ডিমলা (নীলফামারী) : চলাচলের অযোগ্য বালাপাড়ার রুপাহাড়ার সিঙ্গাহারা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজ -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার বালাপাড়ার রুপাহাড়ার সিঙ্গাহারা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি বয়সের ভাড়ে নীচে দেবে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় পথচারীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এটি এখন ঐ গ্রামের মানুষ জনের চলাচলে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরাতন এই ব্রিজটি সম্প্রতি টানা বর্ষণে ও নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারনে ডেবে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এ ব্রিজটি দুর্ভোগে পরিণত হয় মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
এ বারের বর্ষা মৌসুমের প্রবল বৃষ্টি আর নদীর প্রখর স্রোতে ব্রিজটির মাঝখান ও দুই পাশে নিচু হয়ে পানির নিচে দেবে তলিয়ে গেছে। এর ফলে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে পার হওয়াও এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোমর সমান পানি পার হয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীসহ পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগী, কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যাওয়া কৃষক কিংবা কর্মজীবী মানুষ—সবাইকে এই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তারা ব্রিজটির বেহাল অবস্থা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন লাভ হয়নি। নির্মাণ তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন কর্মকর্তা পরিদর্শনও করেননি। কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় হতাশায় পড়েছেন অত্র এলাকার মানুষজন। তারা আশঙ্কা করছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন হতে পারে ।
স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা আঃ করিম (৫০) জানান, প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে ব্রিজ পার হতে গিয়ে কষ্ট করতে হয়। কখন যে পানিতে পড়ে যাই, বুঝতেই পারি না। শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আর বৃষ্টি হলে তো আমরাও উপজেলা উপজেলা সদরে যেতে পারি না ।
আমজাদ হোসেন (৪৫) বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতাল যেতে হলে অনেক দূরের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। সময়, টাকা, কষ্ট—সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা খুবই সংকটাপণœ।
জামিয়ার রহমান বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার—সবার কাছে গেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা হোক, নতুবা ঐ এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো,সোহেল রানা বলেন, আমি মাত্র এখানে নতুন এসেছি। আমি ব্রিজটি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ অথবা অন্তত জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের একটু সদিচ্ছাই তাদের দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিমলা (নীলফামারী) : চলাচলের অযোগ্য বালাপাড়ার রুপাহাড়ার সিঙ্গাহারা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজ -সংবাদ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার বালাপাড়ার রুপাহাড়ার সিঙ্গাহারা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি বয়সের ভাড়ে নীচে দেবে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় পথচারীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এটি এখন ঐ গ্রামের মানুষ জনের চলাচলে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরাতন এই ব্রিজটি সম্প্রতি টানা বর্ষণে ও নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারনে ডেবে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এ ব্রিজটি দুর্ভোগে পরিণত হয় মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
এ বারের বর্ষা মৌসুমের প্রবল বৃষ্টি আর নদীর প্রখর স্রোতে ব্রিজটির মাঝখান ও দুই পাশে নিচু হয়ে পানির নিচে দেবে তলিয়ে গেছে। এর ফলে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে পার হওয়াও এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোমর সমান পানি পার হয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীসহ পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগী, কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যাওয়া কৃষক কিংবা কর্মজীবী মানুষ—সবাইকে এই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তারা ব্রিজটির বেহাল অবস্থা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন লাভ হয়নি। নির্মাণ তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন কর্মকর্তা পরিদর্শনও করেননি। কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় হতাশায় পড়েছেন অত্র এলাকার মানুষজন। তারা আশঙ্কা করছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন হতে পারে ।
স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা আঃ করিম (৫০) জানান, প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে ব্রিজ পার হতে গিয়ে কষ্ট করতে হয়। কখন যে পানিতে পড়ে যাই, বুঝতেই পারি না। শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আর বৃষ্টি হলে তো আমরাও উপজেলা উপজেলা সদরে যেতে পারি না ।
আমজাদ হোসেন (৪৫) বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতাল যেতে হলে অনেক দূরের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। সময়, টাকা, কষ্ট—সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা খুবই সংকটাপণœ।
জামিয়ার রহমান বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার—সবার কাছে গেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা হোক, নতুবা ঐ এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো,সোহেল রানা বলেন, আমি মাত্র এখানে নতুন এসেছি। আমি ব্রিজটি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ অথবা অন্তত জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের একটু সদিচ্ছাই তাদের দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।