পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল, জলাভূমি, পুকুর, ডোবা ও নালা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। চারিদিকে টইটুম্বুর পানি থাকায় জলাশয়ের পানিতে প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ে বেড়ে উঠে বিষমুক্ত অর্থকরী সবজি শাপলা। বিনা চাষেই জম্ম নেয়া নানা প্রজাতির শাপলার ফুল সকলকেই বিমোহিত করে থাকে। বর্ষাকালে জলমগ্ন খাল,বিল ও জলাভূমিতে জাতীয় ফুল শাপলা শোভা পায়।
পুরো বর্ষাকাল জুড়েই শাপলা পাওয়া যায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবার বিল,ঝিল ও জলাভূমি থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শাপলা বিক্রি করতে কোন পুজির প্রয়োজন হয় না বলে বর্ষা মৌসুমে অনেক মানুষ শাপলা বিক্রি করে লাভবান হয়। উপজেলার হাট-বাজারে শাপলার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জমির মাটি ও পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগের মতন শাপলা জম্মে না।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা সদর, রনগোপালদী, আলীপুরা, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ও চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলকার বিল,ঝিলসহ জলাশয়ে প্রচুর পরিমানে নানা প্রজাতির শাপলা জম্মে। বর্ষাকালে কর্মহীন কৃষি শ্রমিকরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিষমুক্ত এই সবজি বর্ষা মৌসুমে সৌখিন পরিবারের লোকজন ক্রয় করে বিভিন্ন স্বাদে রান্না করছে। রান্না করা সবজি শাপলা খেতে মজা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। পরিবেশ দূষনের কারনে ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় বিল,ঝিল ও জলাভূমিতে এখন আর আগের মত শাপলা যেমন জম্মে না তেমনি পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,আশির দশক থেকেই উপজেলার হাট-বাজারে শাপলা পাওয়া যেত। উপজেলার বিভিন্ন জলাভূমি থেকে শাপলা সংগ্রহ করে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করতো। নানা রংয়ের শাপলা ফুল নিয়ে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করতো। সেই দৃশ্য এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের আবর্তে সব কিছু বদলে যাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ভ্রমন পিপাসুদের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে। জলাভূমিসহ জলাশয় দুষন মুক্ত না হলে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল, জলাভূমি, পুকুর, ডোবা ও নালা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। চারিদিকে টইটুম্বুর পানি থাকায় জলাশয়ের পানিতে প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ে বেড়ে উঠে বিষমুক্ত অর্থকরী সবজি শাপলা। বিনা চাষেই জম্ম নেয়া নানা প্রজাতির শাপলার ফুল সকলকেই বিমোহিত করে থাকে। বর্ষাকালে জলমগ্ন খাল,বিল ও জলাভূমিতে জাতীয় ফুল শাপলা শোভা পায়।
পুরো বর্ষাকাল জুড়েই শাপলা পাওয়া যায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবার বিল,ঝিল ও জলাভূমি থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শাপলা বিক্রি করতে কোন পুজির প্রয়োজন হয় না বলে বর্ষা মৌসুমে অনেক মানুষ শাপলা বিক্রি করে লাভবান হয়। উপজেলার হাট-বাজারে শাপলার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জমির মাটি ও পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগের মতন শাপলা জম্মে না।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা সদর, রনগোপালদী, আলীপুরা, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ও চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলকার বিল,ঝিলসহ জলাশয়ে প্রচুর পরিমানে নানা প্রজাতির শাপলা জম্মে। বর্ষাকালে কর্মহীন কৃষি শ্রমিকরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিষমুক্ত এই সবজি বর্ষা মৌসুমে সৌখিন পরিবারের লোকজন ক্রয় করে বিভিন্ন স্বাদে রান্না করছে। রান্না করা সবজি শাপলা খেতে মজা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। পরিবেশ দূষনের কারনে ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় বিল,ঝিল ও জলাভূমিতে এখন আর আগের মত শাপলা যেমন জম্মে না তেমনি পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,আশির দশক থেকেই উপজেলার হাট-বাজারে শাপলা পাওয়া যেত। উপজেলার বিভিন্ন জলাভূমি থেকে শাপলা সংগ্রহ করে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করতো। নানা রংয়ের শাপলা ফুল নিয়ে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করতো। সেই দৃশ্য এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের আবর্তে সব কিছু বদলে যাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ভ্রমন পিপাসুদের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে। জলাভূমিসহ জলাশয় দুষন মুক্ত না হলে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।