খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে ডাকা অবরোধ চলাকালে গুইমারায় একটি বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা একটার দিকে গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এই অগ্নিসংযোগ হয়। এতে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ও পাশে থাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, আগুনে দোকানপাট জ্বলছে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশই পাহাড়ি।
ঘটনার পর গুইমারাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলেও এলাকায় অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। এর আগে দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, গুলির শব্দও শোনা যায়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মংসাজাই মারমা ও কংজরী মারমা জানান, তাঁরা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর গুলি চালানো হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। গুলির পর লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ২০-২৫ জন মুখোশধারীসহ কয়েকজন লোক বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকান ও বাড়িঘরের পাশাপাশি বেশ কিছু মোটরসাইকেলও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, অবরোধকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এর ফলে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি শহরেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বাজার ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে একটি পক্ষ ফায়দা নিতে চাইছে। তিনি সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে ডাকা অবরোধ চলাকালে গুইমারায় একটি বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা একটার দিকে গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এই অগ্নিসংযোগ হয়। এতে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ও পাশে থাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, আগুনে দোকানপাট জ্বলছে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশই পাহাড়ি।
ঘটনার পর গুইমারাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলেও এলাকায় অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। এর আগে দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, গুলির শব্দও শোনা যায়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মংসাজাই মারমা ও কংজরী মারমা জানান, তাঁরা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর গুলি চালানো হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। গুলির পর লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ২০-২৫ জন মুখোশধারীসহ কয়েকজন লোক বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকান ও বাড়িঘরের পাশাপাশি বেশ কিছু মোটরসাইকেলও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, অবরোধকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এর ফলে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি শহরেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বাজার ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে একটি পক্ষ ফায়দা নিতে চাইছে। তিনি সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।