ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অর্থ পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সহযোগী তাজবীর হাসান শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক তাজবীরকে গত নিবারদুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রাকিবুল হাসানকে আদালতে তোলা হয়। বিমানবন্দর থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ১৪ অক্টোবর তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ূম হোসেন নয়ন। পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত তার ট্রাভেল এজেন্সি হালট্রিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজবীরকে (৩৫) গত শুক্রবার মধ্যরাতে বিমানবন্দরে আটক করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। রোববার, (০৫ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পর আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়।
২০২০ সালে গ্রাহকদের শত কোটির বেশি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ। এতে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েন অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। অন্যদিকে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ লোপাট ও পাচারের অভিযোগে আলোচিত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
তাজবীরের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নয়ন বলেন, ‘তাজবীর হাসান পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন বিমানবন্দর থানার এসআই মো. সুমন মিয়া।’
তাকে আটকের সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) বলা হয়, তুরস্কে যাওয়ার পথে তাজবীরকে আটক করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি তুরস্কসহ আরও একটি দেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্য মতে, তিনি পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সেজন্য তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকার কথা জানা যায়। তিনি পি কে হালদারের সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার ১০ শতাংশের অংশীদার। জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আবেদনে বলা হয়, পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তিনি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং একাধিক দেশের নাগরিক। সেজন্য আসামিকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদসহ আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন। তার সঙ্গে থাকা তুরস্কের পাসপোর্ট, একটি আইফোন ১৭ প্রো-ম্যাক্স, একটি আইফোন ১৫ প্রো আলামত হিসেবে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে আবেদনে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
অর্থ পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সহযোগী তাজবীর হাসান শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক তাজবীরকে গত নিবারদুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রাকিবুল হাসানকে আদালতে তোলা হয়। বিমানবন্দর থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ১৪ অক্টোবর তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ূম হোসেন নয়ন। পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত তার ট্রাভেল এজেন্সি হালট্রিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজবীরকে (৩৫) গত শুক্রবার মধ্যরাতে বিমানবন্দরে আটক করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। রোববার, (০৫ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পর আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়।
২০২০ সালে গ্রাহকদের শত কোটির বেশি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ। এতে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েন অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। অন্যদিকে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ লোপাট ও পাচারের অভিযোগে আলোচিত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
তাজবীরের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নয়ন বলেন, ‘তাজবীর হাসান পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন বিমানবন্দর থানার এসআই মো. সুমন মিয়া।’
তাকে আটকের সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) বলা হয়, তুরস্কে যাওয়ার পথে তাজবীরকে আটক করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি তুরস্কসহ আরও একটি দেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্য মতে, তিনি পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সেজন্য তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকার কথা জানা যায়। তিনি পি কে হালদারের সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার ১০ শতাংশের অংশীদার। জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আবেদনে বলা হয়, পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তিনি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং একাধিক দেশের নাগরিক। সেজন্য আসামিকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদসহ আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন। তার সঙ্গে থাকা তুরস্কের পাসপোর্ট, একটি আইফোন ১৭ প্রো-ম্যাক্স, একটি আইফোন ১৫ প্রো আলামত হিসেবে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে আবেদনে।