ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু ১১টি ও ৬-১০ বছরের ৪ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে আরও ৩৭৪ জন,
মৃত্যু ১
এ বছর ১৫ শিশুসহ ২০৩ জনের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি চলতি অক্টোবর ও আগামী নভেম্বর মাসেও থাকবে।
বর্তমান ডেঙ্গু প্রবণতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে যদি এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না হয়। তাহলে অক্টোবরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে এ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।
গবেষণার তথ্য বলছে, অক্টোবরেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। কারণ সারাদেশে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এ মুহূর্তে ডেঙ্গু ছড়ানোর উপযোগী মাত্রায় রয়েছে বলে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, রাজধানী ঢাকার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায়ই সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নগর এলাকায় বসবাসকারী, কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামীণ এলাকায়ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রবণতা থাকলে আগামী দিনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে আরও কঠিন করে তুলবে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো- তরুণ ও কর্মক্ষম জন গোষ্ঠীর মধ্যে আন্ত্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ এবং মৃত্যুও তুলনামূলক বেশি।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ জন আক্রান্তের তথ্য শনিবার বন্ধের দিনেও পাওয়া গেছে। নিহত ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগে।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ১০টি, ৬-১০ বছর বয়সের ১৪ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ১৫ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬৩ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৩৫ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন আক্রান্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৪ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ১৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৪ জন ভর্তি আছে। রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৫৬৮ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৩০৪ জন ভর্তি আছে। আক্রান্ত বেশি হলে ভর্তির সংখ্যা বাড়ে। আক্রান্ত কম হলে ভর্তির সংখ্যা কমে যায়।
মৃত্যু: এ বছর ডেঙ্গুতে শনিবার পর্যন্ত ২০৩ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৫ বছরের শিশু ১১জন,৬ থেকে ১০ বছরের শিশু ৪টি, ১১-১৫ বছর বয়সের ২০ জন, ১৬-২০ বছর
বয়সের ২১ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ২৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ২০ জন, ৩১-২৫ বছর বয়সের ১০ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ২০ জন, ৮০ বছর বয়সের ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু ১১টি ও ৬-১০ বছরের ৪ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে আরও ৩৭৪ জন,
মৃত্যু ১
এ বছর ১৫ শিশুসহ ২০৩ জনের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি চলতি অক্টোবর ও আগামী নভেম্বর মাসেও থাকবে।
বর্তমান ডেঙ্গু প্রবণতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে যদি এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না হয়। তাহলে অক্টোবরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে এ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।
গবেষণার তথ্য বলছে, অক্টোবরেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। কারণ সারাদেশে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এ মুহূর্তে ডেঙ্গু ছড়ানোর উপযোগী মাত্রায় রয়েছে বলে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, রাজধানী ঢাকার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায়ই সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নগর এলাকায় বসবাসকারী, কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামীণ এলাকায়ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রবণতা থাকলে আগামী দিনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে আরও কঠিন করে তুলবে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো- তরুণ ও কর্মক্ষম জন গোষ্ঠীর মধ্যে আন্ত্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ এবং মৃত্যুও তুলনামূলক বেশি।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ জন আক্রান্তের তথ্য শনিবার বন্ধের দিনেও পাওয়া গেছে। নিহত ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগে।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ১০টি, ৬-১০ বছর বয়সের ১৪ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ১৫ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬৩ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৩৫ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন আক্রান্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৪ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ১৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৪ জন ভর্তি আছে। রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৫৬৮ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৩০৪ জন ভর্তি আছে। আক্রান্ত বেশি হলে ভর্তির সংখ্যা বাড়ে। আক্রান্ত কম হলে ভর্তির সংখ্যা কমে যায়।
মৃত্যু: এ বছর ডেঙ্গুতে শনিবার পর্যন্ত ২০৩ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৫ বছরের শিশু ১১জন,৬ থেকে ১০ বছরের শিশু ৪টি, ১১-১৫ বছর বয়সের ২০ জন, ১৬-২০ বছর
বয়সের ২১ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ২৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ২০ জন, ৩১-২৫ বছর বয়সের ১০ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ২০ জন, ৮০ বছর বয়সের ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।