ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ভাই-ভাবীর উপর অভিমান করে গলায় ওড়না পেচিয়ে লাখি আক্তার (১৬) নামে একজন কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত লাখি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের নজির সরদারের মেয়ে। চলতি বছর স্থানীয় মঙ্গলপুর দাখিল মাদ্রাসা হতে দাখিল পাশ করে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লাখির মা এক সপ্তাহ আগে তার মেজো মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।
গতকাল সোমবার সকালে লাখির বাবা ভিজিএফ কার্ডের চাউল তোলার জন্য উজানচর ইউনিয়ন পরিষদে যান।
এর ফাঁকে সাংসারিক টানাপোড়েনের বিষয় নিয়ে লাখির সাথে তার ভাই সাগর ও ভাবীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাখি তার ভাবীর উপর অভিমান করে তাদের বসত ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিপ্লব নামের একজন প্রতিবেশী তাদের বাড়িতে গেলে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালার ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন আখি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিক তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে লাখির নিথর দেহ নিচে নামিয়ে আনে। এ সময় তার অবস্থা বেগতিক দেখে স্হানীয় কয়েকজন তাকে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাখিকে পরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ভাই-ভাবীর উপর অভিমান করে গলায় ওড়না পেচিয়ে লাখি আক্তার (১৬) নামে একজন কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত লাখি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের নজির সরদারের মেয়ে। চলতি বছর স্থানীয় মঙ্গলপুর দাখিল মাদ্রাসা হতে দাখিল পাশ করে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লাখির মা এক সপ্তাহ আগে তার মেজো মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।
গতকাল সোমবার সকালে লাখির বাবা ভিজিএফ কার্ডের চাউল তোলার জন্য উজানচর ইউনিয়ন পরিষদে যান।
এর ফাঁকে সাংসারিক টানাপোড়েনের বিষয় নিয়ে লাখির সাথে তার ভাই সাগর ও ভাবীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাখি তার ভাবীর উপর অভিমান করে তাদের বসত ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিপ্লব নামের একজন প্রতিবেশী তাদের বাড়িতে গেলে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালার ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন আখি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিক তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে লাখির নিথর দেহ নিচে নামিয়ে আনে। এ সময় তার অবস্থা বেগতিক দেখে স্হানীয় কয়েকজন তাকে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাখিকে পরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।