সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -সংবাদ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ৫ মাস আগে যোগদান করলেও স্টেশনে থাকেন না তিনি। এ ছাড়া ঠিকমতো কর্মস্থলে না আসা ও চিকিৎসা সেবা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে রোগী ও স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগদান করলেও তিনি কর্মস্থলে অবস্থান করেন না। অফিসও করেন সপ্তাহে ৩-৪ দিন। শুক্রবারসহ বুধবার ও শনিবার অফিস না করে সময় পার করেন ব্যক্তিগত কাজে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৮ টায় আসার কথা থাকলেও তিনি আসেন ১১ টায়। আবার রোগী না দেখেই চলে যান ইচ্ছেমতো। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে, ভেঙে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের আবাসিক ভবনে আরএমওসহ কোনো চিকিৎসক থাকেন না। অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোয়ার্টার। ডাক্তাররা থাকেন রাজধানী ঢাকা কিংবা সাভারে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদটি যেন কাগজ- কলমেই সীমাবদ্ধ। এ পদধারীর কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্য বাস্তবে চোখে পড়ে না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে আরএমও পদটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তার ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে অবস্থান করে সার্বিক তত্ত্বাবধানসহ চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা। তিনিই যদি স্টেশনে না থাকেন এবং ঠিকমতো অফিস না করেন তাহলে এমন ডাক্তার আমাদের দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আরএমও ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে দুই দিন হাসপাতালে এসেছি তাকে পাইনি।
আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্টেশনে মাঝেমধ্যে থাকা হয়। আমি যখন থাকি না তখন ডা. ফারহানা নবী আমার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক কাজের জন্য থাকা সম্ভব হচ্ছে না। শনি ও বুধবার অফিস না করা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এটা প্রতি সপ্তাহে হয় না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফসান রেজা বলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইমতিয়াজ আহমেদের স্টেশনে না থাকার কথা স্বীকার করলেও সপ্তাহে শনি ও বুধবার কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কথা অস্বীকার করেন।
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ৫ মাস আগে যোগদান করলেও স্টেশনে থাকেন না তিনি। এ ছাড়া ঠিকমতো কর্মস্থলে না আসা ও চিকিৎসা সেবা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে রোগী ও স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগদান করলেও তিনি কর্মস্থলে অবস্থান করেন না। অফিসও করেন সপ্তাহে ৩-৪ দিন। শুক্রবারসহ বুধবার ও শনিবার অফিস না করে সময় পার করেন ব্যক্তিগত কাজে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৮ টায় আসার কথা থাকলেও তিনি আসেন ১১ টায়। আবার রোগী না দেখেই চলে যান ইচ্ছেমতো। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে, ভেঙে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের আবাসিক ভবনে আরএমওসহ কোনো চিকিৎসক থাকেন না। অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোয়ার্টার। ডাক্তাররা থাকেন রাজধানী ঢাকা কিংবা সাভারে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদটি যেন কাগজ- কলমেই সীমাবদ্ধ। এ পদধারীর কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্য বাস্তবে চোখে পড়ে না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে আরএমও পদটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তার ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে অবস্থান করে সার্বিক তত্ত্বাবধানসহ চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা। তিনিই যদি স্টেশনে না থাকেন এবং ঠিকমতো অফিস না করেন তাহলে এমন ডাক্তার আমাদের দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আরএমও ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে দুই দিন হাসপাতালে এসেছি তাকে পাইনি।
আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্টেশনে মাঝেমধ্যে থাকা হয়। আমি যখন থাকি না তখন ডা. ফারহানা নবী আমার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক কাজের জন্য থাকা সম্ভব হচ্ছে না। শনি ও বুধবার অফিস না করা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এটা প্রতি সপ্তাহে হয় না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফসান রেজা বলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইমতিয়াজ আহমেদের স্টেশনে না থাকার কথা স্বীকার করলেও সপ্তাহে শনি ও বুধবার কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কথা অস্বীকার করেন।