খাগড়াছড়িতে একটি মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা সদর, সদর উপজেলা, পৌর এলাকা এবং গুইমারা উপজেলায় টানা তৃতীয় দিনে ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে।
রোববার সহিংসতায় তিনজন নিহত হওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে নতুন কোনো গোলযোগের খবর না এলেও গুইমারা উপজেলায় পরিস্থিতি এখনও থমথমে। সোমবার দুপুর থেকে অবরোধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে জুম্মা ছাত্র জনতার ডাকা অবরোধে রাঙামাটির সঙ্গে যান চলাচল এখনো বন্ধ। দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ নয় উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব পথে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।
অবরোধের কারণে তিন দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। সাজেকে আটকে থাকা ৫১৮ জন পর্যটককে সেনা নিরাপত্তার মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে আনা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তারা খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছান।
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, কলেজ গেইট, স্বনির্ভর ও জিরো মাইল এলাকায় নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ১৪৪ ধারার মধ্যে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উত্তেজনা শুরু হয় বুধবার; আগের দিন রাতে অচেতন অবস্থায় ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর翌দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে আন্দোলন শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে সহিংস রূপ নেয়। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়।
রোববার গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন— হাফছড়ি ইউনিয়নের রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
রোববার সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ ১৬ সদস্য এবং গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন আহত হন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ জানান, নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানিয়েছেন, রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৪ জনকে আনা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ জন চিকিৎসাধীন।
গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনা বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।”
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়িতে একটি মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা সদর, সদর উপজেলা, পৌর এলাকা এবং গুইমারা উপজেলায় টানা তৃতীয় দিনে ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে।
রোববার সহিংসতায় তিনজন নিহত হওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে নতুন কোনো গোলযোগের খবর না এলেও গুইমারা উপজেলায় পরিস্থিতি এখনও থমথমে। সোমবার দুপুর থেকে অবরোধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে জুম্মা ছাত্র জনতার ডাকা অবরোধে রাঙামাটির সঙ্গে যান চলাচল এখনো বন্ধ। দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ নয় উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব পথে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।
অবরোধের কারণে তিন দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। সাজেকে আটকে থাকা ৫১৮ জন পর্যটককে সেনা নিরাপত্তার মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে আনা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তারা খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছান।
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, কলেজ গেইট, স্বনির্ভর ও জিরো মাইল এলাকায় নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ১৪৪ ধারার মধ্যে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উত্তেজনা শুরু হয় বুধবার; আগের দিন রাতে অচেতন অবস্থায় ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর翌দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে আন্দোলন শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে সহিংস রূপ নেয়। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়।
রোববার গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন— হাফছড়ি ইউনিয়নের রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
রোববার সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ ১৬ সদস্য এবং গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন আহত হন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ জানান, নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানিয়েছেন, রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৪ জনকে আনা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ জন চিকিৎসাধীন।
গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনা বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।”