ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজশাহীর বাঘায় খুরচা হিসেবে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার সকালে আড়ানী বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ এ দামে বিক্রি হয়।
মরিচ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মরিচ চাষ ভাল হয়নি। চাষিরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে স্বাবলন্বী হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমির মরিচ গোড়া পচে গাছ মরে যাচ্ছে। দাম বেশি হলেও খরচের টাকা উঠছে না।
গত মৌসুমে এ সময় প্রতিদিন আড়ানী বাজারের তালতলা মোড়ে আটশো মণ থেকে এক হাজার মণ মরিচ আমদানি হতো। এবার তা নেই। যারা আবাদ করেছিল অতিরিক্ত খরা ও পরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষ ভাল হয়নি।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে ঠিক ভাবে মরিচ তুলতে পারছেন না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে পাইকারি বাজারে দাম ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে । কৃষকরা মরিচ তুলতে পারছেন না। তাই পাইকারির দাম এখন অনেক বেশি।
এ বিষয়ে আড়ানী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবু হোসেন বলেন, বর্তমানে এই এলাকায় মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। তাহেরপুর, শিবপুর, ঝলমলিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মরিচ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। মোকামে দাম বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহী অঞ্চলে কাঁচা-মরিজ উৎপাদনের হিসেব করতে গেলে সর্ব প্রথম নাম শোনা যেত বগুড়া’র। কিন্তু এখন শুধু বগুড়াতে নয়, জেলার বাঘাতেও বিস্তুত চরাঞ্চল-সহ সমতল এলাকার মাঠে নানা প্রকার সবজির পাশা-পাশি ব্যাপক হারে উৎপাদন হয় কাঁচা মরিচ। এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সকল কৃষকই কম-বেশি মরিচ চাষ করে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ব্যপী বৃষ্টির কারনে এখন বিভিন্ন সবজির পাশা-পাশি মরিচের দাম আকাশ চুম্বি হয়েছে। যে মরিচ গত এক সপ্তাহ পূর্বে বিক্রি হয়েছে, ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২০ টাকায়। ফলে মানুষের জীবন-মান অস্থির হয়ে উঠেছে।
বাঘার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মানিক মিঞা জানান, অবিরাম বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থায় এ অঞ্চলের কৃষক ও ভোক্তারা। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল সবজি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিচ আবাদ ভাল হয়। মরিচে ছত্রাক জনিত কীটনাশক স্পে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহীর বাঘায় খুরচা হিসেবে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার সকালে আড়ানী বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ এ দামে বিক্রি হয়।
মরিচ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মরিচ চাষ ভাল হয়নি। চাষিরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে স্বাবলন্বী হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমির মরিচ গোড়া পচে গাছ মরে যাচ্ছে। দাম বেশি হলেও খরচের টাকা উঠছে না।
গত মৌসুমে এ সময় প্রতিদিন আড়ানী বাজারের তালতলা মোড়ে আটশো মণ থেকে এক হাজার মণ মরিচ আমদানি হতো। এবার তা নেই। যারা আবাদ করেছিল অতিরিক্ত খরা ও পরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষ ভাল হয়নি।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে ঠিক ভাবে মরিচ তুলতে পারছেন না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে পাইকারি বাজারে দাম ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে । কৃষকরা মরিচ তুলতে পারছেন না। তাই পাইকারির দাম এখন অনেক বেশি।
এ বিষয়ে আড়ানী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবু হোসেন বলেন, বর্তমানে এই এলাকায় মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। তাহেরপুর, শিবপুর, ঝলমলিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মরিচ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। মোকামে দাম বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহী অঞ্চলে কাঁচা-মরিজ উৎপাদনের হিসেব করতে গেলে সর্ব প্রথম নাম শোনা যেত বগুড়া’র। কিন্তু এখন শুধু বগুড়াতে নয়, জেলার বাঘাতেও বিস্তুত চরাঞ্চল-সহ সমতল এলাকার মাঠে নানা প্রকার সবজির পাশা-পাশি ব্যাপক হারে উৎপাদন হয় কাঁচা মরিচ। এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সকল কৃষকই কম-বেশি মরিচ চাষ করে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ব্যপী বৃষ্টির কারনে এখন বিভিন্ন সবজির পাশা-পাশি মরিচের দাম আকাশ চুম্বি হয়েছে। যে মরিচ গত এক সপ্তাহ পূর্বে বিক্রি হয়েছে, ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২০ টাকায়। ফলে মানুষের জীবন-মান অস্থির হয়ে উঠেছে।
বাঘার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মানিক মিঞা জানান, অবিরাম বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থায় এ অঞ্চলের কৃষক ও ভোক্তারা। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল সবজি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিচ আবাদ ভাল হয়। মরিচে ছত্রাক জনিত কীটনাশক স্পে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।