ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে হরিণের দেখা মিলেছে। এ ঘটনা বনের জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক সংকেত। এভাবে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি বাড়তে থাকলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। গতকাল সোমবার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের কুনিমোড়া স্থানে চুনারুঘাট-মাধবপুর পুরাতন মহাসড়কের পাশে হরিণ দেখে মোবাইলে ছবি ধারণ করেন পূবালী ব্যাংক রাজার বাজার শাখার সিনিয়র অফিসার বিশ্বজিত রায় সুমন। স্থানীয়রা জানান, এর আগে এই উদ্যানে সড়কের পাশে প্রায়শই বানরের আনাগোনা দেখা যায়, সম্প্রতি ভাল্লুকের উপস্থিতি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, এবার হরিণ দেখা যাওয়ায় পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। বনের গাছপালা ও প্রাণী সুরক্ষায় সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পর্যটকরা। তাদের মতে, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনাঞ্চল সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। উদ্যান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। ২৪৩ হেক্টর আয়তনের এ উদ্যানের পাশ ঘেঁষে আছে ৯টি চা-বাগান। উদ্যানের ভেতরে টিপরাপাড়ায় পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৪টি পরিবার বসবাস করে। ১৯৭ প্রজাতির জীবজন্তু ও ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির পাখি আছে উদ্যানে। বাংলাদেশের সংরক্ষিত এ বনাঞ্চল পাখিদের অভয়াশ্রম। বনের ভেতরে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, কুলু বানর, মেছোবাঘ, মায়া হরিণও আছে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বনের ভেতরে বসবাস করা মানুষ বিশেষ করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বন্যপ্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে। প্রাণীগুলো কেউ যাতে শিকার বা নিধন না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, সাতছড়ি একটি বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। এখানে নানা বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে হরিণের দেখা মিলেছে। এ ঘটনা বনের জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক সংকেত। এভাবে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি বাড়তে থাকলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। গতকাল সোমবার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের কুনিমোড়া স্থানে চুনারুঘাট-মাধবপুর পুরাতন মহাসড়কের পাশে হরিণ দেখে মোবাইলে ছবি ধারণ করেন পূবালী ব্যাংক রাজার বাজার শাখার সিনিয়র অফিসার বিশ্বজিত রায় সুমন। স্থানীয়রা জানান, এর আগে এই উদ্যানে সড়কের পাশে প্রায়শই বানরের আনাগোনা দেখা যায়, সম্প্রতি ভাল্লুকের উপস্থিতি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, এবার হরিণ দেখা যাওয়ায় পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। বনের গাছপালা ও প্রাণী সুরক্ষায় সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পর্যটকরা। তাদের মতে, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনাঞ্চল সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। উদ্যান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। ২৪৩ হেক্টর আয়তনের এ উদ্যানের পাশ ঘেঁষে আছে ৯টি চা-বাগান। উদ্যানের ভেতরে টিপরাপাড়ায় পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৪টি পরিবার বসবাস করে। ১৯৭ প্রজাতির জীবজন্তু ও ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির পাখি আছে উদ্যানে। বাংলাদেশের সংরক্ষিত এ বনাঞ্চল পাখিদের অভয়াশ্রম। বনের ভেতরে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, কুলু বানর, মেছোবাঘ, মায়া হরিণও আছে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বনের ভেতরে বসবাস করা মানুষ বিশেষ করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বন্যপ্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে। প্রাণীগুলো কেউ যাতে শিকার বা নিধন না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, সাতছড়ি একটি বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। এখানে নানা বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে।