ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানসম্মত গণপরিবহনের অভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলছে। ফলে সড়কে বাড়ছে যানজট। তাই ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে বিকল্প মানসম্পন্ন গণপরিবহন বাড়ানো প্রয়োজন। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন, শহরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আলোচনা সভার শিরোনাম ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। তিনি বলেন, পরিবহন ও যানজট সমস্যা এ পর্যায়ে আসার মূল কারণ সঠিক পরিকল্পনার অভাব। বর্তমান সরকার পরিবহন খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে কিছু কার্যকর নীতি প্রণয়নে কাজ করছে। তবে দায়ভারটা জনগণেরও। জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। যেন পরবর্তী যে সরকারই আসুক না কেন, কার্যকর নীতিগুলোর বাস্তবায়ন চলমান থাকে।
ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে হলে সবার প্রথমে বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর জন্য গণপরিবহনকে ব্যক্তিমালিকানা থেকে কোম্পানিতে নিয়ে যেতে হবে। এটা করা না গেলে মানসম্পন্ন গণপরিবহন নিশ্চিত করা যাবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের মূল উদ্দেশ্য সড়কে ছোট গাড়ির সংখ্যা কমানো, বড় গাড়ি বাড়ানো। যেন একটি গাড়িতে অধিক জনসাধারণ যাতায়াত করতে পারে। মানসম্পন্ন গণপরিবহন নিশ্চিত করতে নাগরিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেননা, কল্যাণ চিন্তা শুধু সরকারের একার কাজ নয়, এতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় মানসম্পন্ন সরকারি গণপরিবহনের অভাবে মধ্যম আয়ের মানুষও গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানসম্মত গণপরিবহনের অভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলছে। ফলে সড়কে বাড়ছে যানজট। তাই ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে বিকল্প মানসম্পন্ন গণপরিবহন বাড়ানো প্রয়োজন। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন, শহরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আলোচনা সভার শিরোনাম ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। তিনি বলেন, পরিবহন ও যানজট সমস্যা এ পর্যায়ে আসার মূল কারণ সঠিক পরিকল্পনার অভাব। বর্তমান সরকার পরিবহন খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে কিছু কার্যকর নীতি প্রণয়নে কাজ করছে। তবে দায়ভারটা জনগণেরও। জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। যেন পরবর্তী যে সরকারই আসুক না কেন, কার্যকর নীতিগুলোর বাস্তবায়ন চলমান থাকে।
ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে হলে সবার প্রথমে বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর জন্য গণপরিবহনকে ব্যক্তিমালিকানা থেকে কোম্পানিতে নিয়ে যেতে হবে। এটা করা না গেলে মানসম্পন্ন গণপরিবহন নিশ্চিত করা যাবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের মূল উদ্দেশ্য সড়কে ছোট গাড়ির সংখ্যা কমানো, বড় গাড়ি বাড়ানো। যেন একটি গাড়িতে অধিক জনসাধারণ যাতায়াত করতে পারে। মানসম্পন্ন গণপরিবহন নিশ্চিত করতে নাগরিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেননা, কল্যাণ চিন্তা শুধু সরকারের একার কাজ নয়, এতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় মানসম্পন্ন সরকারি গণপরিবহনের অভাবে মধ্যম আয়ের মানুষও গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে।