রাজধানীতে গতকাল বিশ্ব হার্ট দিবসের র্যালি -সংবাদ
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হার্ট অ্যাটাক। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও হাঁটাচলা না করার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্বে এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ। বাংলাদেশেও হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ এখন খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনসহ নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, নিজেকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে। সোমবার,(২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘ছন্দে থাকুক আপনার হৃৎস্পন্দন’। সেমিনারে কেক কেটে বিশ্ব হার্ট দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেমিনারের পূর্বে সকালে মিনি ম্যারাথন ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ম্যারাথনে বিজয়ী চিকিৎসকদেরকে সেমিনারে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, হৃৎপি- থাকলে হৃদয়বান হওয়া যায় না। হার্টকে নিয়মিত চেকআপে রাখতে হবে। হার্ট ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন হাঁটতে হবে এবং ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মানুষকে হার্ট অ্যাটাকের ঘাতক ব্যাধি থেকে বাঁচাতে হলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নিজেদেরকে ডাক্তার না ভেবে গুরুত্বপূর্ণ রোগী মনে করে হার্টের রোগীদেরকে আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা নিজেদের হার্ট নিয়ে কখনো চিন্তা করিনা। হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর প্রধান কারণ। হার্টের যত্ন না নিলে অকালেই চলে যেতে হবে। পারিবারিক হৃদরোগ ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা ও অতিরিক্ত মদ্যপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো হার্ট বা হৃৎপিণ্ডেরও যত্নে নিতে হবে।
চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. একরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. ইমতিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. বোরহান উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন- হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবুল বাশার, মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. এ.এস.এম লুৎফুল কবির, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. তৌহিদুল আনোয়ার, অপসোনিন ফার্মার পিএমডি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম কাজী ও আরএসএম মাঈনুল হাসেম। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা সেমিনার, ম্যারাথন ও র্যালিতে অংশ নেন।
রাজধানীতে গতকাল বিশ্ব হার্ট দিবসের র্যালি -সংবাদ
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হার্ট অ্যাটাক। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও হাঁটাচলা না করার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্বে এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ। বাংলাদেশেও হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ এখন খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনসহ নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, নিজেকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে। সোমবার,(২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘ছন্দে থাকুক আপনার হৃৎস্পন্দন’। সেমিনারে কেক কেটে বিশ্ব হার্ট দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেমিনারের পূর্বে সকালে মিনি ম্যারাথন ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ম্যারাথনে বিজয়ী চিকিৎসকদেরকে সেমিনারে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, হৃৎপি- থাকলে হৃদয়বান হওয়া যায় না। হার্টকে নিয়মিত চেকআপে রাখতে হবে। হার্ট ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন হাঁটতে হবে এবং ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মানুষকে হার্ট অ্যাটাকের ঘাতক ব্যাধি থেকে বাঁচাতে হলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নিজেদেরকে ডাক্তার না ভেবে গুরুত্বপূর্ণ রোগী মনে করে হার্টের রোগীদেরকে আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা নিজেদের হার্ট নিয়ে কখনো চিন্তা করিনা। হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর প্রধান কারণ। হার্টের যত্ন না নিলে অকালেই চলে যেতে হবে। পারিবারিক হৃদরোগ ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা ও অতিরিক্ত মদ্যপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো হার্ট বা হৃৎপিণ্ডেরও যত্নে নিতে হবে।
চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. একরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. ইমতিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. বোরহান উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন- হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবুল বাশার, মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. এ.এস.এম লুৎফুল কবির, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. তৌহিদুল আনোয়ার, অপসোনিন ফার্মার পিএমডি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম কাজী ও আরএসএম মাঈনুল হাসেম। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা সেমিনার, ম্যারাথন ও র্যালিতে অংশ নেন।