রংপুরের পীরগাছায় গরুর অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় আরও ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে তিন উপজেলায় অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্ত্রের সংখ্যা আড়াইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। এ রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অ্যানথ্রাক্সের ভ্যাকসিনের তীব্র সংকট। পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়ায় প্রায় ৩৫ ভাগ পশু আক্রান্ত
মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক
এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না
অ্যানথ্রাক্সে গত দু’মাসে ২ হাজার গরু-ছাগল মারা গেছে
এদিকে চিকিৎসকরা আক্রান্ত গরুর মাংস নাড়া-চাড়া কিংবা জবাই এবং সেই মাংস না খাবার আহ্বান জানিয়েছেন। রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জেন দপ্তর থেকে মেডিকেল টিমসহ ব্যাপক কার্যক্রম চালানোর কথা বললেও কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই- সরেজমিনে এমনই অবস্থা। ফলে প্রতিদিনই অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুরসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অ্যানথ্রাক্স মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনেই ২-৩টা করে গরু মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হয়ে পড়ছে অনেক গরু।
রংপুরের পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় গরু-ছাগলের সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ পশু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
পীরগাছা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একরামুল হক মণ্ডল জানান, পীরগাছাতেই দেড় লাখেরও বেশি পশু অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পশুদের জন্য এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪শ’টি ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও ৫০ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদা পত্র দেয়া হয়েছে এখনো পাওয়া যায়নি। মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় ৮০ হাজারেরও বেশি চাহিদার বিপরীতে ২০ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে এখন একটিও নেই বলে পশুদের ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটতে গিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পীরগাছা সদরের মাইটাল এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। একই উপজেলার আনন্দী ধনিরাম গ্রামের গৃহিণী কমলা বেগমও অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর আক্রান্ত গরু জবাই করা এবং মাংস কাটাকাটি ও রান্না করতে গিয়ে এ রোগ পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইতোমধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল রংপুরের পীরগাছায় গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আক্রান্ত গরুর মাংস নিয়ে গিয়ে অ্যানথ্র্যাক্স রোগের জীবাণু সনাক্ত করে। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। মানুষের শরীরে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চামড়ায় ঘা সৃষ্টি হওয়া।
এদিকে গত দুই মাসে তিন শতাধিক গরু-ছাগল অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ খামারিদের। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ আক্রান্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ না করায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে পীরগাছা উপজেলার আনন্দ ধনী রাম, পশ্চিম দেবু, রহমতের চর, প্রতাপজয় সেন, ছাওলা, পীরগাছা সদরসহ পুরো পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন আক্রান্ত গরু পানির দামে বিক্রয় করে দিচ্ছেন খামারি ও কৃষকরা। ওই গরু জবাই করে ৪-৫শ’ টাকা দরে মাংস কিনে খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে ওই মাংস কাটাকাটি করা এবং রান্না করছেন যারা সবাই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় আপাতত গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ কোনো আক্রান্ত পশুর মাংস বোঝা মুশকিল সে জন্য এ ব্যাবস্থা নেয়া। আর উপজেলা প্রশাসনকে গরু-ছাগল জবাই করার ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো দরকার।
তবে তিন উপজেলায় মেডিকেল টিম কাজ করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি তবে এলাকাবাসি জানিয়েছে আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে কয়েকজন এসেছিল। তাদের চিকিৎসা দেয়া সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. একরামুল হক মণ্ডল জানান, অ্যানথ্রাক্স সহজে নিরসন সম্ভব নয়। পশুকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা দিচ্ছি। প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। তবে এরজন্য আক্রান্ত প্রাণীর মাংস না খাওয়ার পরামর্শ এই কর্মকর্তার।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল জানান, আমরা আরও ৫০ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র দিয়েছি। আপাতত এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি তার।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক সার্জন ডা, এম এ হাইলম লাবলু বলেন, মিঠাপুকুরে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা রয়েছে।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন জানান, এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত পশুদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শিরিন সুলতানা জানিয়েছেন, আক্রান্ত তিন উপজেলায় ৩টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে, সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত গরু জবাই না করা, মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় গরুর অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় আরও ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে তিন উপজেলায় অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্ত্রের সংখ্যা আড়াইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। এ রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অ্যানথ্রাক্সের ভ্যাকসিনের তীব্র সংকট। পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়ায় প্রায় ৩৫ ভাগ পশু আক্রান্ত
মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক
এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না
অ্যানথ্রাক্সে গত দু’মাসে ২ হাজার গরু-ছাগল মারা গেছে
এদিকে চিকিৎসকরা আক্রান্ত গরুর মাংস নাড়া-চাড়া কিংবা জবাই এবং সেই মাংস না খাবার আহ্বান জানিয়েছেন। রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জেন দপ্তর থেকে মেডিকেল টিমসহ ব্যাপক কার্যক্রম চালানোর কথা বললেও কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই- সরেজমিনে এমনই অবস্থা। ফলে প্রতিদিনই অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুরসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অ্যানথ্রাক্স মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনেই ২-৩টা করে গরু মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হয়ে পড়ছে অনেক গরু।
রংপুরের পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় গরু-ছাগলের সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ পশু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
পীরগাছা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একরামুল হক মণ্ডল জানান, পীরগাছাতেই দেড় লাখেরও বেশি পশু অ্যানথাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পশুদের জন্য এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪শ’টি ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও ৫০ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদা পত্র দেয়া হয়েছে এখনো পাওয়া যায়নি। মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় ৮০ হাজারেরও বেশি চাহিদার বিপরীতে ২০ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে এখন একটিও নেই বলে পশুদের ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটতে গিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পীরগাছা সদরের মাইটাল এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। একই উপজেলার আনন্দী ধনিরাম গ্রামের গৃহিণী কমলা বেগমও অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর আক্রান্ত গরু জবাই করা এবং মাংস কাটাকাটি ও রান্না করতে গিয়ে এ রোগ পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইতোমধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল রংপুরের পীরগাছায় গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আক্রান্ত গরুর মাংস নিয়ে গিয়ে অ্যানথ্র্যাক্স রোগের জীবাণু সনাক্ত করে। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। মানুষের শরীরে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চামড়ায় ঘা সৃষ্টি হওয়া।
এদিকে গত দুই মাসে তিন শতাধিক গরু-ছাগল অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ খামারিদের। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ আক্রান্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ না করায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে পীরগাছা উপজেলার আনন্দ ধনী রাম, পশ্চিম দেবু, রহমতের চর, প্রতাপজয় সেন, ছাওলা, পীরগাছা সদরসহ পুরো পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন আক্রান্ত গরু পানির দামে বিক্রয় করে দিচ্ছেন খামারি ও কৃষকরা। ওই গরু জবাই করে ৪-৫শ’ টাকা দরে মাংস কিনে খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে ওই মাংস কাটাকাটি করা এবং রান্না করছেন যারা সবাই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় আপাতত গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ কোনো আক্রান্ত পশুর মাংস বোঝা মুশকিল সে জন্য এ ব্যাবস্থা নেয়া। আর উপজেলা প্রশাসনকে গরু-ছাগল জবাই করার ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো দরকার।
তবে তিন উপজেলায় মেডিকেল টিম কাজ করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি তবে এলাকাবাসি জানিয়েছে আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে কয়েকজন এসেছিল। তাদের চিকিৎসা দেয়া সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. একরামুল হক মণ্ডল জানান, অ্যানথ্রাক্স সহজে নিরসন সম্ভব নয়। পশুকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা দিচ্ছি। প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। তবে এরজন্য আক্রান্ত প্রাণীর মাংস না খাওয়ার পরামর্শ এই কর্মকর্তার।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল জানান, আমরা আরও ৫০ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র দিয়েছি। আপাতত এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি তার।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক সার্জন ডা, এম এ হাইলম লাবলু বলেন, মিঠাপুকুরে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা রয়েছে।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন জানান, এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত পশুদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শিরিন সুলতানা জানিয়েছেন, আক্রান্ত তিন উপজেলায় ৩টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে, সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত গরু জবাই না করা, মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।