কুমিল্লার লাকসাম জংশনে বিক্ষুব্ধ টিকেটধারী যাত্রীরা -সংবাদ
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাত্রা বিরতি না করেই কুমিল্লার লাকসাম জংশন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে অর্ধশতাধিক টিকিটধারী যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেনে উঠতে পারেননি।
অর্ধশতাধিক টিকেটধারী যাত্রী যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ভুক্তভোগী যাত্রীদের বিক্ষোভ
প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের রেখেই ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়: কুমিল্লা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মহানগর এক্সপ্রেসর দায়িত্বরত গার্ডের ভুল এবং অবহেলার কারণে ট্রেনটি সময়ের আগে স্টেশন ছেড়ে গেছে: লাকসাম রেলস্টেশন সংশ্লিষ্টরা
শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর ১২টার ২০ মিনিটে লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন প্রবেশ করে। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি লাকসাম জংশন স্টেশনে পৌঁছে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাত্রাবিরতি না করেই যাত্রী ছাড়াই স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক টিকিটধারী যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। পরে ভুক্তভোগী যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশন ত্যাগ করার কারণে অনেকেই হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে আহত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন।
লাকসাম ইছাপুরা গ্রামের এনায়েত উল্যাহ চাকরি করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছুটি শেষে কর্মস্থলে পৌঁছতে স্টেশনে আসেন এবং মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও কাটেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ট্রেন যখন চলা শুরু করলো, অনেকেই দৌড়ে উঠার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারিনি। এটা খুবই বিপজ্জনক এবং অযথা ভোগান্তিকর।
লাকসাম পূর্ব এলাকার আরেক যাত্রী বিপ্লব দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি রোববার সকালেই চট্টগ্রামে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলাম। ট্রেনে উঠতে না পারায় আমার পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে গেছে। রেলওয়ের এই অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।
যাত্রীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, পরবর্তী ট্রেনে তাদের ওঠার ব্যবস্থার আশ্বাসে টিকিটধারী যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বগত গার্ডের ভুল এবং অবহেলার কারণে ট্রেনটি সময়ের আগে স্টেশন ছেড়ে গেছে।
কেবিন মাস্টার ইকবাল হোসেন বলেন, ট্রেন ১২টা ২০ মিনিটে স্টেশনে প্রবেশ করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করি যাতে সময়মতো যাত্রা সম্পন্ন হয়, কিন্তু কখনো কখনো অবহেলার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রী পরিবহনের জন্যই ট্রেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের রেখেই ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিরাপদে ট্রেনে ওঠার অধিকার রাখে।
তিনি বলেন, পূজার ছুটি শেষে এ জংশন স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল প্রচুর। এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত যাত্রাবিরতির সময় পালন না করা এবং ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে ট্রেনে ওঠা যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তির এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
কুমিল্লার লাকসাম জংশনে বিক্ষুব্ধ টিকেটধারী যাত্রীরা -সংবাদ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাত্রা বিরতি না করেই কুমিল্লার লাকসাম জংশন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে অর্ধশতাধিক টিকিটধারী যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেনে উঠতে পারেননি।
অর্ধশতাধিক টিকেটধারী যাত্রী যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ভুক্তভোগী যাত্রীদের বিক্ষোভ
প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের রেখেই ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়: কুমিল্লা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মহানগর এক্সপ্রেসর দায়িত্বরত গার্ডের ভুল এবং অবহেলার কারণে ট্রেনটি সময়ের আগে স্টেশন ছেড়ে গেছে: লাকসাম রেলস্টেশন সংশ্লিষ্টরা
শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর ১২টার ২০ মিনিটে লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন প্রবেশ করে। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি লাকসাম জংশন স্টেশনে পৌঁছে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাত্রাবিরতি না করেই যাত্রী ছাড়াই স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক টিকিটধারী যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। পরে ভুক্তভোগী যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশন ত্যাগ করার কারণে অনেকেই হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে আহত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন।
লাকসাম ইছাপুরা গ্রামের এনায়েত উল্যাহ চাকরি করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছুটি শেষে কর্মস্থলে পৌঁছতে স্টেশনে আসেন এবং মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও কাটেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ট্রেন যখন চলা শুরু করলো, অনেকেই দৌড়ে উঠার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারিনি। এটা খুবই বিপজ্জনক এবং অযথা ভোগান্তিকর।
লাকসাম পূর্ব এলাকার আরেক যাত্রী বিপ্লব দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি রোববার সকালেই চট্টগ্রামে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলাম। ট্রেনে উঠতে না পারায় আমার পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে গেছে। রেলওয়ের এই অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।
যাত্রীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, পরবর্তী ট্রেনে তাদের ওঠার ব্যবস্থার আশ্বাসে টিকিটধারী যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বগত গার্ডের ভুল এবং অবহেলার কারণে ট্রেনটি সময়ের আগে স্টেশন ছেড়ে গেছে।
কেবিন মাস্টার ইকবাল হোসেন বলেন, ট্রেন ১২টা ২০ মিনিটে স্টেশনে প্রবেশ করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করি যাতে সময়মতো যাত্রা সম্পন্ন হয়, কিন্তু কখনো কখনো অবহেলার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রী পরিবহনের জন্যই ট্রেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের রেখেই ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিরাপদে ট্রেনে ওঠার অধিকার রাখে।
তিনি বলেন, পূজার ছুটি শেষে এ জংশন স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল প্রচুর। এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত যাত্রাবিরতির সময় পালন না করা এবং ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে ট্রেনে ওঠা যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তির এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি।