alt

দশমিনায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের খাল, বিল, পুকুর জলাশয়, ডোবা, ঝিল ও নালার পানি কমে যাওয়া, নিষিদ্ধ প্রজাতির বিভিন্ন জাল এবং কৃষি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহার করায় দেশী প্রজাতির সুস্বাদু মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। উপজেলার হাট-বাজার ও মোকামগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ এখন তেমন দেখা যায় না।

উপজেলার গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল, ঝিলে নির্বিযেœ ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসাবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড়, রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানায়,নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়া সহ প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই।

উপজেলার ক্ষুদ্র জেলেরা জানায়, দারিদ্রতার কারনে খাল-বিলে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। এই অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ কমে গেছে। দেশিয় মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে খ্যাত দশমিনা উপজেলাতে এখন মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট, বাজার ও মোকামগুলোতে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে নির্বিঘ্নে ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। এক শ্রেনির অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের খালগুলো এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে।

উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষায় প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ সহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে চাষকৃত কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, পাঙ্গাস,আফ্রিকান মাগুর, হাইব্রিড শিং, মাগুর এবং থাই পুটি,কে ও তেলাপিয়াসহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে। জেলেরা জানায়, দারিদ্রতার কারনে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিদেশি চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ মার খেয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ কমে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশিয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

ছবি

বিজিবির অভিযান: ভেস্তে গেল ‘মানব পাচারের ছক’, আটক ৬

ছবি

নির্ধারিত যাত্রাবিরতি ছাড়াই লাকসাম ছাড়লো ট্রেন, টিকেটধারী যাত্রীরা বিপাকে

ছবি

স্থলবন্দর: টানা এক সপ্তাহ ছুটি শেষে আবার আমদানি-রপ্তানি শুরু

ছবি

ইসলামী ব্যাংকে চাকরিচ্যুতদের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

ইইডির দুই প্রকৌশলীর অধীনেই পাঁচ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাজ

ছবি

অ্যানথ্রাক্স: গাইবান্ধায় নতুন শনাক্ত ৭

ছবি

ডেঙ্গু: অক্টোবরে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

ছবি

রংপুরে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াইশ’

ছবি

চলতি মাসে তিনটি লঘুচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

ছবি

চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে যুবকের মৃত্যু

ছবি

সিলেট বিভাগের যাত্রীদের আতংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের যানজট

ছবি

নরসিংদীতে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

ছবি

টানা ৮ দিন ছুটিশেষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ছবি

অনিন্দ্য সুন্দর বাইদ বন সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক অরণ্যের মধুপুর গড়

ছবি

ডিমলায় ব্রিজ দেবে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ

ছবি

খানাখন্দে বেহাল দশায় নরসিংদী শহর, ভোগান্তিতে পৌরবাসী

ছবি

রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা

ছবি

‘পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন বানচালের পায়তারা’

ছবি

শার্শায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

মহাদেবপুরে ডুবুরিদের ব্যর্থ চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করলেন জেলে

ছবি

সুন্দরগঞ্জে অজ্ঞত রোগে ১১ জন আক্রান্ত, আতঙ্কে গ্রামবাসী

ছবি

দুই শত বছরের ঐতিহ্যে বীরগঞ্জে আদিবাসীদের মিলনমেলা

ছবি

ঝড় বাতাসে টিকতে না পেরে ইলিশ শূন্য শতশত ট্রলার ফিরেছে উপকূলে

ছবি

শেরপুরে বাজারে আগুন, ১৪০ বেগুন ও কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি

ছবি

রায়গঞ্জে অসহায় জোসনার পাশে দাঁড়ালেন মামুন বিশ্বাস

ছবি

বারবাকিয়া-রাজাখালী সংযোগ সেতুর কাজ বন্ধ, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

ছবি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে কারাদণ্ড

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি

গজারিয়ায় অপহরণকারী শাওন ও সহযোগী আলমগীর গ্রেপ্তার

ছবি

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎতের রিডিং মারপ্যাঁচে দিশেহারা গ্রাহক

ছবি

রূপগঞ্জে ওয়ান থাউজেন্ড প্রকল্পের আওতায় নারীরা এখন স্বাবলম্বী

ছবি

বাগেরহাটে হায়াতের হত্যকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়লো জীবিকার একমাত্র সম্বল গাড়ি

ছবি

সৈয়দপুর রেলকারখানায় সরঞ্জাম সংকটে উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা

ছবি

নরসিংদীতে পুলিশের কাছ থেকে ‘চাঁদাবাজ’ ছিনতাই

চট্টগ্রামে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের

tab

দশমিনায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের খাল, বিল, পুকুর জলাশয়, ডোবা, ঝিল ও নালার পানি কমে যাওয়া, নিষিদ্ধ প্রজাতির বিভিন্ন জাল এবং কৃষি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহার করায় দেশী প্রজাতির সুস্বাদু মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। উপজেলার হাট-বাজার ও মোকামগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ এখন তেমন দেখা যায় না।

উপজেলার গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল, ঝিলে নির্বিযেœ ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসাবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড়, রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানায়,নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়া সহ প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই।

উপজেলার ক্ষুদ্র জেলেরা জানায়, দারিদ্রতার কারনে খাল-বিলে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। এই অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ কমে গেছে। দেশিয় মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে খ্যাত দশমিনা উপজেলাতে এখন মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট, বাজার ও মোকামগুলোতে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে নির্বিঘ্নে ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। এক শ্রেনির অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের খালগুলো এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে।

উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষায় প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ সহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে চাষকৃত কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, পাঙ্গাস,আফ্রিকান মাগুর, হাইব্রিড শিং, মাগুর এবং থাই পুটি,কে ও তেলাপিয়াসহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে। জেলেরা জানায়, দারিদ্রতার কারনে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিদেশি চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ মার খেয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছ কমে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশিয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

back to top