নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৃথক দুটি হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটেছে। পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে এ ২টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নিহতদের স্বজনরা।
গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর ও দুর্গাপুর এলাকায় পৃথক এ দুটি হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটে। পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের একলাসপুরে নতুন ব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তরা আরমান হোসেন বিজয় (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত বিজয় একই উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের শাহীন চৌধুরীর ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শুক্কুর (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। নিহত শুক্কুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় ও তার দুই বন্ধু মোটর সাইকেলে করে উপজেলার মুজিব সড়ক থেকে নুতন ব্রিজের দিকে আসছিল। পথে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক তাদের গতিরোধ করে বিজয়কে মারধর করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনদের দাবি পুর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় বিজয়ের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু হত্যার কারণ জানতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন লিয়ন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধওে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শুক্কুর (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শুক্কুর বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, মোবাইলফোন চুরির একটি ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠকের পর শুক্কুরকে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর কয়েকজন স্থানীয় যুবক মারধর করে। বেগমগঞ্জে পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরাধীদের ধরতে বর্তমানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে তদন্তশেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৃথক দুটি হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটেছে। পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে এ ২টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নিহতদের স্বজনরা।
গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর ও দুর্গাপুর এলাকায় পৃথক এ দুটি হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটে। পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের একলাসপুরে নতুন ব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তরা আরমান হোসেন বিজয় (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত বিজয় একই উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের শাহীন চৌধুরীর ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শুক্কুর (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। নিহত শুক্কুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় ও তার দুই বন্ধু মোটর সাইকেলে করে উপজেলার মুজিব সড়ক থেকে নুতন ব্রিজের দিকে আসছিল। পথে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক তাদের গতিরোধ করে বিজয়কে মারধর করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনদের দাবি পুর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় বিজয়ের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু হত্যার কারণ জানতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন লিয়ন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, মোবাইলফোন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধওে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শুক্কুর (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শুক্কুর বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, মোবাইলফোন চুরির একটি ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠকের পর শুক্কুরকে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর কয়েকজন স্থানীয় যুবক মারধর করে। বেগমগঞ্জে পরপর দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনমনে বর্তমানে আতংক বিরাজ করছে। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরাধীদের ধরতে বর্তমানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে তদন্তশেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।