গাজীপুরের কাপাসিয়ার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দেইলগাঁও গ্রামের মো. মফিজউদ্দিন শেখের ছেলে মো. ইসমাইল শেখ (৪০)। দরিদ্র পিতা মাতার ঘরে তাদের তিন ভাই তিন বোনের সংসার। জীবিকার তাগিদে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় চলে যান সৌদি আরবে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের টাকায় ছোট ভাইকেও সেখানে নিয়ে যান শ্রমিক ভিসায়। দুই ভাইয়ের যৌথ পরিশ্রমের পর একটি মাইক্রোবাস কিনে ব্যবসা করার ইচ্ছায় প্রায় ১০ বছর আগে দেশে চলে আসেন ইসমাইল শেখ। প্রায় ২৮ লাখ টাকায় কিনে আনেন একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস। চালক হিসেবে নিজেই গত ১০ বছর ধরে আশপাশের মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি।
তাদের একান্নবর্তী পরিবারের আয়ের উৎস এই গাড়িটিই জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। তাই গাড়িটির প্রতি ছিল তাদের বিশাল দরদ। কিন্তু গত বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে বাড়ির অদূরে রাখা সেই গাড়িটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশের মানুষের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙ্গে এসে চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখেন নিজের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বলটি।
ইসমাইল শেখ জানান, রাণীগঞ্জ-গাজীপুর সড়ক থেকে দেইলগাঁওগামী সড়কটি গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তার হাইয়েস মাক্রোবাসটি সড়কের পাশে রেখে দেন। গত বুধবার বিকাল থেকে যাত্রী পরিবহনের কাজ না থাকায় সেখানেই তা রেখে রাতের বেলা বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দুইটার দিকে আশপাশের লোকজন তার গাড়িতে আগুন লেগেছে বলে ডাকাডাকি করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে চোখের সামনেই তার গাড়িটি পুড়ে যেতে দেখেন। আগুনের তীব্র লেলিহান শিখার কারণে তা নিভানো তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এ সময় স্থানীয়রা কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা শেষ পর্যায়ে এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। কিন্তু এ গাড়িটি মেরামত করে ব্যবহারের আর কোন উপায় না থাকায় তার পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গাড়ির মালিক ইসমাইল শেখ বাদী হয়ে এ বিষয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
গাজীপুরের কাপাসিয়ার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দেইলগাঁও গ্রামের মো. মফিজউদ্দিন শেখের ছেলে মো. ইসমাইল শেখ (৪০)। দরিদ্র পিতা মাতার ঘরে তাদের তিন ভাই তিন বোনের সংসার। জীবিকার তাগিদে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় চলে যান সৌদি আরবে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের টাকায় ছোট ভাইকেও সেখানে নিয়ে যান শ্রমিক ভিসায়। দুই ভাইয়ের যৌথ পরিশ্রমের পর একটি মাইক্রোবাস কিনে ব্যবসা করার ইচ্ছায় প্রায় ১০ বছর আগে দেশে চলে আসেন ইসমাইল শেখ। প্রায় ২৮ লাখ টাকায় কিনে আনেন একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস। চালক হিসেবে নিজেই গত ১০ বছর ধরে আশপাশের মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি।
তাদের একান্নবর্তী পরিবারের আয়ের উৎস এই গাড়িটিই জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। তাই গাড়িটির প্রতি ছিল তাদের বিশাল দরদ। কিন্তু গত বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে বাড়ির অদূরে রাখা সেই গাড়িটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশের মানুষের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙ্গে এসে চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখেন নিজের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বলটি।
ইসমাইল শেখ জানান, রাণীগঞ্জ-গাজীপুর সড়ক থেকে দেইলগাঁওগামী সড়কটি গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তার হাইয়েস মাক্রোবাসটি সড়কের পাশে রেখে দেন। গত বুধবার বিকাল থেকে যাত্রী পরিবহনের কাজ না থাকায় সেখানেই তা রেখে রাতের বেলা বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দুইটার দিকে আশপাশের লোকজন তার গাড়িতে আগুন লেগেছে বলে ডাকাডাকি করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে চোখের সামনেই তার গাড়িটি পুড়ে যেতে দেখেন। আগুনের তীব্র লেলিহান শিখার কারণে তা নিভানো তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এ সময় স্থানীয়রা কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা শেষ পর্যায়ে এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। কিন্তু এ গাড়িটি মেরামত করে ব্যবহারের আর কোন উপায় না থাকায় তার পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গাড়ির মালিক ইসমাইল শেখ বাদী হয়ে এ বিষয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।