দেশের ভেতরে ও উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিশেষ বার্তায় কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা কাছাকাছি সময়ে দেশের ভেতরে ও উজানে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে রোববার বিকাল ৩টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগ এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫, কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার এবং উজানে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ২৬১, কোচবিহারে ১৯০, জলপাইগুড়িতে ১৭২, শিলিগুড়িতে ১৩৪, অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।
ভারতে ভারি বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসে দার্জিলিংয়ে ১৭ জন নিহত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর সঙ্গে দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সংযোগকারী সড়ক এবং দার্জিলিং ও শিলিগুড়ির সংযোগকারী সড়ক।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৫২.৪৮ মিটারে, যা বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর উজানে দোমহনিতে ১৫৮ সেন্টিমিটার এবং গজলডোবাতে ২২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। দুপুর ২টায় দোমহনির পানি সমতল ছিল ৮৬ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময়ে গজলডোবা পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ১১০ দশমিক ৫৫ মিটার।
ভুটানের আবহাওয়া ও পানি বিজ্ঞান সংস্থার বরাত দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘ওয়াংচু’ নদীর পানি ‘তালা’ বাঁধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে ধরলা ও দুধকুমার নদীর উজানে ভারতে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে কেন্দ্র বলেছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এবং আশপাশের সময়ে রংপুর বিভাগে ও উজানে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারি (দিনে ১৪৪ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (দিনে ১৮৮ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিস্তা নদী বিপৎসীমার ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তীতে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এলে পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ৭ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং আগামী ১২ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
দেশের ভেতরে ও উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিশেষ বার্তায় কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা কাছাকাছি সময়ে দেশের ভেতরে ও উজানে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে রোববার বিকাল ৩টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগ এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫, কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার এবং উজানে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ২৬১, কোচবিহারে ১৯০, জলপাইগুড়িতে ১৭২, শিলিগুড়িতে ১৩৪, অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।
ভারতে ভারি বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসে দার্জিলিংয়ে ১৭ জন নিহত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর সঙ্গে দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সংযোগকারী সড়ক এবং দার্জিলিং ও শিলিগুড়ির সংযোগকারী সড়ক।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৫২.৪৮ মিটারে, যা বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর উজানে দোমহনিতে ১৫৮ সেন্টিমিটার এবং গজলডোবাতে ২২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। দুপুর ২টায় দোমহনির পানি সমতল ছিল ৮৬ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময়ে গজলডোবা পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ১১০ দশমিক ৫৫ মিটার।
ভুটানের আবহাওয়া ও পানি বিজ্ঞান সংস্থার বরাত দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘ওয়াংচু’ নদীর পানি ‘তালা’ বাঁধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে ধরলা ও দুধকুমার নদীর উজানে ভারতে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে কেন্দ্র বলেছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এবং আশপাশের সময়ে রংপুর বিভাগে ও উজানে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারি (দিনে ১৪৪ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (দিনে ১৮৮ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিস্তা নদী বিপৎসীমার ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তীতে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এলে পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ৭ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং আগামী ১২ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।