ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গত এক মাস যাবৎ গরু-ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দিন দিন এর প্রকোপ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।
উপজেলার পনেরো ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক গরু-ছাগল অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সেই সঙ্গে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করায় অন্তত ৫-৬ জন পশু মালিক আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে পশুর মৃত্যুর সংখ্যা কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতে পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় তার প্রভাব এখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা, পৌরসভা এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় অ্যানথ্রাক্স টিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় গরু-ছাগলের সংখ্যা আড়াই লাখ।
টিকা রয়েছে মাত্র ১৩ হাজার। টিকার জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত গরু-ছাগলের সঠিক সংখ্যা দিতে পারেনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে ১০-১৫টি গরু-ছাগল হতে পারে।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আলুটারী মহল্লার মো. আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, হঠাৎ গত বুধবার তার দুইটি গরু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
এরই মধ্যে ওইদিন রাতে একটি গরু মারা যায়। পরে প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন এসে চিকিৎসা দিয়ে যাওয়ার একদিন পর অন্য গরুটিও মারা যায়। পরবর্তীতে বাকি গরু-ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স টিকা দেয়ায় বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
সর্বান্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ফরমান আলী বলেন, তার তিনটি গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু মারা গেছে, বাকিগুলো সুস্থ রয়েছে। ওই গ্রামে টিকা প্রদান করায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলা হতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পৌরসভায় দুইটি গরু মারা গেছে। সাহাবাজ এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ওই এলাকায় ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে। আমাদের মাঝে ১৩ হাজার টিকা রয়েছে। আমরা আরও চাহিদা পাঠিয়েছি। টিকা পেলে গরু-ছাগলের মাঝে প্রদান করা হবে। রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের মাংস খেলে মানুষ আক্রান্ত হবে না। তবে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাক বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার বেলকা, সর্বান্দ ইউনিয়ন হতে ৪-৫ জন অজ্ঞাত বা অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত রোগী এসেছিল। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে মানুষের মাঝে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গত এক মাস যাবৎ গরু-ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দিন দিন এর প্রকোপ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।
উপজেলার পনেরো ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক গরু-ছাগল অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সেই সঙ্গে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করায় অন্তত ৫-৬ জন পশু মালিক আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে পশুর মৃত্যুর সংখ্যা কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতে পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় তার প্রভাব এখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা, পৌরসভা এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় অ্যানথ্রাক্স টিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় গরু-ছাগলের সংখ্যা আড়াই লাখ।
টিকা রয়েছে মাত্র ১৩ হাজার। টিকার জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত গরু-ছাগলের সঠিক সংখ্যা দিতে পারেনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে ১০-১৫টি গরু-ছাগল হতে পারে।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আলুটারী মহল্লার মো. আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, হঠাৎ গত বুধবার তার দুইটি গরু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
এরই মধ্যে ওইদিন রাতে একটি গরু মারা যায়। পরে প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন এসে চিকিৎসা দিয়ে যাওয়ার একদিন পর অন্য গরুটিও মারা যায়। পরবর্তীতে বাকি গরু-ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স টিকা দেয়ায় বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
সর্বান্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ফরমান আলী বলেন, তার তিনটি গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু মারা গেছে, বাকিগুলো সুস্থ রয়েছে। ওই গ্রামে টিকা প্রদান করায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলা হতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পৌরসভায় দুইটি গরু মারা গেছে। সাহাবাজ এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ওই এলাকায় ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে। আমাদের মাঝে ১৩ হাজার টিকা রয়েছে। আমরা আরও চাহিদা পাঠিয়েছি। টিকা পেলে গরু-ছাগলের মাঝে প্রদান করা হবে। রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের মাংস খেলে মানুষ আক্রান্ত হবে না। তবে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাক বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার বেলকা, সর্বান্দ ইউনিয়ন হতে ৪-৫ জন অজ্ঞাত বা অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত রোগী এসেছিল। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে মানুষের মাঝে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।