কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের পকেটের প্রতি মাসে কোটি টাকার ও বেশি লোপাট করা হচ্ছে। প্রতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহার দুই-তিন গুণ দেখিয়ে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার যত বেশি হয়, ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পায়। পল্লী বিদ্যুতের তথ্যানুযায়ী ১-৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ৪.৮৫ টাকা হাওে, ৭৬-২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬.৬৩ টাকা হারে, ২০১-৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬.৯৫ টাকা হারে, ৩০১-৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৭.৩৪ টাকা হারে, ৪০১-৬০০ পর্যন্ত ১১.৫১ টাকা হারে ও ৬০০ ঊর্ধ্ব ইউনিট প্রতি বিল ১৩.৯৫ টাকা ধার্য রয়েছে। এ ক্রমবর্ধমান রেটের সুযোগে মিটার রিডিংয়ের সাথে সঙ্গতিবিহীন ভুতুড়ে বিল প্রদান করে গ্রাহকের টাকা লোপাট করা হচ্ছে।
পৌর সদরের মতি মিয়াঁর বাড়ির ভাড়টিয়া জাকির হোসেন জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে ৮০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ৪৬৪ টাকা বিল হয়। কিন্তু এপ্রিল মাসে লোডশেডিংয়ের পরও ১১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ২৩৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে ১৫৯২ টাকা বিল করা হয়েছে। ১৩ মে গ্রাহকের এপ্রিল মাসের বিল প্রদান করা হয়। বিল পেয়ে এক গ্রাহক দেখেন ১১ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ২৩ দিনে মাত্র ৩৪ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু এই মারপ্যাঁচে ফেলে গ্রাহকের পকেট কাটার জন্য বেশি মিটার রিডিং লিখে বিল প্রদান করা হয়েছে। একই ধরণের ঘাপলা ও প্রতারণা করে মার্চ মাসের বিল ৪১৬ টাকা হলেও মে মাসের বিল ১৭৩৮ টাকা করা হয়েছে বলে বোয়ালিয়া গ্রামের সামছুন্নাহার অভিযোগ করেন। প্রতিবেশী মিলন জানান, তার মার্চে বিল ৪১৮ টাকা হলেও একই ধরনের ঘাপলা ও প্রতারণা করে এপ্রিলে বিল ১৪২৮ টাকা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিলের নেই কোন ক্রমান্বয় দ্বারা গেল জুলাই-আগস্ট মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে দ্বিগুন থেকে পাঁচ-ছয় গুনেরও বেশি। এসব বিলের কাগজ হাতে পেয়ে বেহুশ কটিয়াদীর বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকেরা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে অতিরিক্ত গরমের কারনে এমাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল এসেছে লাগামহীন। এতে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা।
বোয়ালিয়া এলাকার কবির মিয়া জানান, আমার একটি আবাসিক মিটার নেয়া আছে, গেল জুলাই মাসে বিল আসে ৩০০ টাকা এসেছিলো কিন্তু আগস্ট মাসে ওই মিটারে ৩ হাজার ১০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এটা ভুতুড়ে বিল ছাড়া কিছুইনা।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কটিয়াদী জোনাল অফিসের কয়েকজন মিডার রিডারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বেশি ব্যাবহার করেছে গ্রাহকরা যার কারণে এমাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং না করার অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, আমরা প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি। অথচ ঝাকালিয়া, ফেকামারা এলাকায় জুলাই/২৫ মাসের মিটার রিডিং নিতে কোন লোককেই দেখা যায়নি বলেন এলাকাবাসী।
চর পুক্ষিয়ার আমিনুল ইসলাম জানান, তার মার্চ মাসে ৩৬০ ইউনিটের বিল করা হয়, আর ঘাপলা করে এপ্রিল মাসে ৯৯০ ইউনিটের বিল করা হয়েছে। ৯৫ হাজারের অধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছ থেকে একই ধরনের ঘাপলা ও প্রতারণার বিল করে কোটি টাকার ওবেশি লোপাটের প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছ থেকে ডিমান্ড চার্জের নামে বিল-প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে মাসে বাড়তি আদায় করা হলেও গ্রাহকসেবা নগণ্যের কোঠায়। গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলে বা টেলিফোন করলে তাদের সাথে অসদাচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিক পুত্র এহসান আলফারাবি জানান যে, ৯৪৭৪২ নং মিটারটিতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে সন্দেহ হলে ৮ মাস যাবত মেইন সুইচ বন্ধ রয়েছে কিন্তু প্রতি মাসেই ৭০০-৯০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে। মিটার ঘুরতে দেখা যায় না আবার রির্ভাসে লাল বাতি জ্বলে না। আনুমানিক গড় বিল করার কারনে বা ত্রুটিপূন মিটার সংযোগের কারনেএমনটি হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ এভাবে আমাদেরকে মানসিক নির্যাতন করছে ।
কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে এক প্রকারের তামাশা। এদিকে অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ শোনার পরিবর্তে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনেও মেলে না সেবা বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিজি করে রাখা হয়। পরে অনেক কষ্টে সংযোগ পেলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, দেশের পরিস্থিতি যেমন চলছে, বিদ্যুৎও সেভাবেই চলবে ।
গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহে অনিয়ম, ভুয়া মিটার রিডিং, অতিরিক্ত বিল আদায়, ত্রুটিপূন মিটার সংযোগ, হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতা এখন নিত্যদিনের চিত্র।তাছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের সাথে প্রতিমাসে মিটার ভাড়া/সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ ইত্যাদি কর্তন বন্ধ করতে হবে! এ জন্য তারা সরাসরি কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমকে দায়ী করছেন। অসহায় সাধারণ মানুষের অভিযোগ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, অথচ ন্যূনতম সেবাটুকুও পাচ্ছেন না। তারা দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।
কটিয়াদী জোনাল অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দিন বলেন, রিডিং নিয়ে গ্রাহকেরা আসলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে। মিটার রিডিং গ্রহণে বিলম্বের কারণে বিল বেশি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ নবাগত ডিজিএম মো. আবু সাঈদের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিদ্যুৎ এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিটারে বিদ্যুৎ বিলে রিডিং এর সাথে মিল না থাকলে তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের পকেটের প্রতি মাসে কোটি টাকার ও বেশি লোপাট করা হচ্ছে। প্রতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহার দুই-তিন গুণ দেখিয়ে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার যত বেশি হয়, ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পায়। পল্লী বিদ্যুতের তথ্যানুযায়ী ১-৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ৪.৮৫ টাকা হাওে, ৭৬-২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬.৬৩ টাকা হারে, ২০১-৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬.৯৫ টাকা হারে, ৩০১-৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৭.৩৪ টাকা হারে, ৪০১-৬০০ পর্যন্ত ১১.৫১ টাকা হারে ও ৬০০ ঊর্ধ্ব ইউনিট প্রতি বিল ১৩.৯৫ টাকা ধার্য রয়েছে। এ ক্রমবর্ধমান রেটের সুযোগে মিটার রিডিংয়ের সাথে সঙ্গতিবিহীন ভুতুড়ে বিল প্রদান করে গ্রাহকের টাকা লোপাট করা হচ্ছে।
পৌর সদরের মতি মিয়াঁর বাড়ির ভাড়টিয়া জাকির হোসেন জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে ৮০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ৪৬৪ টাকা বিল হয়। কিন্তু এপ্রিল মাসে লোডশেডিংয়ের পরও ১১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ২৩৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে ১৫৯২ টাকা বিল করা হয়েছে। ১৩ মে গ্রাহকের এপ্রিল মাসের বিল প্রদান করা হয়। বিল পেয়ে এক গ্রাহক দেখেন ১১ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ২৩ দিনে মাত্র ৩৪ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু এই মারপ্যাঁচে ফেলে গ্রাহকের পকেট কাটার জন্য বেশি মিটার রিডিং লিখে বিল প্রদান করা হয়েছে। একই ধরণের ঘাপলা ও প্রতারণা করে মার্চ মাসের বিল ৪১৬ টাকা হলেও মে মাসের বিল ১৭৩৮ টাকা করা হয়েছে বলে বোয়ালিয়া গ্রামের সামছুন্নাহার অভিযোগ করেন। প্রতিবেশী মিলন জানান, তার মার্চে বিল ৪১৮ টাকা হলেও একই ধরনের ঘাপলা ও প্রতারণা করে এপ্রিলে বিল ১৪২৮ টাকা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিলের নেই কোন ক্রমান্বয় দ্বারা গেল জুলাই-আগস্ট মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে দ্বিগুন থেকে পাঁচ-ছয় গুনেরও বেশি। এসব বিলের কাগজ হাতে পেয়ে বেহুশ কটিয়াদীর বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকেরা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে অতিরিক্ত গরমের কারনে এমাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল এসেছে লাগামহীন। এতে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা।
বোয়ালিয়া এলাকার কবির মিয়া জানান, আমার একটি আবাসিক মিটার নেয়া আছে, গেল জুলাই মাসে বিল আসে ৩০০ টাকা এসেছিলো কিন্তু আগস্ট মাসে ওই মিটারে ৩ হাজার ১০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এটা ভুতুড়ে বিল ছাড়া কিছুইনা।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কটিয়াদী জোনাল অফিসের কয়েকজন মিডার রিডারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বেশি ব্যাবহার করেছে গ্রাহকরা যার কারণে এমাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং না করার অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, আমরা প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি। অথচ ঝাকালিয়া, ফেকামারা এলাকায় জুলাই/২৫ মাসের মিটার রিডিং নিতে কোন লোককেই দেখা যায়নি বলেন এলাকাবাসী।
চর পুক্ষিয়ার আমিনুল ইসলাম জানান, তার মার্চ মাসে ৩৬০ ইউনিটের বিল করা হয়, আর ঘাপলা করে এপ্রিল মাসে ৯৯০ ইউনিটের বিল করা হয়েছে। ৯৫ হাজারের অধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছ থেকে একই ধরনের ঘাপলা ও প্রতারণার বিল করে কোটি টাকার ওবেশি লোপাটের প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছ থেকে ডিমান্ড চার্জের নামে বিল-প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে মাসে বাড়তি আদায় করা হলেও গ্রাহকসেবা নগণ্যের কোঠায়। গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলে বা টেলিফোন করলে তাদের সাথে অসদাচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিক পুত্র এহসান আলফারাবি জানান যে, ৯৪৭৪২ নং মিটারটিতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে সন্দেহ হলে ৮ মাস যাবত মেইন সুইচ বন্ধ রয়েছে কিন্তু প্রতি মাসেই ৭০০-৯০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে। মিটার ঘুরতে দেখা যায় না আবার রির্ভাসে লাল বাতি জ্বলে না। আনুমানিক গড় বিল করার কারনে বা ত্রুটিপূন মিটার সংযোগের কারনেএমনটি হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ এভাবে আমাদেরকে মানসিক নির্যাতন করছে ।
কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে এক প্রকারের তামাশা। এদিকে অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ শোনার পরিবর্তে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনেও মেলে না সেবা বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিজি করে রাখা হয়। পরে অনেক কষ্টে সংযোগ পেলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, দেশের পরিস্থিতি যেমন চলছে, বিদ্যুৎও সেভাবেই চলবে ।
গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহে অনিয়ম, ভুয়া মিটার রিডিং, অতিরিক্ত বিল আদায়, ত্রুটিপূন মিটার সংযোগ, হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতা এখন নিত্যদিনের চিত্র।তাছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের সাথে প্রতিমাসে মিটার ভাড়া/সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ ইত্যাদি কর্তন বন্ধ করতে হবে! এ জন্য তারা সরাসরি কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমকে দায়ী করছেন। অসহায় সাধারণ মানুষের অভিযোগ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, অথচ ন্যূনতম সেবাটুকুও পাচ্ছেন না। তারা দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।
কটিয়াদী জোনাল অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দিন বলেন, রিডিং নিয়ে গ্রাহকেরা আসলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে। মিটার রিডিং গ্রহণে বিলম্বের কারণে বিল বেশি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ নবাগত ডিজিএম মো. আবু সাঈদের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিদ্যুৎ এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিটারে বিদ্যুৎ বিলে রিডিং এর সাথে মিল না থাকলে তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।