিক্রি করে লাভবান হয়। উপজেলার হাট-বাজারে শাপলার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জমির মাটি ও পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগের মতন শাপলা জম্মে না।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা সদর, রনগোপালদী, আলীপুরা, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ও চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলকার বিল,ঝিলসহ জলাশয়ে প্রচুর পরিমানে নানা প্রজাতির শাপলা জম্মে। বর্ষাকালে কর্মহীন কৃষি শ্রমিকরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিষমুক্ত এই সবজি বর্ষা মৌসুমে সৌখিন পরিবারের লোকজন ক্রয় করে বিভিন্ন স্বাদে রান্না করছে। রান্না করা সবজি শাপলা খেতে মজা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। পরিবেশ দূষনের কারনে ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় বিল,ঝিল ও জলাভূমিতে এখন আর আগের মত শাপলা যেমন জম্মে না তেমনি পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,আশির দশক থেকেই উপজেলার হাট-বাজারে শাপলা পাওয়া যেত। উপজেলার বিভিন্ন জলাভূমি থেকে শাপলা সংগ্রহ করে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করতো। নানা রংয়ের শাপলা ফুল নিয়ে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করতো। সেই দৃশ্য এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের আবর্তে সব কিছু বদলে যাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ভ্রমন পিপাসুদের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে। জলাভূমিসহ জলাশয় দুষন মুক্ত না হলে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

ছবি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে পীরের আস্তানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

ছবি

মুকসুদপুরে দীর্ঘ ৯০ বছর পর থানার বেদখল জমি উদ্ধার

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৬৬৪ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ১

ছবি

ভোটাভুটিতে সিপিবি’র ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি

ছবি

টঙ্গিতে দগ্ধ হওয়া ফায়ার ফাইটার শামীম হার মানলেন মৃত্যুর কাছে

ছবি

সাতশ’ মণ্ডপ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বললো সনাতনী জোট, সিসি ক্যামেরার পরামর্শ ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

ছবি

শরণখোলায় বিরল সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার

শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক,২ দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ১৪ শিশু,হাসপাতালে নেই ভ্যাকসিন

ছবি

রংপুরের হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৫০ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা, ব্যক্তিগত গাড়ি কমাতে মানসম্পন্ন গণপরিবহন বাড়াতে হবে

ছবি

গোয়ালন্দে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

গজারিয়ায় বাস-ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

তারাগঞ্জে মাংস ব্যবসায়ী-প্রশাসনের আলোচনা

ছবি

কালীগঞ্জকে ‘জঙ্গল’ বলায় মুফতি নাসিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

ছবি

একই রশিতে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

পুঠিয়ায় সারের কৃত্রিম সংকট, কৃষকের হাহাকার

ছবি

সিংগাইরে কর্মস্থলে থাকেন না আবাসিক মেডিকেল অফিসার

ছবি

রেশম প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

দোহারে জব্দ করা তিনটি ড্রেজার পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

হরিণের দেখা মিলেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে

ছবি

প্রশিক্ষণের গাড়ি পানিতে ডুবে নিহত ১

ছবি

দেবহাটার দুর্গাপূজার আগে রাস্তা সংস্কারের দাবি

ছবি

প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের যাবজ্জীবন

ছবি

ওমানে ছাদ থেকে পড়ে চুনারুঘাটের যুবকের মৃত্যু

ছবি

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে একদিনে তিন শিশুর মৃত্য

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চা দোকানীর মৃত্যু

ছবি

চা-বাগানে গোলমরিচ চাষের নতুন সম্ভাবনা

ছবি

শার্শায় পেট্রলপাম্প দখলের চেষ্টা বিএনপির নেতা বহিষ্কার

ছবি

দামুড়হুদায় ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্রে আটার পরিমান বৃদ্ধির দাবি

ছবি

চান্দিনা উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান

ছবি

আবারো পদ্মায় ভাঙন, ছোট হয়ে যাচ্ছে লৌহজংয়ের মানচিত্র

ছবি

কীটনাশক প্রয়োগে নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা

ছবি

কোটচাঁদপুরে নকল পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা জমজমাট

tab

দশমিনায় রাসায়নিকের ব্যবহারে শাপলা এখন অস্তিত্ব সংকটে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল, জলাভূমি, পুকুর, ডোবা ও নালা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। চারিদিকে টইটুম্বুর পানি থাকায় জলাশয়ের পানিতে প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ে বেড়ে উঠে বিষমুক্ত অর্থকরী সবজি শাপলা। বিনা চাষেই জম্ম নেয়া নানা প্রজাতির শাপলার ফুল সকলকেই বিমোহিত করে থাকে। বর্ষাকালে জলমগ্ন খাল,বিল ও জলাভূমিতে জাতীয় ফুল শাপলা শোভা পায়।

পুরো বর্ষাকাল জুড়েই শাপলা পাওয়া যায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবার বিল,ঝিল ও জলাভূমি থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শাপলা বিক্রি করতে কোন পুজির প্রয়োজন হয় না বলে বর্ষা মৌসুমে অনেক মানুষ শাপলা বিক্রি করে লাভবান হয়। উপজেলার হাট-বাজারে শাপলার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জমির মাটি ও পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগের মতন শাপলা জম্মে না।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা সদর, রনগোপালদী, আলীপুরা, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ও চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলকার বিল,ঝিলসহ জলাশয়ে প্রচুর পরিমানে নানা প্রজাতির শাপলা জম্মে। বর্ষাকালে কর্মহীন কৃষি শ্রমিকরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিষমুক্ত এই সবজি বর্ষা মৌসুমে সৌখিন পরিবারের লোকজন ক্রয় করে বিভিন্ন স্বাদে রান্না করছে। রান্না করা সবজি শাপলা খেতে মজা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। পরিবেশ দূষনের কারনে ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় বিল,ঝিল ও জলাভূমিতে এখন আর আগের মত শাপলা যেমন জম্মে না তেমনি পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,আশির দশক থেকেই উপজেলার হাট-বাজারে শাপলা পাওয়া যেত। উপজেলার বিভিন্ন জলাভূমি থেকে শাপলা সংগ্রহ করে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করতো। নানা রংয়ের শাপলা ফুল নিয়ে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করতো। সেই দৃশ্য এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের আবর্তে সব কিছু বদলে যাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ভ্রমন পিপাসুদের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে। জলাভূমিসহ জলাশয় দুষন মুক্ত না হলে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

back to top