দেবহাটা (সাতক্ষীরা) : ভাঙা রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী -সংবাদ
ভাঙাচোরা সড়কে ম্লান হতে বসেছে দুর্গাপূজার আনন্দ। তাই পূজার আগে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের দেবহাটা উপজেলার বহেরা হতে গাজীরহাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দবি জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মালাম্বীরা। আসন্ন দুর্গা পূজায় প্রতিমা দর্শন ও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সড়কটি আশু সংস্কার প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তারা।
জানা গেছে, সাম্প্রতি সময়ে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কটি নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চলাচল করতে যেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথের যাত্রীদের। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের এই বৃহৎ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৬২.৩২৫ কিলোমিটারে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৫৮২ কোটি টাকা। যার মধ্যে লাবনী মোড় থেকে বাঁকাল চেকপোস্ট, বাঁকাল চেকপোস্ট থেকে পারুলিয়া গরুরহাট, পারুলিয়া থেকে হাদীপুর, নলতা হাদীপুর থেকে কালিগঞ্জ ফুলতলা, কালিগঞ্জ ফুলতলা থেকে শ্যামনগর মহসিন কলেজ, শ্যামনগর মহসিন কলেজ থেকে ভেটখালি সম্প্রসারণ করা হবে সড়কটি। প্রকল্পটির কার্যাদেশে বলা আছে, ৩০জুন ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। যদিও প্রকল্পের মোট মেয়াদ পাঁচ বছর, ইতোমধ্যেই তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিসহ নানা কারণে কাজ শুরু করতে না পারার কথা জানিয়েছেন ঠিকাদার। তবে আসন্ন দুর্গাপূজার আগে সড়কটির যেসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থানগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি উঠেছে। এতে করে হিন্দু ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলো আনন্দের সাথে পালন করতে পারবে।
বহেরার নিত্যনন্দ ঘোষ, কুলিয়ার অনুপ দাস, পারুলিয়ার পলাশ মন্ডল, সখিপুরের সংকর স্বর্ণকার, গাজীরহাটের শরৎচন্দ্র ঘোষসহ আরো অনেকে জানান, হিন্দু ধর্মের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজাকে ঘিরে আমাদের ব্যাপক আয়োজন থাকে। বিশেষ করে পূজোর ৫দিন ধরে নানা আনুষ্ঠনিকতা। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে আত্নীয়র বাড়ি যাওয়া ও মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শনের জন্য যায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ। কিন্তু আমাদের প্রধান সড়কটি এত খারাপ হয়েছে চলাচলের অনুপোযোগী। ভাঙা রাস্তায় চলাচল খুবই ঝুঁকি ও ভোগান্তির। পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবছর যাতে পূজা আরো উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা একাধিক প্রস্তুতি মিটিং করেছি। কিন্তু প্রধান সড়ক নষ্ট হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের কথা জানতে পারছি। সড়কটি সম্প্রসারণের বাজেট হয়ে গেছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে পূজার আগে যদি একটু সংস্কার করা যায় তাহলে মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে।
দেবহাটা থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, পূজায় সর্বচ্চো নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু ভাঙা সড়কে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত যাওয়া আসা খুবই কষ্টকর হয়ে যাবে। দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে বাধাগ্রস্থ হতে হবে। তাই পূজার পূর্বে যদি সংস্কার করা যায় তাহলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে।
দেবহাটা (সাতক্ষীরা) : ভাঙা রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভাঙাচোরা সড়কে ম্লান হতে বসেছে দুর্গাপূজার আনন্দ। তাই পূজার আগে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের দেবহাটা উপজেলার বহেরা হতে গাজীরহাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দবি জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মালাম্বীরা। আসন্ন দুর্গা পূজায় প্রতিমা দর্শন ও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সড়কটি আশু সংস্কার প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তারা।
জানা গেছে, সাম্প্রতি সময়ে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কটি নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চলাচল করতে যেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথের যাত্রীদের। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের এই বৃহৎ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৬২.৩২৫ কিলোমিটারে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৫৮২ কোটি টাকা। যার মধ্যে লাবনী মোড় থেকে বাঁকাল চেকপোস্ট, বাঁকাল চেকপোস্ট থেকে পারুলিয়া গরুরহাট, পারুলিয়া থেকে হাদীপুর, নলতা হাদীপুর থেকে কালিগঞ্জ ফুলতলা, কালিগঞ্জ ফুলতলা থেকে শ্যামনগর মহসিন কলেজ, শ্যামনগর মহসিন কলেজ থেকে ভেটখালি সম্প্রসারণ করা হবে সড়কটি। প্রকল্পটির কার্যাদেশে বলা আছে, ৩০জুন ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। যদিও প্রকল্পের মোট মেয়াদ পাঁচ বছর, ইতোমধ্যেই তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিসহ নানা কারণে কাজ শুরু করতে না পারার কথা জানিয়েছেন ঠিকাদার। তবে আসন্ন দুর্গাপূজার আগে সড়কটির যেসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থানগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি উঠেছে। এতে করে হিন্দু ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলো আনন্দের সাথে পালন করতে পারবে।
বহেরার নিত্যনন্দ ঘোষ, কুলিয়ার অনুপ দাস, পারুলিয়ার পলাশ মন্ডল, সখিপুরের সংকর স্বর্ণকার, গাজীরহাটের শরৎচন্দ্র ঘোষসহ আরো অনেকে জানান, হিন্দু ধর্মের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজাকে ঘিরে আমাদের ব্যাপক আয়োজন থাকে। বিশেষ করে পূজোর ৫দিন ধরে নানা আনুষ্ঠনিকতা। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে আত্নীয়র বাড়ি যাওয়া ও মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শনের জন্য যায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ। কিন্তু আমাদের প্রধান সড়কটি এত খারাপ হয়েছে চলাচলের অনুপোযোগী। ভাঙা রাস্তায় চলাচল খুবই ঝুঁকি ও ভোগান্তির। পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবছর যাতে পূজা আরো উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা একাধিক প্রস্তুতি মিটিং করেছি। কিন্তু প্রধান সড়ক নষ্ট হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের কথা জানতে পারছি। সড়কটি সম্প্রসারণের বাজেট হয়ে গেছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে পূজার আগে যদি একটু সংস্কার করা যায় তাহলে মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে।
দেবহাটা থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, পূজায় সর্বচ্চো নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু ভাঙা সড়কে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত যাওয়া আসা খুবই কষ্টকর হয়ে যাবে। দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে বাধাগ্রস্থ হতে হবে। তাই পূজার পূর্বে যদি সংস্কার করা যায় তাহলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে।