ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানসিক ভারসাম্যহীন ৬৫ বছর বয়সী চাচাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে প্রায় ৫ বিঘা সম্পত্তি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এঘটনা জানা জানি হওয়ার পর অন্যান্য শরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জায়গা-জমি লিখে নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোন মূহুর্তে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে। শরিকদের ঠকিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন চাচার জমি লিখে নেয়া ব্যক্তি ওসমান শিকদার চরগোপালপুর গ্রামের মৃত জাফর শিকদারের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চর গোপালপুর গ্রামের মৃত জেলাল উদ্দিন শিকদারের ছেলে সলেমান শিকদার ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। কিন্তু উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যান। তখন অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েও তাকে ভালো করা যায়নি। তখন বাড়ির মুরুব্বিরা একটি টিনের ঘর তৈরি করে তার থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকেই এখন পর্যন্ত ভাঙাচোরা টিনের ঘরেই বসবাস করছেন তিনি। আর তার দেখাশোনা করছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাতিজা ওসমান শিকদার গোপনে ২০২২ সালে সাড়ে ৪ বিঘা সম্পত্তি দলিল করে নেয়। তখন বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ওসমান শিকদারের সাথে বাকি শরিকদের ঝামেলা হতেই থাকে।
পরে মানসিক ভারসাম্যহীন সোলেমান শিকদারের আরো ২১ শতাংশ জমি ২০২৫ সালের দলিল করে নেয় ওসমান। তখন থেকেই এই বিষয় নিয়ে তাদেও মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন সলেমান শিকদারের আপন দুই ভাতিজা ছাবিল
শিকদার ও সোহাগ শিকদার বলেন, আমার বাবা চাচারা মোট ৪ ভাই। তার মধ্যে চাচা সোলেমান শিকদার মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার বিয়ে হয়নি। তাই তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাকি শরিকদের ঠকিয়ে আরেক চাচাতো ভাই ওসমান ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সালুখা মৌজার বিভিন্ন দাগের মোট পাঁচ বিঘা সম্পত্তি দলিল করে নিয়েছে। তখন অন্যান্য শরিকরা ওসমানকে জায়গা ফেরত দিতে বললেও তিনি ফেরত দেয়নি। তাই এই বিষয় নিয়ে শরিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোনো সময়ে বড় ঝামেলা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওসমান শিকদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কয়েকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি গ্রহন করেননি। মানসিক ভারসাম্যহীন সলেমান শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ওসমান আমাকে বিয়ে দেবে তাই জমি স্বেচ্ছায় লিখে দিয়েছি। আমাকে বিয়ে দিলেই হবে, জমির টাকা নেবো কেন! ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্মল রায় বলেন, চর-গোপালপুর গ্রামের সলেমান শিকদার মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার বিয়ে হয়নি। পড়াশোনা করা কালীন সময়েই তার মাথায় সমস্যা হয়।
আর কেউ বিয়ের কথা বললে সলেমান খুশি হয়। ওসমান জমি লিখে নেয়ার পর বাকি শরিকেরা পরিষদে এসেছিলো। কিন্তু কোন শালিসের দিন ওসমান উপস্থিত না হওয়ায় শালিস হয়নি।
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন হালদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর যদি দলিল হয়ে থাকলে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
মানসিক ভারসাম্যহীন ৬৫ বছর বয়সী চাচাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে প্রায় ৫ বিঘা সম্পত্তি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এঘটনা জানা জানি হওয়ার পর অন্যান্য শরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জায়গা-জমি লিখে নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোন মূহুর্তে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে। শরিকদের ঠকিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন চাচার জমি লিখে নেয়া ব্যক্তি ওসমান শিকদার চরগোপালপুর গ্রামের মৃত জাফর শিকদারের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চর গোপালপুর গ্রামের মৃত জেলাল উদ্দিন শিকদারের ছেলে সলেমান শিকদার ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। কিন্তু উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যান। তখন অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েও তাকে ভালো করা যায়নি। তখন বাড়ির মুরুব্বিরা একটি টিনের ঘর তৈরি করে তার থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকেই এখন পর্যন্ত ভাঙাচোরা টিনের ঘরেই বসবাস করছেন তিনি। আর তার দেখাশোনা করছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাতিজা ওসমান শিকদার গোপনে ২০২২ সালে সাড়ে ৪ বিঘা সম্পত্তি দলিল করে নেয়। তখন বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ওসমান শিকদারের সাথে বাকি শরিকদের ঝামেলা হতেই থাকে।
পরে মানসিক ভারসাম্যহীন সোলেমান শিকদারের আরো ২১ শতাংশ জমি ২০২৫ সালের দলিল করে নেয় ওসমান। তখন থেকেই এই বিষয় নিয়ে তাদেও মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন সলেমান শিকদারের আপন দুই ভাতিজা ছাবিল
শিকদার ও সোহাগ শিকদার বলেন, আমার বাবা চাচারা মোট ৪ ভাই। তার মধ্যে চাচা সোলেমান শিকদার মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার বিয়ে হয়নি। তাই তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাকি শরিকদের ঠকিয়ে আরেক চাচাতো ভাই ওসমান ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সালুখা মৌজার বিভিন্ন দাগের মোট পাঁচ বিঘা সম্পত্তি দলিল করে নিয়েছে। তখন অন্যান্য শরিকরা ওসমানকে জায়গা ফেরত দিতে বললেও তিনি ফেরত দেয়নি। তাই এই বিষয় নিয়ে শরিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোনো সময়ে বড় ঝামেলা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওসমান শিকদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কয়েকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি গ্রহন করেননি। মানসিক ভারসাম্যহীন সলেমান শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ওসমান আমাকে বিয়ে দেবে তাই জমি স্বেচ্ছায় লিখে দিয়েছি। আমাকে বিয়ে দিলেই হবে, জমির টাকা নেবো কেন! ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্মল রায় বলেন, চর-গোপালপুর গ্রামের সলেমান শিকদার মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার বিয়ে হয়নি। পড়াশোনা করা কালীন সময়েই তার মাথায় সমস্যা হয়।
আর কেউ বিয়ের কথা বললে সলেমান খুশি হয়। ওসমান জমি লিখে নেয়ার পর বাকি শরিকেরা পরিষদে এসেছিলো। কিন্তু কোন শালিসের দিন ওসমান উপস্থিত না হওয়ায় শালিস হয়নি।
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন হালদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর যদি দলিল হয়ে থাকলে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।