মৌলভীবাজার : ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মোড় এলাকার যানজট -সংবাদ
মৌলভীবাজার থেকে ভৈরব সেতুর দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার সড়ক পথ যেতে লাগছে ১৪ ঘন্টার অধিক সময়। সিলেট বিভাগ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথ যানযটে রীতি অচল থাকে প্রায় প্রতিদিনই। এ পথে ট্রেনের টিকের এখন দুস্প্রাপ্য।
এ সড়ক পথে সিলেট বিভাগের ৪ জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার যানবাহন চলাচল করে। সিলেট বিভাগ থেকে ঢাকা পৌছতে এ সড়কই একমাত্র ভরসা। অধিকাংশ দিনেই এ সড়কে যানযট থাকে। ফলে লোকজন নিত্য প্রয়োজনে যাত্রার আগে রীতিমত দুশ্চিতায় থাকেন গন্তব্য পৌছতে।
মৌলভীবাজার থেকে ভৈরব সেতুর দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার। এই দূরত্ব যাত্রায় সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা। কিন্তু এখন সময় লাগছে ১৪ ঘন্টা। সিলেট থেকে ঢাকায় পৌছতে ১৮/১৯ ঘন্টা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এ পথে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সিলেট-মহা সড়কের ভৈরবের আগের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা পাড়ি দিয়ে কখনো কখনো ৮/১০ ঘন্টা সময় লাগছে। ফলে গন্তব্যে পৌছতে মানুষজন আতংকিত থাকে এ যাত্রা পথের বিড়ম্বনা নিয়ে।
আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সিলেট বিভাগের প্রবেশ মুখ মাধবপুরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিনিয়ত যানযটের কারণে এ পথ যাত্রীদের কাছে রীতিমত আতংকে পরিণত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরে বড় আকারের গর্ত এ যানজটের প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সিলেট থেকে ঢাকা পথে চলাচলকারি আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট যেন সোনার হরিণ। একজন যাত্রী বলেছেন নিয়ম অনুযায়ি অনলাইনে টিকেন সাধারণের জন্য অবমুক্ত করার প্রথম ১০ মিনিট লিংক ডাউন থাকে।
এটা হতে পারে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত অথবা অধিক লোক একসাথে টিকেট কাটার চেষ্টা করেন বলে। তবে ১০/১৫ মিনিট পরে রেলওয়ের টিকেট সংক্রান্ত ওয়েভসাইটে লগ-ইন করা সম্ভব হলেও দেখা যায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
সিলেটগামী একটি ট্রেনের এসি চেয়ারকোচের দুটি টিকের সিলেট ষ্টেশন থেকে সংগ্রহ করেছেন মৌলভীবাজারের একজন যাত্রী। এ যাত্রী জানান, ২টি টিকেট কিনেছেন ১৬৫০ টাকা দিয়ে। অথচ এসি চেয়ার কোচের প্রতিটির ভাড়া ৭১৯ টাকা। এযাত্রী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে যাত্রা শুরু করবেন। কিন্তু টিকেট না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্থ থাকায় এ রেলপথের উপর নির্ভরশীল মৌলভীবাজার জেলার পূর্বাঞ্চলের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে সম্পতি রেলপথ অবরোধ করে নতুন ট্রেন চালু ও বিদ্যমান ট্রেনগুলোতে বগি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা-মৌলভীবাজার সড়ক পথে চলাচলকারী বাসের মৌলভীবাজার কাউন্টার গুলোর সুত্রে জানাগেছে, সড়ক পথের এ যানজট বিড়ম্বনায় বাসগুলোর সিডিউল মানা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার মহাখালি ও সায়েদাবাদে বাস দেড়িতে পৌছে, আবার মৌলভীবাজার বা সিলেটেও দেড়িতে পৌছে। এরফলে যাত্রীদের যাত্রার যে সময় দেয়া হয় অনেক সময় সেটা মানা সম্ভব হয় না। ফলে মাঝে মাঝে যাত্রী ও কাউন্টারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে।
মৌলভীবাজার : ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মোড় এলাকার যানজট -সংবাদ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
মৌলভীবাজার থেকে ভৈরব সেতুর দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার সড়ক পথ যেতে লাগছে ১৪ ঘন্টার অধিক সময়। সিলেট বিভাগ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথ যানযটে রীতি অচল থাকে প্রায় প্রতিদিনই। এ পথে ট্রেনের টিকের এখন দুস্প্রাপ্য।
এ সড়ক পথে সিলেট বিভাগের ৪ জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার যানবাহন চলাচল করে। সিলেট বিভাগ থেকে ঢাকা পৌছতে এ সড়কই একমাত্র ভরসা। অধিকাংশ দিনেই এ সড়কে যানযট থাকে। ফলে লোকজন নিত্য প্রয়োজনে যাত্রার আগে রীতিমত দুশ্চিতায় থাকেন গন্তব্য পৌছতে।
মৌলভীবাজার থেকে ভৈরব সেতুর দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার। এই দূরত্ব যাত্রায় সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা। কিন্তু এখন সময় লাগছে ১৪ ঘন্টা। সিলেট থেকে ঢাকায় পৌছতে ১৮/১৯ ঘন্টা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এ পথে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সিলেট-মহা সড়কের ভৈরবের আগের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা পাড়ি দিয়ে কখনো কখনো ৮/১০ ঘন্টা সময় লাগছে। ফলে গন্তব্যে পৌছতে মানুষজন আতংকিত থাকে এ যাত্রা পথের বিড়ম্বনা নিয়ে।
আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সিলেট বিভাগের প্রবেশ মুখ মাধবপুরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিনিয়ত যানযটের কারণে এ পথ যাত্রীদের কাছে রীতিমত আতংকে পরিণত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরে বড় আকারের গর্ত এ যানজটের প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সিলেট থেকে ঢাকা পথে চলাচলকারি আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট যেন সোনার হরিণ। একজন যাত্রী বলেছেন নিয়ম অনুযায়ি অনলাইনে টিকেন সাধারণের জন্য অবমুক্ত করার প্রথম ১০ মিনিট লিংক ডাউন থাকে।
এটা হতে পারে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত অথবা অধিক লোক একসাথে টিকেট কাটার চেষ্টা করেন বলে। তবে ১০/১৫ মিনিট পরে রেলওয়ের টিকেট সংক্রান্ত ওয়েভসাইটে লগ-ইন করা সম্ভব হলেও দেখা যায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
সিলেটগামী একটি ট্রেনের এসি চেয়ারকোচের দুটি টিকের সিলেট ষ্টেশন থেকে সংগ্রহ করেছেন মৌলভীবাজারের একজন যাত্রী। এ যাত্রী জানান, ২টি টিকেট কিনেছেন ১৬৫০ টাকা দিয়ে। অথচ এসি চেয়ার কোচের প্রতিটির ভাড়া ৭১৯ টাকা। এযাত্রী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে যাত্রা শুরু করবেন। কিন্তু টিকেট না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্থ থাকায় এ রেলপথের উপর নির্ভরশীল মৌলভীবাজার জেলার পূর্বাঞ্চলের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে সম্পতি রেলপথ অবরোধ করে নতুন ট্রেন চালু ও বিদ্যমান ট্রেনগুলোতে বগি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা-মৌলভীবাজার সড়ক পথে চলাচলকারী বাসের মৌলভীবাজার কাউন্টার গুলোর সুত্রে জানাগেছে, সড়ক পথের এ যানজট বিড়ম্বনায় বাসগুলোর সিডিউল মানা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার মহাখালি ও সায়েদাবাদে বাস দেড়িতে পৌছে, আবার মৌলভীবাজার বা সিলেটেও দেড়িতে পৌছে। এরফলে যাত্রীদের যাত্রার যে সময় দেয়া হয় অনেক সময় সেটা মানা সম্ভব হয় না। ফলে মাঝে মাঝে যাত্রী ও কাউন্টারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে।