ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নওগাঁর মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর দিনে আত্রাই নদীতে প্রতিমা নিয়ে নৌবাইচের সময় নদীতে পড়ে রনি চন্দ্র হালদার (১৪) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হবার ২৫ ঘন্টা পর শ্রী গৌতম চন্দ্র হালদার নামে এক জেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার ওই কিশোরের মরদেহ আত্রাই নদীর বেইলী ব্রীজের মাঝখানে ভেঁসে উঠলে জেলে গৌতম একাই তার নৌকায় টেনে তোলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ নিয়ে যান। গৌতম উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামের রামপদ হালদারের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা সারাদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
তার মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে মহাদেবপুর ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন রেজা প্রমুখ উপস্থিত হন।
নিহত রনি জেলার মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের মদনচক বানডুবি গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র হালদারের ছেলে ও বানডুবি ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পূজা দেখতে সে তার ফুফুর বাড়ি খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন গ্রামে আসে। সেখানে তার ফুফাতো ভাই প্রদীপ চন্দ্র হালদারের ছেলে প্রান্তজিৎ হালদারের সাথে কুঞ্জবন শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দিরের প্রতিমার নৌকায় উঠে নৌবাইচ উপভোগ করতে যায়। তার ফুফাতো ভাই তাকে আধাঘন্টা ধরে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সে নদীতে তলীয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী থেকে আসা ৫ সদস্যের ডুবুরি দল সকাল সারাদিন চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।
প্রান্তজিৎ হালদার জানান, রনিকে কেউ একজন নৌকা থেকে ধাক্কা দেয়। রনি তখন প্রান্তজিৎকে নিয়ে নদীতে ছিটকে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। রনি সাঁতার জানে না বলে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। প্রান্ত তাকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পানির উপর ভাঁসিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু রনি ভাঁসতেও পারছিলনা। আধাঘন্টা চেষ্টার পর অবশেষে রনি পানির নিচে তলীয় যাওয়া শুরু করে। তাঁকে আটকে রাখার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পানিতে ডুবে যায় সে। রনিকে ছেড়ে না দিলে প্রান্ত নিজেও তলীয় যেতেন বলে জানান। অবশেষে তিনি তীরে আসার চেষ্টা করলে জানতে পেরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার আশরাফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বিকেল ৫টা থেকে তাদের ৬ জন জওয়ান আত্রাই নদীতে নেমে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা করেও নিখোঁজ রনিকে উদ্ধার করতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ ডুবুরিরা এসে সারাদিন উদ্ধার অভিযান চালান। ডুবুরি মাইনুল ইসলাম জানান, তাদের টিম লিডার আব্দুর রাজ্জাক ও আরমান আলী ব্যাপক খোঁজাখুজি করেও নিখোঁজ রনিকে উদ্ধার করতে পারেননি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
নওগাঁর মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর দিনে আত্রাই নদীতে প্রতিমা নিয়ে নৌবাইচের সময় নদীতে পড়ে রনি চন্দ্র হালদার (১৪) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হবার ২৫ ঘন্টা পর শ্রী গৌতম চন্দ্র হালদার নামে এক জেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার ওই কিশোরের মরদেহ আত্রাই নদীর বেইলী ব্রীজের মাঝখানে ভেঁসে উঠলে জেলে গৌতম একাই তার নৌকায় টেনে তোলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ নিয়ে যান। গৌতম উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামের রামপদ হালদারের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা সারাদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
তার মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে মহাদেবপুর ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন রেজা প্রমুখ উপস্থিত হন।
নিহত রনি জেলার মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের মদনচক বানডুবি গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র হালদারের ছেলে ও বানডুবি ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পূজা দেখতে সে তার ফুফুর বাড়ি খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন গ্রামে আসে। সেখানে তার ফুফাতো ভাই প্রদীপ চন্দ্র হালদারের ছেলে প্রান্তজিৎ হালদারের সাথে কুঞ্জবন শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দিরের প্রতিমার নৌকায় উঠে নৌবাইচ উপভোগ করতে যায়। তার ফুফাতো ভাই তাকে আধাঘন্টা ধরে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সে নদীতে তলীয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী থেকে আসা ৫ সদস্যের ডুবুরি দল সকাল সারাদিন চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।
প্রান্তজিৎ হালদার জানান, রনিকে কেউ একজন নৌকা থেকে ধাক্কা দেয়। রনি তখন প্রান্তজিৎকে নিয়ে নদীতে ছিটকে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। রনি সাঁতার জানে না বলে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। প্রান্ত তাকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পানির উপর ভাঁসিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু রনি ভাঁসতেও পারছিলনা। আধাঘন্টা চেষ্টার পর অবশেষে রনি পানির নিচে তলীয় যাওয়া শুরু করে। তাঁকে আটকে রাখার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পানিতে ডুবে যায় সে। রনিকে ছেড়ে না দিলে প্রান্ত নিজেও তলীয় যেতেন বলে জানান। অবশেষে তিনি তীরে আসার চেষ্টা করলে জানতে পেরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার আশরাফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বিকেল ৫টা থেকে তাদের ৬ জন জওয়ান আত্রাই নদীতে নেমে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা করেও নিখোঁজ রনিকে উদ্ধার করতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ ডুবুরিরা এসে সারাদিন উদ্ধার অভিযান চালান। ডুবুরি মাইনুল ইসলাম জানান, তাদের টিম লিডার আব্দুর রাজ্জাক ও আরমান আলী ব্যাপক খোঁজাখুজি করেও নিখোঁজ রনিকে উদ্ধার করতে পারেননি।