মেঘ-পাহাড়ের খেলা দেখার পাশাপাশি প্রকৃতির সঙ্গে পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ বিলিয়ে দিতে চিরসবুজ সাজে সেজেছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পাহাড়ি জনপদ মিরিঞ্জা। প্রথমবারের মতো দুইদশক আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখানে যাত্রা শুরু করে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও চকরিয়া হতে আলীকদম সড়কে ২৭ কিলোমিটার দূরে লামা উপজেলায় অবস্থিত এই মিরিঞ্জা জোন।
এখানে সুউচ্চ সবুজ পাহাড়-বনানী ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ, আকাশ, মেঘগুলো পর্যটনকেন্দ্রটিকে দিয়েছে নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নগরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে নির্মল আনন্দের রাজ্যে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির বুক চিরে আকাশছোঁয়া চিরসবুজ এক নতুন পৃথিবী। সরেজমিনে জানা গেছে, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তিগতভাবে মিরিঞ্জা পাহাড়ের আশপাশের পাহাড়গুলোতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে আরও ১৫ থেকে ২০টি নতুন পর্যটন জোন। বেসরকারি পর্যটন জোন গুলোর মধ্যে ২০২২ সালে চালু করা মিরিঞ্জা ভ্যালীকে সাজানো হয়েছে অনন্য শৈল্পিক কারুকাজে। মিরিঞ্জা ভ্যালির আকাশ-মেঘ প্রতি মুহুর্তে ভ্রমণপিপাসু পর্যটককে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এখানে মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের যেন আজন্ম বন্ধুত্ব। প্রকৃতি এলাকাটিকে সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এখানে ইচ্ছে করলেই ছোঁয়া যায় মেঘ, আকাশকেও মনে হয় বেশ কাছে। রাতে শহরের আলোতে যেন সৌন্দর্য আরও বৈচিত্র্যময়।
জানা গেছে, মিরিঞ্জা পাহাড়ের এসব পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেসুমার পর্যটক আগমন ঘিরে সেখানে আকাশচুম্বী বাণিজ্যিক কর্মকা- শুরু হয়েছে। পর্যটন শিল্পে আশাজাগানিয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পাহাড়জুড়ে। তবে পর্যটকদের আগমনের ক্ষেত্রে সড়ক পথে যতেষ্ঠ নিরাপত্তার ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, মিরিঞ্জার পর্যটন ঘিরে কয়েকবছর ধরে চকরিয়া ফাসিয়াখালী লামা সড়কে ডাকাতের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। সম্প্রতি সময়ে একাধিক সড়ক ডাকাতির ঘটনায় ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা আক্রান্তও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মিরিঞ্জা পর্যটন জোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, চকরিয়া-ফাসিয়াখালী লামা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফাঁসিয়াখালী রিংভং ফরেস্ট বিট থেকে কুমারী ব্রিজ পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকাটি ভ্রমণকারী পর্যটক এবং পরিবহনে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ওই পয়েন্টে প্রতিদিন অন্ধকার নামলেই কিংবা জঙ্গলের নির্জন পয়েন্টে যাত্রীবাহী ও পর্যটনবাহি গাড়ি এবং মোটর সাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে অস্ত্রধারী ডাকাতরা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চকরিয়া ফাসিয়াখালী-লামা সড়কে ডাকাতির ঘটনা নতুন নয়। গেল কয়েক মাসে অন্তত কয়েক দফায় সড়ক ডাকাতির ঘটনায় পর্যটক ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ডাকাতের। অনেক সময় বাঁধা দিতে গিয়ে ডাকাতের হামলায় পর্যটক ও যাত্রী সাধারণ বেদড়ক মারধরের শিকারও হয়েছেন। মিরিঞ্জা পর্যটন জোনের সঙ্গে জড়িত অনেকে বলেন, ডাকাত আতঙ্কের কারণে সন্ধ্যার পর কেউ একা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে চায় না। সুযোগ বুঝে পর্যটক ও যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডাকাতেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযান আমাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে পুরো ডাকাত চক্র ধরা না পড়া পর্যন্ত ভয় কাটবে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডাকাতরা সাধারণত ১০-১৫ জনের দল নিয়ে সড়কের পাশে পাহাড়ি জঙ্গলে অবস্থান নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে সড়কের দুপাশের জঙ্গল থেকে একযোগে বের হয়ে গাড়ি থামায়। যাত্রীদের আতঙ্কিত করতে প্রথমেই অস্ত্রের মুখে হুমকি দেয়। এরপর সবাইকে নামিয়ে পকেট তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বলেন, অনেক সময় গাড়ির ড্রাইভারদেরও মারধর করা হয়, বিশেষ করে যদি তারা গাড়ি না থামানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, চকরিয়া লামা সড়কের ফাঁসিয়াখালী ও কুমারী ব্রিজ সংলগ্ন বনাঞ্চল এতটাই ঘন ও দুর্গম যে ডাকাতরা ঘটনার পরপরই সহজে পালিয়ে যেতে পারে। পুলিশের নিয়মিত টহল থাকলেও ডাকাতরা চক্রাকারে অবস্থান পরিবর্তন করে। ফলে পুরোপুরি দমন করা সম্ভব হয় না।
এলাকাবাসীর দাবি, চকরিয়া থানা পুলিশকে টহলে দেখা গেলে লামা থানা তথা নিকটস্থ কুমারী পুলিশ ফাঁড়ির টহল দলকে সড়কে একেবারে দেখা মেলে না। আমরা চাই চকরিয়া থানা পুলিশের পাশাপাশি লামা থানা পুলিশ সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করলে ওই এলাকায় সড়ক ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয়রা বলছেন, চকরিয়া ফাসিয়াখালী-লামা সড়কটি কক্সবাজার ও পার্বতূ বান্দরবানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি পুরানো সড়ক। পর্যটক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুধু পুলিশ নয়, বনবিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এলাকাবাসীর মতে, চকরিয়া-লামা সড়কে ডাকাতির ঘটনা গুলো বহুদিনের সমস্যা। তবে চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গত বুধবার ফাসিয়াখালীর গহীন জঙ্গল থেকে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনো ডাকাত দলের পুরো চক্র ধরা পড়েনি। এ অবস্থায় পর্যটন ব্যবসায়ী, ভ্রমনে আগত পর্যটক ও সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণের মাঝে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। সড়কটিকে নিরাপদ করতে নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি প্রযুক্তি-নির্ভর নজরদারি ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “চকরিয়া-লামা সড়কটি” পাহাড়ি ও বনাঞ্চল ঘেঁষা হওয়ায় ডাকাতরা প্রায়ই সুযোগ নেয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চকরিয়া থানা পুলিশের পক্ষথেকে নিয়মিত টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুইদিন আগে সড়ক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে মঙ্গলবার ও বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ গহীন জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা পুরো ডাকাতচক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
মেঘ-পাহাড়ের খেলা দেখার পাশাপাশি প্রকৃতির সঙ্গে পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ বিলিয়ে দিতে চিরসবুজ সাজে সেজেছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পাহাড়ি জনপদ মিরিঞ্জা। প্রথমবারের মতো দুইদশক আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখানে যাত্রা শুরু করে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও চকরিয়া হতে আলীকদম সড়কে ২৭ কিলোমিটার দূরে লামা উপজেলায় অবস্থিত এই মিরিঞ্জা জোন।
এখানে সুউচ্চ সবুজ পাহাড়-বনানী ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ, আকাশ, মেঘগুলো পর্যটনকেন্দ্রটিকে দিয়েছে নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নগরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে নির্মল আনন্দের রাজ্যে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির বুক চিরে আকাশছোঁয়া চিরসবুজ এক নতুন পৃথিবী। সরেজমিনে জানা গেছে, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তিগতভাবে মিরিঞ্জা পাহাড়ের আশপাশের পাহাড়গুলোতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে আরও ১৫ থেকে ২০টি নতুন পর্যটন জোন। বেসরকারি পর্যটন জোন গুলোর মধ্যে ২০২২ সালে চালু করা মিরিঞ্জা ভ্যালীকে সাজানো হয়েছে অনন্য শৈল্পিক কারুকাজে। মিরিঞ্জা ভ্যালির আকাশ-মেঘ প্রতি মুহুর্তে ভ্রমণপিপাসু পর্যটককে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এখানে মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের যেন আজন্ম বন্ধুত্ব। প্রকৃতি এলাকাটিকে সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এখানে ইচ্ছে করলেই ছোঁয়া যায় মেঘ, আকাশকেও মনে হয় বেশ কাছে। রাতে শহরের আলোতে যেন সৌন্দর্য আরও বৈচিত্র্যময়।
জানা গেছে, মিরিঞ্জা পাহাড়ের এসব পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেসুমার পর্যটক আগমন ঘিরে সেখানে আকাশচুম্বী বাণিজ্যিক কর্মকা- শুরু হয়েছে। পর্যটন শিল্পে আশাজাগানিয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পাহাড়জুড়ে। তবে পর্যটকদের আগমনের ক্ষেত্রে সড়ক পথে যতেষ্ঠ নিরাপত্তার ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, মিরিঞ্জার পর্যটন ঘিরে কয়েকবছর ধরে চকরিয়া ফাসিয়াখালী লামা সড়কে ডাকাতের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। সম্প্রতি সময়ে একাধিক সড়ক ডাকাতির ঘটনায় ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা আক্রান্তও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মিরিঞ্জা পর্যটন জোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, চকরিয়া-ফাসিয়াখালী লামা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফাঁসিয়াখালী রিংভং ফরেস্ট বিট থেকে কুমারী ব্রিজ পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকাটি ভ্রমণকারী পর্যটক এবং পরিবহনে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ওই পয়েন্টে প্রতিদিন অন্ধকার নামলেই কিংবা জঙ্গলের নির্জন পয়েন্টে যাত্রীবাহী ও পর্যটনবাহি গাড়ি এবং মোটর সাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে অস্ত্রধারী ডাকাতরা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চকরিয়া ফাসিয়াখালী-লামা সড়কে ডাকাতির ঘটনা নতুন নয়। গেল কয়েক মাসে অন্তত কয়েক দফায় সড়ক ডাকাতির ঘটনায় পর্যটক ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ডাকাতের। অনেক সময় বাঁধা দিতে গিয়ে ডাকাতের হামলায় পর্যটক ও যাত্রী সাধারণ বেদড়ক মারধরের শিকারও হয়েছেন। মিরিঞ্জা পর্যটন জোনের সঙ্গে জড়িত অনেকে বলেন, ডাকাত আতঙ্কের কারণে সন্ধ্যার পর কেউ একা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে চায় না। সুযোগ বুঝে পর্যটক ও যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডাকাতেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযান আমাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে পুরো ডাকাত চক্র ধরা না পড়া পর্যন্ত ভয় কাটবে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডাকাতরা সাধারণত ১০-১৫ জনের দল নিয়ে সড়কের পাশে পাহাড়ি জঙ্গলে অবস্থান নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে সড়কের দুপাশের জঙ্গল থেকে একযোগে বের হয়ে গাড়ি থামায়। যাত্রীদের আতঙ্কিত করতে প্রথমেই অস্ত্রের মুখে হুমকি দেয়। এরপর সবাইকে নামিয়ে পকেট তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বলেন, অনেক সময় গাড়ির ড্রাইভারদেরও মারধর করা হয়, বিশেষ করে যদি তারা গাড়ি না থামানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, চকরিয়া লামা সড়কের ফাঁসিয়াখালী ও কুমারী ব্রিজ সংলগ্ন বনাঞ্চল এতটাই ঘন ও দুর্গম যে ডাকাতরা ঘটনার পরপরই সহজে পালিয়ে যেতে পারে। পুলিশের নিয়মিত টহল থাকলেও ডাকাতরা চক্রাকারে অবস্থান পরিবর্তন করে। ফলে পুরোপুরি দমন করা সম্ভব হয় না।
এলাকাবাসীর দাবি, চকরিয়া থানা পুলিশকে টহলে দেখা গেলে লামা থানা তথা নিকটস্থ কুমারী পুলিশ ফাঁড়ির টহল দলকে সড়কে একেবারে দেখা মেলে না। আমরা চাই চকরিয়া থানা পুলিশের পাশাপাশি লামা থানা পুলিশ সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করলে ওই এলাকায় সড়ক ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয়রা বলছেন, চকরিয়া ফাসিয়াখালী-লামা সড়কটি কক্সবাজার ও পার্বতূ বান্দরবানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি পুরানো সড়ক। পর্যটক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুধু পুলিশ নয়, বনবিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এলাকাবাসীর মতে, চকরিয়া-লামা সড়কে ডাকাতির ঘটনা গুলো বহুদিনের সমস্যা। তবে চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গত বুধবার ফাসিয়াখালীর গহীন জঙ্গল থেকে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনো ডাকাত দলের পুরো চক্র ধরা পড়েনি। এ অবস্থায় পর্যটন ব্যবসায়ী, ভ্রমনে আগত পর্যটক ও সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণের মাঝে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। সড়কটিকে নিরাপদ করতে নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি প্রযুক্তি-নির্ভর নজরদারি ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “চকরিয়া-লামা সড়কটি” পাহাড়ি ও বনাঞ্চল ঘেঁষা হওয়ায় ডাকাতরা প্রায়ই সুযোগ নেয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চকরিয়া থানা পুলিশের পক্ষথেকে নিয়মিত টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুইদিন আগে সড়ক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে মঙ্গলবার ও বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ গহীন জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা পুরো ডাকাতচক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।