ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু কাটার সঙ্গে যুক্ত আরও ৭ জনের মধ্যে রোগের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এর আগে একই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চারজনের শরীরে উপসর্গ ধরা পড়ে। এ নিয়ে শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত উপজেলার মোট ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে, সুন্দরগঞ্জে প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার, একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে সহস্রাধিক। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে মাইকিং ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মনজুরুল করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ৭ জনের মধ্যে এ উপসর্গ ধরা পড়ে।
রাবেয়া ক্লিনিক সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, রংপুর থেকে চিকিৎসক মনজুরুল করিম প্রতি শুক্রবার গাইবান্ধায় এসে রোগী দেখেন। ওই দিন তিনি ২০-২৫ জন রোগী দেখেন। তাদের মধ্যে কিশামত গ্রামের ৭ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর মনজুরুল করিম রোগীদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
যদিও রাতে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হননি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার শুরু কয়েক দিন আগে। কিশামত গ্রামে স্থানীয় লোকজন একটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গরু কাটাকাটিতে গ্রামের ১১ জন অংশ নেন। দুই-তিন দিন পর তাদের মধ্যে ৪ জনের শরীরে ফোসকা পড়ে এবং মাংসে পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত, নাক, মুখ ও চোখে এসব উপসর্গ দেখা যায়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, ইতিমধ্যে কিশামত গ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নে গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেয়া হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাক বলেন, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার ১০ জন অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ
নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে বা পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন রকিবুজ্জামান বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ হচ্ছে চর্মরোগ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের রোগী ভর্তি হয়নি।
# সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্যাক্সে একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যু, সচেতনতায় মাইকিং
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপকহারে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে সহস্রাধিক। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে মাইকিং ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে পশু মৃত্যুর সংখ্যা কম রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। প্রচারণায় বলা হচ্ছে, অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে বা সেই পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝেও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না। হ্যান্ডগ্লাভস পড়ে আক্রান্ত পশুর পরিচর্যা করতে হবে এবং মৃত্যুর পরেই পশুকে তাৎক্ষণিকভাবে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।
বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমান মন্টু বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার ওই গ্রামের খয়বর হোসেন, বাবুজার মিয়া ও চান্দ মিয়ার ৩টি গরু মারা গেছে। সেই সঙ্গে তাদের আরও ৪টি গরু গুরুতর অসুস্থ। যে কোনো সময় মারা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ওই গ্রামে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত ১১ জন মানুষের অবস্থা এখন আগের চেয়ে একটু ভালো। এদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বদিরুল আহসান সেলিম বলেন, গবাদি পশুর মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায়, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে শনিবার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী অফিসার বিল্পব কুমার দে বলেন, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত এলাকায় ভ্যাকসিন দেয়া অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় জবাই করাসহ অন্তত ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং টিম সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু কাটার সঙ্গে যুক্ত আরও ৭ জনের মধ্যে রোগের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এর আগে একই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চারজনের শরীরে উপসর্গ ধরা পড়ে। এ নিয়ে শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত উপজেলার মোট ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে, সুন্দরগঞ্জে প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার, একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে সহস্রাধিক। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে মাইকিং ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মনজুরুল করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ৭ জনের মধ্যে এ উপসর্গ ধরা পড়ে।
রাবেয়া ক্লিনিক সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, রংপুর থেকে চিকিৎসক মনজুরুল করিম প্রতি শুক্রবার গাইবান্ধায় এসে রোগী দেখেন। ওই দিন তিনি ২০-২৫ জন রোগী দেখেন। তাদের মধ্যে কিশামত গ্রামের ৭ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর মনজুরুল করিম রোগীদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
যদিও রাতে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হননি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার শুরু কয়েক দিন আগে। কিশামত গ্রামে স্থানীয় লোকজন একটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গরু কাটাকাটিতে গ্রামের ১১ জন অংশ নেন। দুই-তিন দিন পর তাদের মধ্যে ৪ জনের শরীরে ফোসকা পড়ে এবং মাংসে পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত, নাক, মুখ ও চোখে এসব উপসর্গ দেখা যায়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, ইতিমধ্যে কিশামত গ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নে গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেয়া হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাক বলেন, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার ১০ জন অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ
নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে বা পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন রকিবুজ্জামান বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ হচ্ছে চর্মরোগ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের রোগী ভর্তি হয়নি।
# সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্যাক্সে একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যু, সচেতনতায় মাইকিং
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপকহারে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার একদিনের ব্যবধানে ১০ গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে সহস্রাধিক। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে মাইকিং ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে পশু মৃত্যুর সংখ্যা কম রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। প্রচারণায় বলা হচ্ছে, অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে বা সেই পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝেও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না। হ্যান্ডগ্লাভস পড়ে আক্রান্ত পশুর পরিচর্যা করতে হবে এবং মৃত্যুর পরেই পশুকে তাৎক্ষণিকভাবে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।
বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমান মন্টু বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার পরও শনিবার ওই গ্রামের খয়বর হোসেন, বাবুজার মিয়া ও চান্দ মিয়ার ৩টি গরু মারা গেছে। সেই সঙ্গে তাদের আরও ৪টি গরু গুরুতর অসুস্থ। যে কোনো সময় মারা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ওই গ্রামে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত ১১ জন মানুষের অবস্থা এখন আগের চেয়ে একটু ভালো। এদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বদিরুল আহসান সেলিম বলেন, গবাদি পশুর মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায়, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে শনিবার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী অফিসার বিল্পব কুমার দে বলেন, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত এলাকায় ভ্যাকসিন দেয়া অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় জবাই করাসহ অন্তত ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রার্দুভাব নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং টিম সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন।