alt

পুঠিয়ায় সারের কৃত্রিম সংকট, কৃষকের হাহাকার

প্রতিনিধি, পুঠিয়া (রাজশাহী) : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এখন চলছে সারের হাহাকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা কেজিতে ১৫/২০ টাকা বেশি দিয়ে সারের জন্য খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্না দিয়েও সার পাচ্ছেনা। বর্তমানে সার ব্যবহারের সময়ে ধানের জমিতে প্রয়োজন মত সার প্রয়োগ করতে না পারলে উৎপাদন চরম ভাবে ব্যহৃত হবে বলে আশংকা করছে কৃষকরা।

ভরা মৌসুমে সারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য মেতে উঠেছে অসাধু ডিলারসহ ব্যবসায়ীরা। মুজুদ থাকলেও বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের সংকটে ফেলে দিচ্ছে এই অসাধু চক্র

ডিলারদের কাছে গিয়ে সার চাইলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একজন প্রান্তিক বা ক্ষুদ্রচাষীর বর্গা বা আদা করে হয়তো ৫/১০ কাঠা জমিতে ধানের চাষ করছে। এতে তার সামান্য কিছু সার হলে জমিতে প্রয়োগ করতে পারবে। কিন্তু সেই প্রান্তিক চাষী সার পাচ্ছে না। এ কারণে ক্ষুদ্র কৃষকরা নানা প্রক্রিয়া বহু দুর গিয়েও সারের যোগাড় করতে পারছেনা। ডিলারদেও কাছেও সার পেতে ১২/১৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য উদ্যোগ নিলেও এখনো সারের হাহাকার চলছে। গত বছরের মতো এবারেও ভরা মৌসুমে সারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য মেতে উঠেছে অসাধু ডিলারসহ ব্যবসায়ীরা। মুজুদ থাকলেও বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের সংকটে ফেলে দিচ্ছে এই অসাধু চক্র। দেশের বেশির ভাগ স্থানেই সার পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া যায় তবে দাম আকাশ ছোয়া। সরকার নিদ্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুন তিনগুন দাম রাখা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদেও কাছে ডিলাররা বাড়তি দামে সার বিক্রি করছে বলেও তারা ও কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। তারা বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তির নামের তালিকা সরবরাহ কওে ডিলারদের নিকট থেকে গোপনে সংগ্রহ করে থাকে। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছেন। এছাড়া চাহিদার তুলনায় সামান্যই সার পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এ চরম সংকটে কৃষকরা ও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

এদিকে বর্তমান নিয়মে ডিলাররা সার বুঝে নেয়ার আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। উভয় কর্মকর্তা সরে জমিন পরিদর্শনে যাবেন। এর পর বিক্রি রশিদে স্বাক্ষর করবেন। পরে তা জেলা প্রশাসনের এবং বীজ ও সার কমিটির কাছে দেবেন।

জেলা প্রশাসক বিক্রি রশিদে প্রতিস্বাক্ষও দেওয়ার পরই তবে ডিলাররা সার বিতরণ করতে পারবেন। এর আগে তিনি সার বিক্রি করতে পারবেন না। মাঠ পর্যায়ে বাস্তবে এ প্রক্রিয়া শেষ করতেই ৮-১০ দিন সময় লাগে। ফলে এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে দ্রুত চাহিদা মতো সার বিতরণ সম্ভব হয়না বলে ডিলাররা জানিয়েছে।

অথচ এ সময়ে সারের জন্য কৃষকরা উদগ্রীব থাকেন। কারণ জমিতে সার প্রয়োগের সময় চলে যায়। এই পদ্ধতি চালুর কারণে এবারে চরম সার সংকটে পড়েছে কৃষকরা। বর্তমান আমন ধান মৌসুমে দেশে সারের চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন। এমনি গুরুত্বপূর্ন সময়ে অসাধু ডিলাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে রাখা সার বাজারে ছাড়ছে না।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসি আইসি) জানিয়েছে দেশে সার সংকট হওয়ার কোন কারণ নেই। চাহিদা মেটাতে ডিলাররা সেখান থেকে পরিমান মতো সার নিচ্ছেনা।

এছাড়া সার কারখানা গুলো ও পুরো মাত্রায় উৎপাদন করছে বলেও জানাগেছে। সার সংকটের জন্য দায়ী এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশীপ হাতিয়ে নেয়। অথচ সেই সব ডিলারের ডিলারশীপ লাইসেন্স এখন বহাল রয়েছে। জানা গেছে ঐ সব ডিলারই ক্রমাগত ভাবে বাজারে সার সহ কৃষি উপকরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। অথচ দেশের অধিকাংশ স্থানেই সারের জন্য কৃষকদের এখন হাহাকার অবস্থা। তা ছাড়া অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকদের সার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

ছবি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে পীরের আস্তানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

ছবি

মুকসুদপুরে দীর্ঘ ৯০ বছর পর থানার বেদখল জমি উদ্ধার

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৬৬৪ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ১

ছবি

ভোটাভুটিতে সিপিবি’র ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি

ছবি

টঙ্গিতে দগ্ধ হওয়া ফায়ার ফাইটার শামীম হার মানলেন মৃত্যুর কাছে

ছবি

সাতশ’ মণ্ডপ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বললো সনাতনী জোট, সিসি ক্যামেরার পরামর্শ ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

ছবি

শরণখোলায় বিরল সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার

শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক,২ দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ১৪ শিশু,হাসপাতালে নেই ভ্যাকসিন

ছবি

রংপুরের হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৫০ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা, ব্যক্তিগত গাড়ি কমাতে মানসম্পন্ন গণপরিবহন বাড়াতে হবে

ছবি

গোয়ালন্দে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

গজারিয়ায় বাস-ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

তারাগঞ্জে মাংস ব্যবসায়ী-প্রশাসনের আলোচনা

ছবি

কালীগঞ্জকে ‘জঙ্গল’ বলায় মুফতি নাসিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

ছবি

একই রশিতে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

সিংগাইরে কর্মস্থলে থাকেন না আবাসিক মেডিকেল অফিসার

ছবি

রেশম প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

দোহারে জব্দ করা তিনটি ড্রেজার পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

হরিণের দেখা মিলেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে

ছবি

প্রশিক্ষণের গাড়ি পানিতে ডুবে নিহত ১

ছবি

দেবহাটার দুর্গাপূজার আগে রাস্তা সংস্কারের দাবি

ছবি

প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের যাবজ্জীবন

ছবি

দশমিনায় রাসায়নিকের ব্যবহারে শাপলা এখন অস্তিত্ব সংকটে

ছবি

ওমানে ছাদ থেকে পড়ে চুনারুঘাটের যুবকের মৃত্যু

ছবি

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে একদিনে তিন শিশুর মৃত্য

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চা দোকানীর মৃত্যু

ছবি

চা-বাগানে গোলমরিচ চাষের নতুন সম্ভাবনা

ছবি

শার্শায় পেট্রলপাম্প দখলের চেষ্টা বিএনপির নেতা বহিষ্কার

ছবি

দামুড়হুদায় ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্রে আটার পরিমান বৃদ্ধির দাবি

ছবি

চান্দিনা উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান

ছবি

আবারো পদ্মায় ভাঙন, ছোট হয়ে যাচ্ছে লৌহজংয়ের মানচিত্র

ছবি

কীটনাশক প্রয়োগে নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা

ছবি

কোটচাঁদপুরে নকল পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা জমজমাট

tab

পুঠিয়ায় সারের কৃত্রিম সংকট, কৃষকের হাহাকার

প্রতিনিধি, পুঠিয়া (রাজশাহী)

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এখন চলছে সারের হাহাকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা কেজিতে ১৫/২০ টাকা বেশি দিয়ে সারের জন্য খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্না দিয়েও সার পাচ্ছেনা। বর্তমানে সার ব্যবহারের সময়ে ধানের জমিতে প্রয়োজন মত সার প্রয়োগ করতে না পারলে উৎপাদন চরম ভাবে ব্যহৃত হবে বলে আশংকা করছে কৃষকরা।

ভরা মৌসুমে সারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য মেতে উঠেছে অসাধু ডিলারসহ ব্যবসায়ীরা। মুজুদ থাকলেও বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের সংকটে ফেলে দিচ্ছে এই অসাধু চক্র

ডিলারদের কাছে গিয়ে সার চাইলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একজন প্রান্তিক বা ক্ষুদ্রচাষীর বর্গা বা আদা করে হয়তো ৫/১০ কাঠা জমিতে ধানের চাষ করছে। এতে তার সামান্য কিছু সার হলে জমিতে প্রয়োগ করতে পারবে। কিন্তু সেই প্রান্তিক চাষী সার পাচ্ছে না। এ কারণে ক্ষুদ্র কৃষকরা নানা প্রক্রিয়া বহু দুর গিয়েও সারের যোগাড় করতে পারছেনা। ডিলারদেও কাছেও সার পেতে ১২/১৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য উদ্যোগ নিলেও এখনো সারের হাহাকার চলছে। গত বছরের মতো এবারেও ভরা মৌসুমে সারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য মেতে উঠেছে অসাধু ডিলারসহ ব্যবসায়ীরা। মুজুদ থাকলেও বিক্রি বন্ধ করে কৃষকদের সংকটে ফেলে দিচ্ছে এই অসাধু চক্র। দেশের বেশির ভাগ স্থানেই সার পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া যায় তবে দাম আকাশ ছোয়া। সরকার নিদ্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুন তিনগুন দাম রাখা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদেও কাছে ডিলাররা বাড়তি দামে সার বিক্রি করছে বলেও তারা ও কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। তারা বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তির নামের তালিকা সরবরাহ কওে ডিলারদের নিকট থেকে গোপনে সংগ্রহ করে থাকে। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছেন। এছাড়া চাহিদার তুলনায় সামান্যই সার পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এ চরম সংকটে কৃষকরা ও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

এদিকে বর্তমান নিয়মে ডিলাররা সার বুঝে নেয়ার আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। উভয় কর্মকর্তা সরে জমিন পরিদর্শনে যাবেন। এর পর বিক্রি রশিদে স্বাক্ষর করবেন। পরে তা জেলা প্রশাসনের এবং বীজ ও সার কমিটির কাছে দেবেন।

জেলা প্রশাসক বিক্রি রশিদে প্রতিস্বাক্ষও দেওয়ার পরই তবে ডিলাররা সার বিতরণ করতে পারবেন। এর আগে তিনি সার বিক্রি করতে পারবেন না। মাঠ পর্যায়ে বাস্তবে এ প্রক্রিয়া শেষ করতেই ৮-১০ দিন সময় লাগে। ফলে এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে দ্রুত চাহিদা মতো সার বিতরণ সম্ভব হয়না বলে ডিলাররা জানিয়েছে।

অথচ এ সময়ে সারের জন্য কৃষকরা উদগ্রীব থাকেন। কারণ জমিতে সার প্রয়োগের সময় চলে যায়। এই পদ্ধতি চালুর কারণে এবারে চরম সার সংকটে পড়েছে কৃষকরা। বর্তমান আমন ধান মৌসুমে দেশে সারের চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন। এমনি গুরুত্বপূর্ন সময়ে অসাধু ডিলাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে রাখা সার বাজারে ছাড়ছে না।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসি আইসি) জানিয়েছে দেশে সার সংকট হওয়ার কোন কারণ নেই। চাহিদা মেটাতে ডিলাররা সেখান থেকে পরিমান মতো সার নিচ্ছেনা।

এছাড়া সার কারখানা গুলো ও পুরো মাত্রায় উৎপাদন করছে বলেও জানাগেছে। সার সংকটের জন্য দায়ী এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশীপ হাতিয়ে নেয়। অথচ সেই সব ডিলারের ডিলারশীপ লাইসেন্স এখন বহাল রয়েছে। জানা গেছে ঐ সব ডিলারই ক্রমাগত ভাবে বাজারে সার সহ কৃষি উপকরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। অথচ দেশের অধিকাংশ স্থানেই সারের জন্য কৃষকদের এখন হাহাকার অবস্থা। তা ছাড়া অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকদের সার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

back to top